টাঙ্গাইল-৪
টাঙ্গাইল-৪ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৩৩নং আসন।
টাঙ্গাইল-৪ | |
---|---|
জাতীয় সংসদ-এর নির্বাচনী এলাকা | |
জেলা | টাঙ্গাইল জেলা |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
মোট ভোটার |
|
বর্তমান নির্বাচনী এলাকা | |
সৃষ্ট | ১৯৭৩ |
সীমানা
সম্পাদনাটাঙ্গাইল-৪ আসনটি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলা নিয়ে গঠিত।[২]
নির্বাচিত সাংসদ
সম্পাদনানির্বাচন
সম্পাদনা২০১০-এর দশকে নির্বাচন
সম্পাদনা২০১৪ সালের শেষের দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।[৭] ফলে তিনি নিজ দল আওয়ামী থেকে বহিষ্কৃত হন ও মন্ত্রিত্ব হারান। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৮] পরে তার ভাই, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী হতে পারে কিনা, তা নিইয়ে আইনি জটিলতায় নির্বাচন বিলম্বিত হয়েছিল। অবশেষে উপ-নির্বাচন জানুয়ারি ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় যাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন নির্বাচিত হন।[৯]
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
---|---|---|---|---|---|
আওয়ামী লীগ | মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন | ১,৯৩,৫৪৭ | ৯৭.৮ | +৩৬.৮ | |
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি | ইমরুল কায়েস | ১,৬৯৬ | ০.৯ | প্র/না | |
বিএনএফ | আতাউর রহমান খান | ১,৩২০ | ০.৭ | প্র/না | |
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১,৯১,৮৫১ | ৯৬.৯ | +৭৪.২ | ||
ভোটার উপস্থিতি | ১,৯৭,৯৭৪ | ৬৪.৩ | −২৫.৯ | ||
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে |
বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[১০]
২০০০-এর দশকে নির্বাচন
সম্পাদনাদল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
---|---|---|---|---|---|---|
আওয়ামী লীগ | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী | ১,৩৮,৬৪৬ | ৬১.০ | +১৬.৩ | ||
বিএনপি | লুৎফর রহমান | ৮৬,৯১২ | ৩৮.২ | -৩.০ | ||
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বাংলাদেশ) | মোবারক হোসেন | ১,২৩৯ | ০.৫ | প্র/না | ||
জাসদ | ইসমাইল হোসেন | ৬৭১ | ০.৩ | প্র/না | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৫১,৭৩৪ | ২২.৭ | +২০.০ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ২,২৭,৪৬৮ | ৯০.২ | +১২.১ | |||
বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে |
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
---|---|---|---|---|---|---|
বিএনপি | শাহজাহান সিরাজ | ৮৯,৯১৬ | ৪৭.৫ | +৬.৩ | ||
আওয়ামী লীগ | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী | ৮৪,৭৭৫ | ৪৪.৭ | -৪.২ | ||
কেএসজেএল | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী | ১৩,৭৪৭ | ৭.৩ | প্র/না | ||
ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | আসাদুজ্জামান বাবুল | ৮৮২ | ০.৫ | প্র/না | ||
জাতীয় পার্টি | সাদেক সিদ্দিকী | ১৩২ | ০.১ | প্র/না | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৫,১৪১ | ২.৭ | −৫.০ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১,৮৯,৪৫২ | ৭৮.১ | −৭.৭ | |||
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি অর্জন করে |
১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন
সম্পাদনাদল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | ||
---|---|---|---|---|---|---|
আওয়ামী লীগ | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী | ৭৫,৫৮১ | ৪৮.৯ | +১০.৭ | ||
বিএনপি | শাহজাহান সিরাজ | ৬৩,৭২০ | ৪১.২ | +৩৬.২ | ||
জাতীয় পার্টি | আবুল কাশেম আহমেদ | ১২,৮০৮ | ৮.৩ | -৬.৮ | ||
জামায়াতে ইসলামী | আমজাদ হোসেন | ২,৩৯৪ | ১.৬ | প্র/না | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১১,৮৬১ | ৭.৭ | +৭.৪ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১,৫৪,৫০৩ | ৮৫.৮ | +২১.৬ | |||
জাসদ (সিরাজ) থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে |
দল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
---|---|---|---|---|---|
জাসদ (সিরাজ) | শাহজাহান সিরাজ | ৫১,৪২৯ | ৩৮.৬ | ||
আওয়ামী লীগ | আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী | ৫০,৯৬৭ | ৩৮.২ | ||
জাতীয় পার্টি | এ হামিদ প্রমানিক | ২০,১৩৬ | ১৫.১ | ||
বিএনপি | নূরুল আলম টাঙ্গা | ৬,৬৪৫ | ৫.০ | ||
জাকের পার্টি | এ আজিজ | ১,২৩৭ | ০.৯ | ||
জনতা মুক্তি পার্টি | ওয়ারসুল হাসান সিদ্দিকী | ৯২২ | ০.৭ | ||
ন্যাপ (মুজাফফর) | আলিম উদ্দিন টাঙ্গা | ৭৯৫ | ০.৬ | ||
ওয়ার্কার্স পার্টি | হাজেরা সুলতানা | ৬০৫ | ০.৫ | ||
ফ্রিডম পার্টি | জহির আলী | ৪৩৯ | ০.৩ | ||
বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি দল | তাফাজ্জেল হোসেন | ১৮০ | ০.১ | ||
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ৪৬২ | ০.৩ | |||
ভোটার উপস্থিতি | ১,৩৩,৩৫৫ | ৬৪.২ | |||
জাসদ (সিরাজ) নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "টাঙ্গাইল-৪ কেন্দ্র সংক্রান্ত গেজেট" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "১ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ সংসদ। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "২য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ সংসদ। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ সংসদ। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "৪র্থ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ সংসদ। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "হজ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য লতিফ সিদ্দিকীর"। প্রথম আলো। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "লতিফের আসন শূন্য ঘোষণা"। প্রথম আলো। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ "এমপি হাছান ইমামের শপথ গ্রহণ"। কালের কণ্ঠ। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "১৫৩ আসনে জয়ী যারা"। দৈনিক সমকাল। ৪ জানুয়ারি ২০১৪। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ২৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "মনোনয়ন জমাদানের তালিকা"। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Parliament Election Result of 1991,1996,2001 Bangladesh Election Information and Statistics"। ভোট মনিটর নেটওয়ার্ক (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- প্রথম আলোতে টাঙ্গাইল-৪