টমাস হার্ডি
টমাস হার্ডি, অর্ডার অব মেরিট (ইংরেজি Thomas Hardy, ২ জুন ১৮৪০ - ১১ জানুয়ারি ১৯২৮) একজন ইংরেজ সাহিত্যিক। রোমান্টিসিজম ঘরানার এই কবি ও ঔপন্যাসিক উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ও চার্লস ডিকেন্স এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।[১] ডিকেন্সের মতো তার লেখাও ভিক্টোরিয়ান সোসাইটিতে সমালোচিত হয়েছিল। যদিও হার্ডি তার লেখায় তৎকালিন ক্ষয়িষ্ণু গ্রাম্য সমাজের দিকে বেশি আলোকপাত করেছিলেন। টমাস হার্ডি প্রথম দিকে নিজেকে একজন কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পরে অবশ্য একজন ঔপন্যাসিক হিসাবেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।[২]
টমাস হার্ডি | |
---|---|
জন্ম | ২ জুন ১৮৪০ স্টিনসোর্ড, ডরসেট, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ৮৭ বছর স্টিনসোর্ড, ডরসেট, ইংল্যান্ড |
সমাধিস্থল | পোয়েটস কর্ণার, ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যাবে |
পেশা | ঔপন্যাসিক, কবি এবং ছোট গল্পকার। |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কিংস কলেজ লন্ডন |
সাহিত্য আন্দোলন | প্রকৃতিবাদি, ভিক্টরিয়ান সাহিত্য |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | টেস অব দ্যা ডার্বারভিলস, ফার ফ্রম দ্যা ম্যডিং ক্রাউড, কালেক্টেড পোয়েমস, জুড দ্যা অবসকিউর |
দাম্পত্যসঙ্গী | এনা লাভিনিয়া গিফর্ড (১৮৭৪ – ১৯১২) |
স্বাক্ষর |
তার লেখালেখির শুরুটা খুব অল্প বয়সে হলেও ১৮৭০ সালের পূর্বে তার কোন লেখা প্রকাশিত হয়নি। টেস অব দ্যা ড’আরবারভিলস (১৮৯১), ফার ফ্রম দ্যা ম্যডিং ক্রাউড (১৮৭৪), দ্যা মেয়র অব কাস্টারব্রিজ (১৯৮৬), জুড দ্যা অবসকিউর (১৮৯৫) তার জনপ্রিয় উপন্যাস।
শৈশব ও যৌবন
সম্পাদনাটমাস হার্ডি ১৮৪০ সালে পূর্ব ডচেষ্টারশায়ারের হায়ার বকহ্যাম্পটন নামে একটি পল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা টমাস (১৮১১-১৮৯২) ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রী। হার্ডির মা জেমিমা হার্ডি (১৮১৩-১৯০৪ যার বিবাহপূর্ব নাম ছিল জেমিমা হ্যান্ড) একজন বিদূষী মহিলা ছিলেন এবং হার্ডির বয়স আট বছর হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে বাড়িতে শিক্ষা দেন। এরপর হার্ডিকে বকহ্যাম্পটনের স্কুলে ভর্তি করা হয়। হার্ডির পরিবার খুব সচ্ছল ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় মাত্র ষোল বছর বয়সে তাকে পড়ালেখা ছেড়ে দিতে হয়। এরপর তিনি জেমস হিক্স নামের স্থানীয় এক স্থপতির কাছে শিক্ষানবীশি হিসাবে কাজ শুরু করেন।[৩] ১৯৬২ সালে হার্ডি লন্ডনের কিংস কলেজে ভর্তি হন। ইতমধ্যে তিনি একজন স্থপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। রয়্যাল ইন্সটিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টস এবং আর্কিটেক্টারাল এ্যাসোসিয়েশন থেকে তিনি পুরস্কার লাভ করনে। ১৮৭০ সালে কর্নওয়ালের একটি প্রাচীন গীর্জার স্থাপত্য নিয়ে কাজ করার সময় এমা লাভিনিয়া গিফোর্ড এর সাথে তার পরিচয় হয়। ১৮৭৪ সালে তারা বিয়ে করেন।[৪]
সাহিত্যিক জীবন
সম্পাদনাটমাস হার্ডির লেখা প্রথম উপন্যাসের নাম ’দ্যা পুওর ম্যান এন্ড দ্যা লেডি’। এটি লেখা শেষ হয় ১৮৬৭ সালে। লেখাটি প্রকাশ করার জন্য কোন প্রকাশক আগ্রহী হননি। তার এক বন্ধু, কবি ও ঔপন্যাসিক জন মেরেডিথ এর পরামর্শে তিনি পরে আর এই লেখা প্রকাশের চেষ্টা করেননি। মেরডিথের মতে লেখাটির মধ্যে অনেক বিতর্কিত রাজনৈতিক বিষয় ছিল যা ছাপা হলে হার্ডিকে পরবর্তিতে সমস্যায় ফেলত। হার্ডি এই উপন্যাসের পান্ডুলিপিটি নষ্ট করে ফেলেছিলেন।
এরপর টমাস হার্ডি লেখেন ডেসপাটে রেমেডিস (১৮৭১) ও আন্ডার দ্যা গ্রিন উড ট্রিজ (১৮৭২), এই দুটি লেখাই বেনামে প্রকাশিত হয়। ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত হয় এ পেয়ার অব ব্লু আইজ। ১৮৭৪ সালে প্রকাশিত হয় ফার ফ্রম দ্যা ম্যাডিং ক্রাউড।
মৃত্যু
সম্পাদনাটমাস হার্ডি ১৯২৮ সালে মারা যান। তার মৃতদেহ দাহ করা হয়। তার দেহাবশেষ ওয়েষ্ট মিনিস্টার এ্যাবের পোয়েটস কর্ণারে রাখা হয়েছে। দাহ করার আগে তার মৃতদেহ থেকে হৃদপিন্ডটি স্টিনসফোর্ড গীর্জার সমাধিক্ষেত্রে তার পূর্ব পুরুষদের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।[৫]
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনাটমাস হার্ডির গদ্য সাহিত্যকর্মের তালিকা,
- The Poor Man and the Lady
- Under the Greenwood Tree
- Far from the Madding Crowd
- The Return of the Native
- The Mayor of Casterbridge
- The Woodlanders
- Wessex Tales
- Tess of the d'Urbervilles
- Life's Little Ironies
- Jude the Obscure
- A Pair of Blue Eyes
- The Trumpet-Major
- Two on a Tower
- A Group of Noble Dames
- The Well-Beloved
- Desperate Remedies
- The Hand of Ethelberta
- A Laodicean
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Dennis Taylor, "Hardy and Wordsworth". Victorian Poetry, vol.24, no.4, Winter, 1986.
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Walsh, Lauren. Introduction. The Return of the Native. By Thomas Hardy. New York: Barnes & Noble Classics, 2005. Print.
- ↑ Gibson, James (ed.) (1975) Chosen Poems of Thomas Hardy, London: Macmillan Education; p.9.
- ↑ http://www.poetryfoundation.org/bio/thomas-hardy