জ্যোতিষচন্দ্র রায়

খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি প্রাণরসায়নবিদ

জ্যোতিষচন্দ্র রায় (২০ এপ্রিল ১৮৯৯ – ২৪ নভেম্বর ১৯৭৫) ছিলেন খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি প্রাণরসায়নবিদ।[] চিকিৎসাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকার ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে সম্মানিত করে। []

জ্যোতিষচন্দ্র রায়
জন্ম(১৮৯৯-০৪-২০)২০ এপ্রিল ১৮৯৯
নরোত্তমপুর বরিশাল ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৪ নভেম্বর ১৯৭৫(1975-11-24) (বয়স ৭৬)
পিতা-মাতাবরদাকান্ত রায় (পিতা)
পুরস্কার পদ্মভূষণ (১৯৬৮)

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

সম্পাদনা

জ্যোতিষচন্দ্র রায়ের জন্ম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার নরোত্তমপুরের। পিতা রায়বাহাদুর বরদাকান্ত রায় ছিলেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ সিভিল সার্জন। জ্যোতিষচন্দ্র রায়ের পড়াশোনা শুরু হয় শান্তিনিকেতনে। এরপর কলকাতায়। উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ গমন করেন। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন পড়াশোনা করেন এবং গবেষনার চালান। ১৯২৪ - ২৬ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক মার্টিন হ্যানের তত্ত্বাবধানে কলেরার মৌখিক টিকা'র উপর গবেষণা করে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীর অনার্স ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রোটোজোলোজি তথা প্রোটোলজিতে লেশম্যানিয়াসিস এর উপর তার গবেষণা ছিল এক মৌলিক অবদান।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

দেশে ফিরে জ্যোতিষচন্দ্র রায় ভারতের সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রোটোলজিক্যাল সার্ভের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিযুক্ত হন। তবে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি সে কাজ ছেড়ে নিজে প্রতিষ্ঠা করেন মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং সেখানেই আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে সংস্থাটির নাম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন-এ পরিবর্তিত হয়। ড.জ্যোতিষচন্দ্র রায় ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সংস্থাটির ডিরেক্টর ছিলেন। অ্যানেলস্ অফ বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন নামে একটি বার্ষিক একাডেমিক জার্নাল প্রকাশ করতেন।

১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ড.জ্যোতিষচন্দ্র রায় ভারত সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ লাভ করেন।

মৃত্যু

সম্পাদনা

১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৪ নভেম্বর জ্যোতিষচন্দ্র রায় পরলোক গমন করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৫৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "Padma Awards | Interactive Dashboard"www.dashboard-padmaawards.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৪