জৈবচিকিৎসা প্রকৌশল
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল বলতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের উপরে প্রকৌশলবিদ্যার নীতি ও নকশার প্রয়োগ করে সৃষ্ট একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় জ্ঞানের শাখা। এটি জৈব প্রকৌশল নামক জ্ঞানের শাখার একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র। জৈব প্রকৌশলের পরিধি আরও ব্যাপক, যেখানে শুধুমাত্র মানব স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নয়, বরং কৃষি ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও জীববিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সম্মিলিত জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটানো হয়।
জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল প্রকৌশলবিদ্যার নকশা ও সমসসা সমাধানের সাথে চিকিৎসা ও জীববিজ্ঞানের আধুনিকতম জ্ঞানের মেলবন্ধনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ও রোগনির্ণয়ের উন্নতি ঘটাচ্ছে। অন্যান্য প্রকৌশলবিদ্যার তুলনায় জৈবচিকিৎসা প্রকৌশল তুলনামূলক নতুন চালু হয়েছে। এর সাম্প্রতিক নব নব আবিষ্কার এতটাই গুরুত্ব বহন করে যে ইহা নিজস্ব একটি প্রকৌশলবিদ্যার অংশ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসা প্রকৌশলের অধিকাংশ কাজ ই গবেষণা নির্ভর। প্রকৌশলবিদ্যার এই অংশেই কৃত্রিম অঙ্গ, চিকিৎসা সঙ্ক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন ঔষধসহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের সকল নতুন নতুন আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জৈব তথ্যবিজ্ঞান
সম্পাদনাবায়োইনফরমেটিক্স বা জৈব তথ্যবিজ্ঞান হল এমন একটি কৌশল যেখানে জৈবিক-তথ্য সহজে বুঝার জন্য সফটওয়্যার ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানের একটি আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে এবং জৈবিক তথ্যাবলি ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের জন্য বায়োইনফরমেটিক্স হল কম্পিউটার বিজ্ঞান,পরিসংখ্যান,গণিত ও প্রকৌশলবিদ্যার এক অপূর্ব সম্মিলন।
জৈব তথ্যবিজ্ঞানকে ছাতার সাথে তুলনা করা যায় যেখানে জৈবিক গবেষণার একটি পদ্ধতি হিসেবে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে ব্যবহার করা হয় পাশাপাশি এটি "পাইপলাইন" এর নির্দিষ্ট বিশ্লেষণের রেফারেন্স হিসেবেও ব্যবহ্রত হয় যা বংশাণুসমগ্র বিজ্ঞান (জিনোমিক্স) ক্ষেত্রে বারবার ব্যবহার করা হয়। জৈব তথ্যবিজ্ঞা্রনে প্রচলিত ব্যবহারসমূহের মধ্যে কোন জীবের বংশাণু বা জিন ও নিউক্লিওটাইড (SNPs) শনাক্তকরণ অন্যতম। সাধারণত এসব শনাক্তকরণ করা হয় রোগের বংশাণুগত ভিত্তি, মৌলিক অভিযোজন, কাম্য বৈশিষ্ট্য (বিষেশতঃকৃষি প্রজাতিতে), মানুষের মধ্যে পার্থক্য প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে ভাল করে বুঝার উদ্দেশ্য নিয়ে। অর্থাৎ প্রচলিত ভাবে জৈব তথ্যবিজ্ঞান নিউক্লিয়িক অ্যাসিড এবং প্রোটিন ক্রমের মধ্যে যে সাংগঠনিক নীতিগুলো আছে তা বোঝার চেষ্টা করে।