জেসিকা ট্যান্ডি

ব্রিটিশ অভিনেত্রী

জেসিকা ট্যান্ডি (ইংরেজি: Jessica Tandy; জন্ম: জেসি অ্যালিস ট্যান্ডি, ৭ জুন ১৯০৯ - ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪) ছিলেন একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী। তিনি শতাধিক মঞ্চনাটক ও ৬০-এর অধিক চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন।[] তিনি মঞ্চে অভিনয়ের জন্য তিনটি টনি পুরস্কার, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য একটি একাডেমি পুরস্কার এবং টেলিভিশনে অভিনয়ের জন্য একটি এমি পুরস্কার অর্জন করেন। ফলে তিনি অভিনয়ের ত্রি-মুকুট বিজয়ী অভিনয়শিল্পীদের একজন। এছাড়া তিনি একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার, একটি দাভিদ দি দোনাতেল্লো ও দুটি ড্রামা ডেস্ক পুরস্কার অর্জন করেছেন।

জেসিকা ট্যান্ডি
Jessica Tandy
১৯৫০-এর দশকে ট্যান্ডির প্রচারণামূলক ছবি
জন্ম
জেসি অ্যালিস ট্যান্ডি

(১৯০৯-০৬-০৭)৭ জুন ১৯০৯
মৃত্যু১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪(1994-09-11) (বয়স ৮৫)
শিক্ষাগুথ্রি থিয়েটার
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯২৭-১৯৯৪
দাম্পত্য সঙ্গীজ্যাক হকিন্স
(বি. ১৯৩২; বিচ্ছেদ. ১৯৪০)

হিউম ক্রোনিন
(বি. ১৯৪২)
সন্তান

লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা ট্যান্ডি ১৯২৭ সালে ১৮ বছর বয়সে লন্ডন মঞ্চে তার পেশাদার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩০-এর দশকে তিনি লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে জন গিলগুডের বিপরীতে হ্যামলেট নাটকে অফেলিয়া চরিত্রে এবং লরন্স অলিভিয়ের বিপরীতে ফিফথ হেনরি নাটকে ক্যাথরিন চরিত্রে অভিনয় করেন।[] ১৯৪৮ সালে তিনি ব্রডওয়ের মূল নাটক আ স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার-এ ব্ল্যাঞ্চ ডুবোয়া চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মঞ্চনাটকে সেরা মুখ্য অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি এই পুরস্কারটি ক্যাথরিন কর্নেলজুডিথ অ্যান্ডারসনের সাথে যৌথভাবে অর্জন করেন। কর্নেল অ্যান্থনি অ্যান্ড ক্লিউপেট্রা নাটকে এবং অ্যান্ডারসন মেডিয়া নাটকে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮৯ সালে ড্রাইভিং মিস ডেইজি চলচ্চিত্রে মিস ডেইজি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, বাফটা পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। ৮১ বছর বয়সে পুরস্কার লাভ করা ট্যান্ডি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অস্কার অর্জন করা বয়োজ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী।[] এছাড়া তিনি ১৯৯১ সালে ফ্রাইড গ্রিন টম্যাটোস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি যখন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে ছিলেন, পিপলস ম্যাগাজিন তাকে তাদের "৫০ সেরা সুন্দরী" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ১৯৯০ সালে তার ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং এর চিকিৎসা করেন। ১৯৯৪ সালে মৃত্যুর কিছুদিন পূর্ব পর্যন্ত তিনি অভিনয় চালিয়ে যান।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

ট্যান্ডি ১৯০৯ সালের ৭ই জুন লন্ডনের স্টোক নিউইংটনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হ্যারি ট্যান্ডি ও মাতা জেসি হেলেন হর্সপুল। তার মাতা কেমব্রিজশারের উইজবিচের ফেনল্যান্ড জেলার একটি বড় পরিবারের সদস্য ছিলেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের একটি স্কুলের প্রধান ছিলেন। ট্যান্ডির পিতা দড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন।[] তার যখন ১২ বছর বয়স, তখন তার পিতা মারা যান। তার ভাই এডওয়ার্ড এশিয়ায় জাপানি যুদ্ধবন্দী ছিলেন।[] ট্যান্ডি ইসলিংটনের ডেম অ্যালিস ওয়েন্‌স স্কুলে পড়াশোনা করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বার্জার, মেরেলিন (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)। "Jessica Tandy, a Patrician Star Of Theater and Film, Dies at 85"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৮ 
  2. "পোস্টারে আছেন, লালগালিচায় নেই"বাংলা ট্রিবিউন। মে ১২, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "The Academy Awards: A Look At Jessica Tandy"। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
  4. কেলি, টেরেন্স (১৯৭৭)। Living with Japanese। কেলান প্রেস। পৃষ্ঠা ১৩৬। আইএসবিএন 978-0-9530-1930-4 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা