জুর্মানা (১৯৭৯-এর চলচ্চিত্র)

১৯৭৯ এর হিন্দি চলচ্চিত্র, হৃষিকেশ মুখার্জী পরিচালিত

জুর্মানা (আক্ষ.'Penalty', জরিমানা) একটি ১৯৭৯ সালের হিন্দি রোমান্টিক ড্রামা ফিল্ম। এটি প্রযোজনা করেছেন দেবেশ ঘোষ এবং পরিচালনা করেছেন হৃষিকেশ মুখার্জি। ছবিতে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, রাখী, বিনোদ মেহরা, শ্রীরাম লাগু, এ কে হঙ্গল, আসরানি, ফরিদা জালাল, কেষ্ট মুখার্জী এবং অসিত সেন৷ গানটির কথা লিখেছেন আনন্দ বক্সী এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আর ডি বর্মন৷

জুর্মানা
পোস্টার
পরিচালকহৃষিকেশ মুখার্জী
প্রযোজকদেবেশ ঘোষ
শ্রী লোকনাথ চিত্রমন্দির
চিত্রনাট্যকারবিমল দত্ত
কাহিনিকারবিমল দত্ত
শ্রেষ্ঠাংশেঅমিতাভ বচ্চন
রাখী
বিনোদ মেহরা
সুরকাররাহুল দেব বর্মন
আনন্দ বক্সী (কথা)
চিত্রগ্রাহকজয়ন্ত পাঠারে
সম্পাদকসুভাষ গুপ্ত
পরিবেশকশিমারু ভিডিও প্রা. লি.
(২০০৫, ভারত, ডিভিডি)
মুক্তি
  • ১ মে ১৯৭৯ (1979-05-01)
স্থিতিকাল১৩৯ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

পটভূমি

সম্পাদনা

ইন্দর সাক্সেনা দিল্লির এক বিল্ডিং ঠিকাদার তিনি এমন মনোভাব পোষণ করেন অর্থই বিশ্বের প্রধান জিনিস। তার মামা একজন অনিচ্ছুক ইন্দরকে প্রতাপগড়ে একটি প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন ও তদারকি করতে রাজি করান। সেখানে পৌঁছলে, তিনি তার কলেজের সহপাঠী প্রকাশ (বিনোদ মেহরা), তার অধ্যাপক দয়া শঙ্কর শর্মা (শ্রীরাম লাগু) এবং তার মেয়ে রমা (রাখি) এর দেখা পান। ইন্দর রমার দিকে তার চোখ রাখে, কিন্তু প্রকাশ, গোপনে রমাকে পছন্দ করে, ইন্দর (অমিতাভ বচ্চন) কে বলে যে সে এমন এক মেয়ে যাকে অর্থের শক্তিতে প্রলুব্ধ করা যায় না। কিন্তু, ইন্দরের দৃঢ় ধারণা রয়েছে যে নারীরা কেবলই টাকা চায় এবং প্রকাশকে বাজি ধরে যে সে তার টাকা দিয়ে রমাকে প্রলুব্ধ করবে। তার কৌশলের ঝুলি থেকে সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পরে, সে তার কবিতার একটি বই প্রকাশ করে এবং তাকে উপহার দেয়। এই অভিনবত্ব রমাকে অবাক করে এবং সে খুব পুলকিত হয়। একদিন, ইন্দর রমাকে তার সাথে যেতে বলে। রমা তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং লায়লাকে (ফরিদা জালাল) দেখতে যাবার বিষয়ে তার বাবাকে মিথ্যা বলে। সত্য জানার পর, দয়া শঙ্কর অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশের সাথে ইন্দরের বাড়িতে চলে যায়, রামকে তার শোবার ঘরে দেখতে পায় এবং মিথ্যা বলার জন্য তাকে তিরস্কার করে। রমা চিরতরে বাড়ি ছেড়ে দিল্লির দিকে যাওয়ার সময় ডাকাতি হয়, যার জন্য তাকে ট্রেন থেকে নামতে হয়। বিপদগ্রস্ত রমা স্টেশন মাস্টার নন্দলালের (আসরানী) সাহায্য পান, যিনি তাকে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন। কাকতালীয়ভাবে একই ট্রেনে দুর্ঘটনা ঘটে। একটি অচেনা ক্ষতিগ্রস্থ দেহকে রমা বলে ধরে নিয়ে, পুলিশ তার মৃত্যুর বিষয়ে দয়াশঙ্করকে একটি চিঠি পাঠায়, সবাই হতবাক হয়ে যায়। ইন্দর, ঘটনার জন্য দোষী বোধ করে, বিশ্বাস করে যে রমা বেঁচে আছে এবং তাকে খুঁজছে। এদিকে, রমা তার দুঃখ ভুলতে গান শিখে এবং এক বিখ্যাত গায়িকা হয়ে ওঠে। একদিন, ইন্দর রেডিওতে তার গান শুনতে পায়, তাকে খুঁজে বের করে এবং প্রকাশকে জানায়। অবশেষে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি এবং মতপার্থক্য মিটে গেলে, রমা এবং ইন্দর একত্রিত হয়।

কুশীলব

সম্পাদনা

কলাকুশলী

সম্পাদনা

পুরস্কার

সম্পাদনা
২৭তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার :

মনোনীত

সাউন্ডট্র্যাক

সম্পাদনা

সকল গানের গীতিকার আনন্দ বক্সী; সকল গানের সুরকার রাহুল দেব বর্মন

নং.শিরোনামগায়কদৈর্ঘ্য
১."সাওয়ান কে ঝুলে পড়ে হ্যায়" (করুণ)লতা মঙ্গেশকর৫:২৫
২."এ সখি রাধিকে বাওরি হো গেই"লতা মঙ্গেশকর, মান্না দে৬:১০
৩."ছোটি সি এক কলি খিলি থি"লতা মঙ্গেশকর৫:১০
৪."নাচুঁ ম্যায় গাও তুম"আশা ভোঁসলে, রাহুল দেব বর্মন৫:৫৫
৫."সাওয়ান কে ঝুলে পড়ে হ্যায়" (করুণ)লতা মঙ্গেশকর৩:৫০
৬."ছোটি এক কলি"যন্ত্রসঙ্গীত৫:১৫
৭."শিরোনাম গান"যন্ত্রসঙ্গীত১:৩০

বহি সংযোগ

সম্পাদনা