জুদিয়াক (খুনি)
জুদিয়াক ছিলেন একজন সিরিয়াল কিলার যিনি ১৯৬০ সালের পর থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় মানুষ খুন করেছেন।[১] এখন পর্যন্ত এই খুনির পরিচয় জানা যায়নি। জুদিয়াক ডিসেম্বর ১৯৬৮ ও অক্টোবর ১৯৬৯ সালের মধ্যে বেনিসিয়া, ভ্যালিযু, লেক ব্যারিসা এবং সান ফ্রান্সিসকোতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারীকে হত্যার জন্য টার্গেট করেছিলেন। প্রত্যেক হত্যার পর খুনি স্থানীয় পুলিশ ও সংবাদসংস্থাকে জানিয়ে একটি চিঠি দিতেন যাতে তিনি তার নাম জুদিয়াক বলে উল্লেখ করেন। এসব চিঠিতে চারটি সাংকেতিক ভাষার শব্দ ছিল যার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি সমাধান করা হয়েছে।[২][৩]
জুদিয়াক খুনি | |
---|---|
ব্যক্তির তথ্য | |
নামেও পরিচিত | জুদিয়াক |
জন্ম | অজানা |
মৃত্যু | অজানা |
মৃত্যুর কারণ | অজানা |
দোষপ্রমাণ | N/A |
কারাদণ্ড | N/A |
হত্যাকাণ্ড | |
শিকারের সংখ্যা | ৫ জন হত্যা, ২ জন আহত (সম্ভবত ৩৭ জনকে হত্যা করেছিল।) |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
রাজ্য | ক্যালিফোর্নিয়া, (সম্ভবত নেভাডাতেও) |
ধরার তারিখ | N/A |
খুনের পর থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা অনেককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেন কিন্তু তাদের হাতে জোড়ালো কোন প্রমাণ ছিলনা। ২০০৪ সালের এপ্রিলে সানফ্রান্সিসকো পুলিস এই মামলাকে সক্রিয় মামলার তালিকা থেকে বাদ দেয়। যদিও পরবর্তীকালে ২০০৭ সালের মার্চে আবার চালু হয়েছিল কিন্তু কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।[৪] ভ্যিালিজু, নাপা কাউন্টি ও সোলানো কাউন্টির প্রশাসন এখনো মামলাটি চালু করে রেখেছে। ক্যালিফোর্নিয়া পুলিস প্রশাসন ১৯৬৯ সাল থেকে জুদিয়াক মামলাটি চালু রেখেছে কিন্তু কেউই তেমন কোন আগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।[৫]
হত্যাকাণ্ড
সম্পাদনা- নিশ্চিত টার্গেট
যদিও জুদিয়াক তার চিঠিতে ৩৭টি হত্যার কথা দাবি করেছিল কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা মাত্র ৭ জনের কথা নিশ্চিত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২ জন আহত অবস্থায় উদ্ধার পেয়েছিল। নিচে তালিকা দেওয়া হল,
- ডেভিড আর্থার ফ্যারাডে (১৭) এবং বিটে লাউ জেনসন (১৬), যাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল ২০ ডিসেম্বর ১৯৬৮ সালে। তাদের দেহ পাওয়া গিয়েছিল বেনিসিয়া শহরের লেক হেরম্যান সড়কে। স্থানাঙ্ক: ৩৮°৫′৪১.৬১″ উত্তর ১২২°৮′৩৮.২৪″ পশ্চিম / ৩৮.০৯৪৮৯১৭° উত্তর ১২২.১৪৩৯৫৫৬° পশ্চিম
- ৪ জুলেই, ১৯৬৯ সালে মাইকেল রেনাল্ট ম্যাগাও (১৯) ও ডারলেন এলিজাবেথ ফেরিনকে ভ্যালেজোর ব্লু রক স্প্রিং পাকিং এলাকায় গুলি করা হয়। ম্যাগাও বেঁচে যায় কিন্তু মাইকেলকে কাইসের ফাউন্ডেসন হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্থানাঙ্ক: ৩৮°৭′৩৩.৫৬″ উত্তর ১২২°১১′২৭.৯৪″ পশ্চিম / ৩৮.১২৫৯৮৮৯° উত্তর ১২২.১৯১০৯৪৪° পশ্চিম
- ব্রায়ান কেলভিন হার্টনেল (২০) ও সিসিলিয়া অ্যানা শ্যাপার্ড (২২) ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে গুলিবিদ্ধ হন কিন্তু শ্যাপার্ড পরে মারা যান। স্থানাঙ্ক: ৩৮°৩৩′৪৮.২৯″ উত্তর ১২২°১৩′৫৪.৪৩″ পশ্চিম / ৩৮.৫৬৩৪১৩৯° উত্তর ১২২.২৩১৭৮৬১° পশ্চিম
- পাউল লি স্টিন (২৯) ১৯৬৯ সালের ১১ অঅক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। স্থানাঙ্ক: ৩৭°৪৭′১৯.৪৭″ উত্তর ১২২°২৭′২৫.৫৪″ পশ্চিম / ৩৭.৭৮৮৭৪১৭° উত্তর ১২২.৪৫৭০৯৪৪° পশ্চিম
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Zodiac Killer Biography"। Biography।
- ↑ "Zodiac Letters"। Zodiackiller.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৯, ২০১১।
- ↑ SFPD News Release, March 2007
- ↑ "Zodiac: The killer who will not die"। ২৪ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৩।
- ↑ California Department of Justice Website
প্রধান উৎস
সম্পাদনাএফবিআই নথি:
- FBI Case File (1 of 5) on the Zodiac Killer. 89 pages.
- FBI Case File (2 of 5) on the Zodiac Killer. 109 pages.
- FBI Case File (3 of 5) on the Zodiac Killer. 258 pages.
- FBI Case File (4 of 5) on the Zodiac Killer. 208 pages.
- FBI Case File (5 of 5) on the Zodiac Killer. 373 pages.
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- Charles F. Adams (অক্টোবর ১, ২০০৪), Murder by the Bay: historic homicide in and about the city of San Francisco, Quill Driver Books, আইএসবিএন 978-1-884995-46-0
- Brenda Haugen (আগস্ট ১, ২০১০), The Zodiac Killer: Terror and Mystery, Capstone Press, আইএসবিএন 978-0-7565-4357-0
- Robert Graysmith (জানুয়ারি ২, ২০০৭), Zodiac, Berkley Books, আইএসবিএন 978-0-425-21218-9
- Robert Graysmith (জানুয়ারি ১, ২০০৭), Zodiac unmasked: the identity of America's most elusive serial killer revealed, Penguin, আইএসবিএন 978-0-425-21273-8
- Michael D. Kelleher; David Van Nuys (২০০২), "This is the Zodiac speaking": into the mind of a serial killer, Praeger, আইএসবিএন 978-0-275-97338-4
- Gareth Penn (১৯৮৭), Times 17: the amazing story of the Zodiac murders in California and Massachusetts, 1966–1981, Foxglove Press
- William T. Rasmussen (আগস্ট ২০০৬), Corroborating Evidence II, Sunstone Press, আইএসবিএন 978-0-86534-536-2
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- "Zodiac Murder Map" – Google Map plotting definite and possible Zodiac attacks (with details).