জিয়া (চলচ্চিত্র)

আমেরিকান টেলিচলচ্চিত্র

জিয়া হচ্ছে ১৯৯৮ সালে নির্মিত এইচবিও'র জন্য তৈরি একটি টেলিচলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি আমেরিকান ফ্যাশন মডেল জিয়া মারি কারাঞ্জির জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এর শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, মার্সিডিজ রুহেল, ফায়ে ডুনাওয়ে, এবং এলিজাবেথ মিশেল। এই ছবিটির পরিচালক মাইকেল ক্রিস্টোফার, এবং চলচ্চিত্ররূপ দিয়েছেন জায় ম্যাক্‌লনারনে। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন টেরেন্স ব্লানশার্ড

জিয়া
জিয়া-এর ডিভিডি প্রচ্ছদ
পরিচালকমাইকেল ক্রিস্টোফার
প্রযোজকজেমস ডি. ব্রুবাকার
রচয়িতাজায় ম্যাকনারনে
মাইকেল ক্রিস্টোফার
শ্রেষ্ঠাংশেঅ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ফায়ে ডুনাওয়ে
মার্সিডিজ রুহেল
এলিজাবেথ মিশেল
সুরকারটেরেন্স ব্লানশার্ড
চিত্রগ্রাহকরড্রিগো গার্সিয়া
সম্পাদকএরিক এ. সিয়ার্স
পরিবেশকএইচবিও
মুক্তি৩১ জানুয়ারি, ১৯৯৮
স্থিতিকাল১২৬ মিনিট
দেশ যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি

কাহিনী সংক্ষেপ

সম্পাদনা

জিয়া কারাঞ্জি ফিলাডেলফিয়ায় জন্ম নেওয়া একটি মেয়ে যে, ফ্যাশন মডেল হবার আকাঙ্ক্ষায় নিউ ইয়র্ক সিটিতে আসেন। শীঘ্রই তিনি প্রভাবশালী ফ্যাশন এজেন্ট ভিলহেলমিনা কুপারের নজরে পড়েন। জিয়ার চলনভঙ্গি এবং সৌন্দর্য খুব তাড়াতাড়িই মডেলিং শিল্পে তার একটি অবস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু তার ভেতরে জমাট বেধে থাকা একাকিত্ব তাকে মাদকের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। জিয়া কোকেন-এ আসক্ত হন। জিয়া তার রূপসজ্জাকর লিন্ডার সাথে সমকামী প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। লিন্ডার প্রতি জিয়ার বিশেষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেতো। তাদের এই প্রেম প্রথম শুরু হয় যখন তারা দুজনে একটি নগ্ন চিত্রগ্রহণে অংশ নেন। এরপর একসময় লিন্ডা একসময় জিয়ার মাদকাসক্তির কথা জানতে পারে, এবং জিয়াকে এটা ছাড়ার সময় বেঁধে দেয়। জিয়া মাদককেই গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে লিন্ডার সাথে তার সম্পর্কে ছেদ পড়ে, এবং জিয়ার মা তাকে হিরোইন থেকে মুক্ত করতে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে ভর্তি করে দেন। কঠোর চেষ্টার ফলে অবশেষে সে মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত পায়, কিন্তু ততোদিনে এইচআইভি'র জীবাণু তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। এইচআইভি জীবাণুযুক্ত সূচ-সিরিঞ্জ ব্যবহারের ফলে তার দেহে এ জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। অবশেষে এইডস-এ আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৬ সালে, মাত্র ২৬ বছর বয়সে জিয়ার মৃত্যু ঘটে।

চরিত্রসমূহ

সম্পাদনা
অভিনয়শিল্পী চরিত্র
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জিয়া কারাঞ্জি
এলিজাবেথ মিশেল লিন্ডা
এরিক মাইকেল কোল টি.জে.
কাইলি ট্র্যাভিস স্টেফানি
লুইস জিয়ামভালভো জোসেফ কারাঞ্জি
জন কনসাইডিন ব্রুস কুপার
স্কট কোহেন মাইক ম্যানসফিল্ড
এডমুন্ড জেনেস্ট ফ্রান্সেসকো স্ক্যাভুলো
মার্সিডিজ রুহেল ক্যাথলিন কারাঞ্জি
ফায়ে ডুনাওয়ে ভিলহেলমিনা কুপার
আলেক্সান্ডার এনবার্গ ক্রিস ভন ওয়ানজেনহাইম
মিলা কুনিস কিশোরী জিয়া

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা