জিমি সিনক্লেয়ার
জেমস হিউ সিনক্লেয়ার (ইংরেজি: Jimmy Sinclair; জন্ম: ১৬ অক্টোবর, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৩) কেপ উপনিবেশের সোয়েলেন্ডামে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৬ থেকে ১৯১১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জিমি সিনক্লেয়ার।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেমস হিউ সিনক্লেয়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সোয়েলেন্ডাম, কেপ উপনিবেশ | ১৬ অক্টোবর ১৮৭৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩ ইউভিল, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়ন | (বয়স ৩৬)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ মার্চ ১৯১১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাছয় ফুট চার ইঞ্চি দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী ছিলেন জিমি সিনক্লেয়ার।[১] দৈত্যাকৃতির ডানহাতি আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। এছাড়াও চমৎকার ফাস্ট বোলার হিসেবে সুনাম ছিল তার। পেসের ভিন্নতা আনয়ণ করে উঁচুমানের বল ছুঁড়তেন।[২]
১৮৯২-৯৩ মৌসুমে কারি কাপে ট্রান্সভালের পক্ষে নিজস্ব ষোড়শ জন্মদিনের অল্প কয়েকদিন পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জিমি সিনক্লেয়ারের। বোলিং ও ব্যাটিং উভয় বিভাগেই উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি। আট উইকেটসহ ৩৭ ও ১১ রান তুলেছিলেন। ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে লর্ড হক একাদশের বিপক্ষে জোহেন্সবার্গ পঞ্চদশ দলের সদস্যরূপে খেলেন। খেলায় তিনি ১০ উইকেট ও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান তুলেছিলেন। ফলশ্রুতিতে এর পরপরই তিন টেস্টে খেলার জন্যে মনোনীত হন তিনি।
ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৭ সালে ক্লাবের খেলায় জিমি সিনক্লেয়ার অপরাজিত ৩০১ রানের ইনিংস খেলেন। তার এ সংগ্রহটি অনেক বছর ধরে যে-কোন ধরনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সংগ্রহরূপে পরিগণিত হয়েছিল।[৩]
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনাঐ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের মান তথৈবচ ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই কেবলমাত্র তিন টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল দলটির। দলের কোন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান ছিল না। কোন ব্যাটসম্যানই ২৯-এর অধিক রান করতে পারেননি। নিম্নমানের রেকর্ডটি ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমের প্রথম টেস্ট পর্যন্ত টিকেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে জিমি সিনক্লেয়ার ৪০ রান তুললে নতুন রেকর্ডের সৃষ্টি হয়।[৪] সিরিজ শেষে ১৭.১৬ গড়ে ১০৩ রান তুলে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।[৫] এছাড়াও বোলিং উদ্বোধনে নেমে ৩০.৩৭ গড়ে আট উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট লাভকারী হন।[৬] তিন টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের সবকটি টেস্টেই বিরাট ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকা দল পরাজিত হয়েছিল।
১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা দল দুই খেলার সিরিজে অংশ নেয়। খেলাগুলোয় সিনক্লেয়ারের কল্যাণে স্বাগতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে পরাজিত হয়েছিল তার দল। প্রথম টেস্টে বোলিং না করলেও ৮৬ রান তুলেন। এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে পেলহাম ওয়ার্নার ১৩২ রান বাদে খেলায় অন্য কেউ ৪০ রান করতে পারেননি।[৭]
দ্বিতীয় টেস্টে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শতরান করার পাশাপাশি একই টেস্টের এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট দখল করেছিলেন।[৮] ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬/৩০ পেয়ে ৯২ রানে অল-আউট করে দেন। এরপর ২৭/২ থাকাবস্থায় ১০৬ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলে দলকে ১৭৭ রানে নিয়ে যান ও সবার শেষে আউট হন।[৯] উভয় ইনিংসেই বাউন্ডারি সীমানায় কট আউটে বিদায় নেন তিনি।[১]
১৯০২-০৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল শক্তিধর সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। প্রথম টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়। সিনক্লেয়ার ৪৪ ও ১৯ রান তুলার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট পান।[১০] এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট ছিল যাতে তারা পরাজিত হয়নি। এক সপ্তাহ পর একই মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা দল পরাজিত হলেও উভয় ইনিংসেই তিনি দলের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে দলের ২৪০ রানের মধ্যে তিনি দুই ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে ১০১ রান তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের সংগৃহীত ৮৫ রানে মধ্যে তিনি করেছিলেন ১৮ রান।[১১]
তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বকালের অন্যতম সেরা দ্রুতগতিসম্পন্ন টেস্ট শতক হাঁকান। ৮০ মিনিটে ১০৪ রানের ঐ ইনিংসটিতে ৭৯ বল মোকাবেলা করে ছয় ছক্কায় এ সংগ্রহটি করেন। উইজডেন ইনিংসটিকে অত্যন্ত চমকপ্রদরূপে বর্ণনা করে। তবে সেঞ্চুরি করার পর তিনি যদি কিছুটা ধীরলয়ে খেলতেন তাহলে হয়তোবা ইনিংসটিকে অনেকদূর নিয়ে যেতে পারতেন।[১১] ৮১/২ থাকাবস্থায় উইকেটে আসেন। যখন বিদায় নেন তখন দলের সংগ্রহ ছিল ২১৬/৬। এ খেলায়ও দক্ষিণ আফ্রিকা দল পরাজয়বরণ করে তার দল।[১২]
২০০৫-০৬ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী টেস্ট সিরিজে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ২০.০০ গড়ে ঐ সিরিজে জিমি সিনক্লেয়ার ১৬০ রান তুলেছিলেন।[১৩] এছাড়াও ১৯.৯০ গড়ে ২১ উইকেট দখল করেছিলেন।[১৪] দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এ পর্যায়ে অল-রাউন্ডার অব্রে ফকনার, সতীর্থ লেগ স্পিনার - রেজি সোয়ার্জ, বার্ট ভগলার, গর্ডন হোয়াইটের ন্যায় প্রতিভাধর খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের কল্যাণে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করতে সমর্থ হয়।
১৯১১ সাল পর্যন্ত টেস্ট খেলা অব্যাহত রাখেন তিনি। তবে মাঝারিমানের সফলতা পান।[১৫]
বোর যুদ্ধে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাবোর যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পক্ষে জিমি সিনক্লেয়ার যুদ্ধ করেন। বোরদের হাত ধরা পড়েন। তবে, ১৯০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ইংল্যান্ডে যাবার প্রাক্কালে মুক্তি পান তিনি।[১৬] তবে ঐ সফরে কোন টেস্ট খেলা হয়নি। তার ব্যাটিং মাঝারিমানের ছিল। কিন্তু, কাউন্টি দলগুলোর বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর খেলায় দুইবার ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন।[১৬]
ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে লন্ডন কাউন্টি ও জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। তন্মধ্যে, লন্ডনের পক্ষে খেলে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ৮/৩২ পেয়েছিলেন[১৭] ও ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ৮০ মিনিটে অপরাজিত ১০৮ রান তুলেন।[১৮]
অর্জনসমূহ
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেছে জিমি সিনক্লেয়ারের। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে প্রথম তিনটি টেস্টে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্বের অধিকারী তিনি।[১৯] টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই টেস্টের একই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন। অন্যতম টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুতলয়ে সেঞ্চুরি করার অধিকারী তিনি।
২০০৬ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, তিনি বিশ্বের ষষ্ঠ দ্রুততম ব্যাটসম্যান। প্রতি ১০০ বলে ৭১ বা ৭২ রান তুলতেন।[২০] তাকে ঘিরে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। একবার ওল্ড ওয়ান্ডারার্স গ্রাউন্ডে ছক্কা হাঁকালে জোহেন্সবার্গে থেমে থাকা কেপমুখী রেলগাড়িতে বল ঢুকে। গন্তব্যস্থানে পৌঁছার পরই কেবলমাত্র বলটি উদ্ধার করা সম্ভবপর হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে অগ্নিকাণ্ডের পূর্ব-পর্যন্ত ক্লাবহাউজে রক্ষিত ছিল।
এছাড়াও জিমি সিনক্লেয়ার আন্তর্জাতিক রাগবি ইউনিয়নে অংশ নেয়াসহ একবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অংশ নিয়েছেন। এরফলে দেশের পক্ষে তিনটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। তার এ অসামান্য কীর্তিগাঁথার সাথে সমসাময়িককালের পার্সি শেরওয়েলের ক্রিকেট, ফুটবল ও টেনিসে অংশগ্রহণের মিল রয়েছে।
দেহাবসান
সম্পাদনা২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৩ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়নের ট্রান্সভাল প্রদেশের ইউভিল এলাকায় মাত্র ৩৭ বছর বয়সে জিমি সিনক্লেয়ারের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Benny Green ed. (1979) Wisden Anthology 1864–1900, Queen Anne Press, London. p. 870. আইএসবিএন ০৩৫৪০৮৫৫৫৭.
- ↑ Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 313.
- ↑ Ali Bacher & David Williams, Jacques Kallis and 12 Other Great South African All-Rounders, Penguin, Johannesburg, 2013, p. 4.
- ↑ "South Africa v England, Johannesburg 1895–96"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "Test Batting and Fielding for South Africa"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "Test Bowling for South Africa"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "South Africa v England, Johannesburg 1898–99"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৬।
- ↑ Wisden Cricketers' Almanack 2016, pp. 1309–10.
- ↑ "South Africa v England, Cape Town 1898–99"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৬।
- ↑ "South Africa v Australia, Johannesburg (First Test) 1902–03"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬।
- ↑ ক খ Bacher & Williams, p. 7.
- ↑ "South Africa v Australia, Cape Town 1902–03"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Test batting and fielding for South Africa 1905–06"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Test bowling for South Africa 1905–06"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬।
- ↑ Bacher & Williams, pp. 8–11.
- ↑ ক খ Bacher & Williams, p. 6.
- ↑ "London County v Derbyshire 1901"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "London County v Warwickshire 1901"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬।
- ↑ Sengupta, Arunabha (অক্টোবর ৫, ২০১৬)। "Jimmy Sinclair: The man who scored the first three South African Test hundreds"। Cricket Country।
- ↑ Bacher & Williams, p. 11.
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Ali Bacher and David Williams (2013) Jacques Kallis and 12 Other Great South African All-Rounders. Penguin, Johannesburg. আইএসবিএন ৯৭৮০১৪৩৫৩৮৩২৫.
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জিমি সিনক্লেয়ার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জিমি সিনক্লেয়ার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)