যায়দী ইমামত
যায়দী ইমামত (আরবি: الإمامة الزيدية, প্রতিবর্ণীকৃত: al-Imāmah az-Zaydiyyah) ছিল শিয়া ইসলামের যায়দী শাখার অন্তর্গত ধর্মীয়ভাবে পবিত্র একটি নেতৃত্ব ও ইমামত। এটি ৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ইয়েমেনের কিছু অংশে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক শাসনের একটি মিশ্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাদের ইমামত ১৯৯২ সালের প্রজাতন্ত্র বিপ্লবের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে স্থিত ছিল। যায়দী ধর্মতত্ত্ব ইসনা আশারিয়া ও ইসমাইলি শিয়াদের থেকে আলাদা ছিল কেননা তারা একজন সক্রিয় ও দৃশ্যমান ইমামের নেতৃত্বের উপর জোর দিয়েছিল। ইমামের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা হত যে তিনি ধর্মীয় বিদ্যাবত্তায় জ্ঞানবান হবেন এবং নিজেকে সম্প্রদায়ের একজন যোগ্য সর্দার হিসাবে প্রমাণ করবেন, এমনকি প্রয়োজনে যুদ্ধের ময়দানেও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। ইমামতের একজন দাবিদার “আহ্বান” (দাওয়াহ) ঘোষণা করত এবং সেক্ষেত্রে একই সময়ে ইমামতের একাধিক দাবিদার খুব কম ছিল না।[১]
যায়দীর ইমামত | |
---|---|
প্রাক্তন রাজতন্ত্র | |
প্রতীক | |
প্রথম রাজশাসক | আল-হাদী ইলাল হক ইয়াহিয়া |
শেষ রাজশাসক | মুহাম্মদ আল-বদর |
দাপ্তরিক আবাস | দারুল হাজর, সানা, ইয়েমেন |
রাজতন্ত্রের সূচনা | আনু. ৮৯৭ |
রাজতন্ত্রের সমাপ্তি | ১৯৬২ |
বর্তমান ধারক | আকীল বিন মুহাম্মদ আল-বদর |
ইতিহাস
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
প্রতিষ্ঠা
সম্পাদনাঅন্যান্য রাজবংশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব
সম্পাদনাকাসেমীয় রাষ্ট্র
সম্পাদনাআধুনিক ইতিহাস
সম্পাদনাইমামদের তালিকা
সম্পাদনাআকীদা
সম্পাদনাঅনেক ইমামি শিয়াদের (ইসনা আশারিয়া ও ইসমাইলি) বিপরীতে যায়দী রা তাদের ইমামদের প্রতি ঈশ্বরপ্রদত্ত বা অতিমানবিক গুণাবলী আরোপ করে না।[২]
যায়দী , দ্বাদশী ও ইসমাইলিরা অভিন্নভাবে প্রথম চার ইমামকে স্বীকৃতি দেয়; তবে যায়দী রা যায়দ ইবনে আলীকে পঞ্চম ইমাম হিসেবে গণ্য করে। তাদের বিশ্বাসমতে যায়দের পর হাসান বা হোসেনের বংশোদ্ভূত যে কেউ নির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে ইমাম হতে পারেন।[৩] ঐতিহাসিকভাবে খ্যাত অন্যান্য যায়দী ইমামদের মধ্যে ইয়াহিয়া ইবনে যায়দ, মুহম্মদ আন-নফস আজ-জাকিয়া এবং ইব্রাহীম ইবনে আব্দুল্লাহ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
যায়দী ইমামত তত্ত্বমতে ইমামগণ নিষ্পাপ বা অভ্রান্ত নন, এমনকি তাঁরা ঐশী দিকনির্দেশনাও পান না। যায়দীরা এও বিশ্বাস করে না যে ইমামত পিতা থেকে পুত্রতে স্থানান্তরিত হয়। বরং তাদের মতে হাসান ইবনে আলী বা হোসেন ইবনে আলীর বংশধর যেকোনো ফাতেমীয় বা সৈয়দ পুরুষ ব্যক্তি ইমাম হতে পারেন (কারণ হাসানের মৃত্যুর পর ইমামত তাঁর পুত্রের কাছে না গিয়ে তাঁর ভাই হোসেনের নিকট স্থানান্তরিত হয়েছিল)। ঐতিহাসিকভাবে, যায়দীরা মনে করে যে যায়দ ছিলেন ৪র্থ ইমামের ন্যায্য স্থলাভিষিক্ত কেননা তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিপরায়ণ উমাইয়া শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। মুহম্মদ আল-বাকির কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াননি। যায়দীরা বিশ্বাস করে যে একজন প্রকৃত ইমামকে অবশ্যই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- সাধারণ
- Harris, Walter B. (১৮৯৩)। A Journey Through the Yemen and Some General Remarks Upon That Country। Edinburgh and London: William Blackwood and Sons। পৃষ্ঠা 374–375। ওসিএলসি 5044217।
- Imam Zaid bin Ali Cultural Foundation, مؤسسة الإمام زيد بن علي الثقافية :: استعراض الكتاب (in Arabic).
- নির্দিষ্ট
- ↑ Jane Hathaway, A Tale of Two Factions; Myth, Memory, and identity in Ottoman Egypt and Yemen. New York 2003, pp. 79–81.
- ↑ Francis Robinson, Atlas of the Islamic World Since 1500, pg. 47. New York: Facts on File, 1984. আইএসবিএন ০৮৭১৯৬৬২৯৮
- ↑ Sunni-Shiʻa Schism: Less There Than Meets the Eye Library of Congress Web Archives আর্কাইভকৃত ২৩ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে 1991 Page 24
অধিকতর পাঠ
সম্পাদনা- A.M.H.J. Stokvis, Manuel d'histoire, de généalogie et de chronologie de tous les états du globe, Vol I-III. Leiden 1888-93.
- Peter Truhart, Regents of Nations. München 2003
- E. de Zambaur, Manuel de généalogie et de chronologie de l'histoire de l'islam. Hannover 1927.