জামালউদ্দিন হোসেন

একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি

জামালউদ্দনি হোসেন (জন্ম: ১০ অক্টোবর ১৯৪৩ - ১১ অক্টোবর ২০২৪) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক ও নাট্য কর্মী। শিল্পকলায় তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে তাকে একুশে পদক প্রদান করে।[]

জামালউদ্দিন হোসেন
জন্ম১০ অক্টোবর ১৯৪৩
মৃত্যু১১ অক্টোবর ২০২৪(2024-10-11) (বয়স ৮১)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
মাতৃশিক্ষায়তনচট্টগ্রাম কলেজ
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
দাম্পত্য সঙ্গীরওশন আরা হোসেন (বি. ১৯৭৫)

শিক্ষা ও কর্মজীবন

সম্পাদনা

হোসেন চট্টগ্রাম কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিখ্যাত নাট্য অভিনেতা আবুল হায়াৎ তার সহপাঠী ছিলেন।

হোসেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন, যে নাট্যগোষ্ঠী ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বর্তমান ছিল। ১৯৯৭ সালে তিনি তার নিজের নাট্যগোষ্ঠী নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল শুরু করেন এবং এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বেতার টেলিভিশন শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, রাজা রাণী, চাঁদ বনিকের পালা, আমি নই, বিবিসাহেব, জুগলবন্দী সহ বিখ্যাত মঞ্চ নাটকসমুহ তিনি পরিচালনা করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

জামালউদ্দিন হোসেন ১৯৭৫ সালে অভিনেত্রী রওশন আরা হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা উভয়ই নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের শিল্পী ছিলেন, সেখানেই তাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল। তার ছেলে তাফসিন হোসেন তপু ক্যালগেরিস্থ মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক।

মৃত্যু

সম্পাদনা

জামালউদ্দিন হোসেন ১১ অক্টোবর কানাডার ক্যালগেরিস্থ রকভিউ হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ"। বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৭ 
  2. ডিজিটাল ডেস্ক, ইত্তেফাক। "অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন মারা গেছেন"