জানে তু... ইয়া জানে না

জানে তু ... ইয়া জানে না (হিন্দি: जाने तू ... या जाने ना, ইংরেজি: Whether you know... or not বাংলা অনুবাদ: তুমি জানো...বা জানো না) ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আব্বাস টায়ারওয়ালা পরিচালিত একটি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটির কেন্দ্রীয় ভূমিকাতে অভিনয় করেছে ইমরান খান এবং জেনেলিয়া ডি'সুজা। আমির খান ও মনসুর খান এই চলচ্চিত্রটির প্রযোজক। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ইমরান খান (আমির খানের ভাগনে) ও পরিচালক হিসেবে আব্বাস টায়ারওয়ালা প্রথম আত্মপ্রকাশ করলেন। জুলাই ৪, ২০০৮ সালে মুক্তি পাবার পর, চলচ্চিত্র অনেক প্রশংশা পেয়েছে এবং বক্স অফিসে সম্পূর্ণভাবে সফল হয়।[]

জানে তু... ইয়া জানে না
চলচ্চিত্রটির পোস্টার
পরিচালকআব্বাস টায়ারওয়ালা
প্রযোজকআমির খান
মনসুর খান
রচয়িতাআব্বাস টায়ারওয়ালা
শ্রেষ্ঠাংশেইমরান খান
জেনেলিয়া ডি'সুজা
সুরকারএ আর রহমান
চিত্রগ্রাহকমনোজ লোবো
পরিবেশকআমির খান প্রোডাকশন
পিভিআর সিনেমাস
মুক্তি৪ঠা জুলাই, ২০০৮
স্থিতিকাল১৫৫ মিনিট
দেশভারত ভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মাণব্যয়৩০০ মিলিয়ন রূপী

কাহিনী

সম্পাদনা

রোমান্সকে কেন্দ্র করে জানে তু ইয়া জানে না এই ছবির কাহিনী রচিত হয়েছে৷ রোমান্স, কমেডি, বিষাদ ভরপুর রয়েছে এই ছবির কাহিনীতে৷ এই ছবিতে ইমরান জয় সিং রাঠোরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন৷ জয় একজন রাজপুত৷ জয় সিং রাঠোর অরফে জয় ( ইমরান খান ) হল রাজস্থানের ছেলে৷ সে কোনরকম হিংসামূলক কাজ করতে পছন্দ করে না৷ ছোটবেলায় ও ওর বাবাকে হারিয়েছে৷ মায়ের কাছে ও মানুষ হয়েছে৷ স্বামীর মৃত্যুর পর অদিতি রাজস্থান ছেড়ে মুম্বইতে চলে আসেন৷ জয়ের মা হলেন একজন সামাজিক কর্মী৷ মানুষের অধিকারের জন্য তিনি লড়াই করেন৷ জয়ের মা সাবিত্রী মনে করেন ভারতীয় মায়েরা তাদের ছেলেদের অতিরিক্ত আহ্লাদ দিয়ে নষ্ট করে ফেলেন৷ যতটা জরুরি ছিল জয়কে তিনি ততটাই ভালবাসা দিয়েছেন৷ জলখাবার তৈরি করার থেকে কাপড় ধোওয়া সব কাজ জয় নিজে করে৷ জয়ের সঙ্গে জয়ের মায়ের একটা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব আছে৷ জয়ের জীবনে অদিতির একটা গুরুত্ব রয়েছে৷ প্রথম বার সাক্ষাত হওয়ার পরেই ওদের দুজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব হয়ে যায়৷ওরা কখনও আলাদা থাকে না৷ আর জয়ের পুরো বিপরীত হল অদিতি অর্থাত জেনেলিয়া৷ অদিতি খুব চঞ্চল মেয়ে৷ সে কোনরকম হিংসামূলক কাজ করতে পিছপা হয় না৷ কেউ একবার ওর বিরুদ্ধে কোন কাজ করলেই হয়েছে৷ তার আর রক্ষে থাকবে না৷ একমাত্র জয়ই অদিতির রাগ কমাতে পারে৷ তবে অদিতির এই রকম ব্যবহারে জয় কোন রকম ত্রুটি খুঁজে পায় না৷ জয় মনে করে এর জন্য অদিতির বাবা মা দায়ী৷ যদি ছোটবেলার থেকেই অদিতির এই রাগটা ওর বাবা মা নিয়ন্ত্রণ করতেন তাহলে অদিতি এইরকম হত না৷ অদিতি মহন্ত (জেনেলিয়া ) কথায় কথায় অদিতি একদিন জয়কে বলেছিল ছোটবেলায় ওর বন্ধুরা ওকে কালো বিড়াল বলে ডাকত৷ জয় এই নামটা পাল্টে অদিতির নাম দেন মাউ৷ তবে শুধুমাত্র জয় ছাড়া অদিতিকে কেউ ঐ নামে ডাকতে পারে না৷ আর কেউ যদি ডাকে তার আর রক্ষে থাকে না৷ জীবনের আনন্দ অদিতি পুরোপুরিভাবে উপভোগ করে৷ তবে অদিতির সঙ্গে কথা বলা খুব মুশকিলের ব্যাপার৷ আর অদিতির বন্ধু হওয়া সেতো আরও কঠিন ব্যাপার৷ কারো সঙ্গে প্রেম তো দূরের কথা৷ জয় অদিতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে কি করে বেঁচে আছে তা ভেবেই সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়৷ তবে কেউ যদি জয়কে কখনও বিরক্ত করে অদিতি তাকে ছেড়ে কথা বলে না৷জয়ের বন্ধু অদিতি (জেনেলিয়া) জয়কে ফট্টু বলে ডাকে৷ জয়ের থেকে স্বভাবে পুরো বিপরীত হল অদিতি৷ অদিতি সবার সঙ্গে ঝগড়া করে৷ জয় আর অদিতির দলের মধ্যে জিগ্গী, শালীন, রোতলু আর বম্বসও সামিল রয়েছে৷ রোতলু মনে মনে অদিতিকে ভালোবাসে৷ আর বম্বস জয়কে ভালোবাসে৷ রোতলু আর বম্বসের মধ্যে খুব মজার সম্পর্ক রয়েছে৷ ওরা একে অপরের মনের দুঃখের কথা জানে৷ জয় আর অদিতি সব সময় একসঙ্গে থাকে৷ সেইজন্য সবাই ভাবে ওদের মধ্যে প্রেম রয়েছে৷ তবে যখন জয় আর অদিতিকে অদিতির বাবা মা এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে তখন ওরা নাকচ করে৷ ওরা বলে ওদের মধ্যে শুধু বন্ধুত্ব রয়েছে৷ কি করে ওরা বুঝতে পারে যে ওরা একে অপরকে ভালবাসে? ছবিতে জয় আর জয়ের মায়ের মধ্যেকার সম্পর্কটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ অপরদিকে অদিতি ওর ভাই অমিতের মধ্যেকার সম্পর্ক, রোতলু আর বম্বসের মধ্যেকার সম্পর্কটাকেও খুব সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে৷জয়ের অহিংসামূলক আচরণ দেখে অদিতি মোটেও প্রভাবিত হয় না৷ অদিতি মনে করে এতদিন যত মানুষের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছে তাদের মধ্যে জয় হলেন সব থেকে ভীতু৷ জয় এবং অদিতি ওদের দুজনেরই স্বভাব একেবারেই আলাদা৷ এই ছবির গল্পে কিছু অন্য মোড় আছে৷ রোতলু মনে মনে অদিতির জন্য কাঁদে৷ অপরদিকে বম্বস মনে মনে জয়কে ভালবাসে৷জয় আর অদিতির মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও ওরা একে অপরের জন্য তৈরি হয়েছে৷ ওদের সব বন্ধুরাই এই কথাটা জানে৷ এমনকি ওদের বাবা মাও এই কথাটা জানে৷ কিন্তু জয় আর অদিতি কি এই কথাটা জানে? দুটো মানুষ কি ওদের একে অপরের মনের কথা জানতে পারবে? কি করে ওরা বুঝবে যে এটা ভালবাসা৷ এটাই এই ছবির মূল কাহিনী।

চরিত্রায়নে

সম্পাদনা

শুভমুক্তি

সম্পাদনা

জুলাই ৪, ২০০৮ সালে চলচ্চিত্রটি মুম্বাইয়ের গোরেগাঁও এলাকার পিভিয়ার সিনেমায় মুক্তি পায় যেখানে বলিউডের প্রায় সকল তারকারা উপস্থিত বর্তমান ছিল। চলচ্চিত্রটির জন্য বিশ্বব্যাপী ৪৭৩টি প্রিন্ট ছাড়া হয়েছিল যার মধ্যে ২৮২টি অ্যানালগ, ৮১টি ডিজিট্যাল এবং ১১০টি বিদেশের জন্য ছিল।

সংবর্ধনা

সম্পাদনা

বক্স অফিস

সম্পাদনা

সমালোচনা

সম্পাদনা

সঙ্গীত

সম্পাদনা

জানে তু ইয়া জানে না -র সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান এবং এর অডিও সিডি অ্যালবাম মে ২০,২০০৮ সসালে মুক্তি পায়।

জানে তু ইয়া জানে না
কর্তৃক অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ
২০শে মে, ২০০৮ (সিডি)
ঘরানাপূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাক
সঙ্গীত প্রকাশনী
টি-সিরিজ
প্রযোজকআমির খান, মনসুর খান
এ আর রহমান কালক্রম
যোদ্ধা আকবর
(২০০৮)
জানে তু ইয়া জানে না
(২০০৮)
String Module Error: Match not found
(String Module Error: Match not found)
গান গায়ক/গায়িকা স্থায়িত্ব
Kabhi Kabhi Aditi Zindagi Rashid Ali 3:41
Pappu Can't Dance Benny Dayal, Naresh Iyer, Satish Chakravarthy, Aslam, Blaaze, Tanvi, Bhargavi 4:27
Jaane Tu Mera Kya Hai (Aditi) Runa Rizvi 3:41
Nazrein Milaana Nazrein Churaana Benny Dayal, Satish Chakravarthy, Sayonara, Darshana, Svetha, Bhargavi, Anupama 3:57
Tu Bole, Main Boloon A.R.Rahman 4:36
Kahin To Hogi Woh Rashid Ali, Vasundhara Das 5:05
Jaane Tu Meri Kya Hai (Jai) Sukhwinder Singh 5:44
Pappu Can't Dance (Remix) Remix by Krishna Chetan 4:27

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা