জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর: ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তারপর র্দীঘ ৪২ বছর পর জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তর।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮১০ খ্রিষ্টাব্দে স্কটল্যান্ডের এক গীর্জায় রেভারেন্ড হেনরি ডানকান (সঞ্চয় ব্যাংকের জনক) প্রথম সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপন করেন। ১৯৪৪ সালে ভারতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২য় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ‘জাতীয় সঞ্চয় সংস্থা’ কাজ শুরু করে। এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় ভারতের সিমলায় অবস্থিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জাতীয় সঞ্চয়ের কার্যক্রম তদানীন্তন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭২ সালে জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। [১]
মূল উদ্দেশ্য
সম্পাদনাজাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রধান উদ্দেশ্য সমূহঃ
- জনগণকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা,
- বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের মাধ্যমে আহরণ করা,
- সঞ্চয় স্কীমের মাধ্যমে আহরিত অর্থ দ্বারা জাতীয় বাজেট ঘাটতি পূরণ করা,
- জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের মাধ্যমে দেশের বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠী যেমন- মহিলা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনয়ন,
- বৈদেশিক নির্ভরতা হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করা ইত্যাদি। [২]
প্রধান কার্যালয়
সম্পাদনাগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর
এন.এস.সি টাওয়ার (১৮ তলা), ৬২/৩, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোনঃ ৮৮০-২-৯৫৫৯৯০৮, ফ্যাক্সঃ ৮০-২-৫৭১৬৪৩৫৫
http://www.nationalsavings.gov.bd/
বর্তমান সঞ্চয় স্কীমসমূহ
সম্পাদনাসঞ্চয়পত্রসমূহ
সম্পাদনা৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
সম্পাদনা- মূল্যমানঃ ১০ টাকা; ৫০ টাকা; ১০০ টাকা; ৫০০ টাকা; ১,০০০ টাকা; ৫,০০০ টাকা; ১০,০০০ টাকা; ২৫,০০০ টাকা; ৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা। [৩]
- ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ (ক) ব্যক্তির ক্ষেত্রেঃ একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ। (খ) প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেঃ ঊর্ধ্বসীমা নেই।
- মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর।
- মুনাফার হারঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.২৮%। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৩৫%, ২য় বছরান্তে ৯.৮০%, ৩য় বছরান্তে ১০.২৫% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১০.৭৫% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে।
- যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ
- সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক;
- আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ (অংশ-২) এর বিধি ৪৯-এর উপ-বিধি(২) এ সংজ্ঞায়িত স্বীকৃত বভিষ্য তহবিল এবং বভিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫(১৯২৫ এর ১৯ নং) অনুযায়ী ভবিষ্য তহবিল;
- আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফষিল এর পার্ট এ এর অনুচ্ছেদ ৩৪ অনুযায়ী মৎস খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, পেলিটেট পোলট্রি ফিডস উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্দজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ হতে অর্জিত আয়-যা সংশ্লিষ্ট উপ-কমিশনার কর্তৃক প্রত্যায়নকৃত। [৪]
- নাবালকের পক্ষেও ক্রয় করা যায়।
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
সম্পাদনা- মূল্যমানঃ
- ১,০০,০০০ টাকা;
- ২,০০,০০০ টাকা;
- ৫,০০,০০০ টাকা এবং
- ১০,০০,০০০ টাকা।
- ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ টাকা।
- মেয়াদঃ ৩ (তিন) বছর।
- মুনাফার হারঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.০৪%। মেয়াদপূর্তির পূর্বেও নগদায়ন করা যায় তবে সেক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত হারে মুনাফা প্রযোজ্য। [৩]
পরিবার সঞ্চয়পত্র
সম্পাদনা- মূল্যমানঃ
- ১০,০০০ টাকা;
- ২০,০০০ টাকা;
- ৫০,০০০ টাকা;
- ১,০০,০০০ টাকা;
- ২,০০,০০০ টাকা;
- ৫,০০,০০০ টাকা এবং
- ১০,০০,০০০ টাকা।
- ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫(পঁতাল্লিশ) লক্ষ টাকা।
- মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর।
- মুনাফার হারঃ ১১.৫২% মেয়াদান্তে। [৩]
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
সম্পাদনা- মূল্যমানঃ
- ৫০,০০০ টাকা;
- ১,০০,০০০ টাকা;
- ২,০০,০০০ টাকা;
- ৫,০০,০০০ টাকা এবং
- ১০,০০,০০০ টাকা
- ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ প্রাপ্ত আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিলের অর্থ মিলিয়ে একক নামে ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা।
- মেয়াদঃ ৫(পাঁচ) বছর। [৩]
- যারা ক্রয় করতে পারবেঃ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, আধা- স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী, সুপ্রীম কোর্টেরঅবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিগণ, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকুরীজীবীর পারিবারিক পেনমন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তান। [৪]
সঞ্চয় বন্ডসমূহ
সম্পাদনাবাংলাদেশ প্রাইজবন্ড
সম্পাদনা- মূল্যমানঃ ১০০ টাকা।
- প্রতি তিন মাস অন্তর (৩১ জানুয়ারী, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়।
- প্রতি ড্র তে প্রতি সিরিজে পুরস্কারঃ
- ৬,০০,০০০ টাকার প্রথম পুরস্কার একটি
- ৩,২৫,০০০ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার একটি
- ১,০০,০০০ টাকার তৃতীয় পুরস্কার দু’টি
- ৫০,০০০ টাকার চতুর্থ পুরস্কার দু’টি
- ১০,০০০ টাকার পঞ্চম পুরস্কার চল্লিশটি
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড
সম্পাদনা- বন্ডের মূল্যমানঃ
টাকা ২৫,০০০/-; টাকা ৫০,০০০/-; টাকা ১,০০,০০০/-; টাকা ২,০০,০০০/-; টাকা ৫,০০,০০০/-; টাকা ১০,০০,০০০/; এবং ৫০,০০,০০০/-।
- মুনাফাঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ১২%। বন্ড ধারক ১২% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলিত না হলে, মেয়াদপূর্তিতে মুল অঙ্কের সাথে ষান্মাসিকভিত্তিতে ১২% চক্রবৃদ্ধি হারে উক্ত মুনাফা প্রদেয় হবে।
- মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধাঃ
- একজন ওয়েজ আর্নার প্রাথমিকভাবে ন্যূনতম টাকা ২৫,০০০/- বা ততোধিক মূল্যের বন্ড ক্রয় করলে নির্ধারিত হারে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা পাবে। তবে উক্ত ক্রয় সংশ্লিষ্ট ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই সংঘটিত হতে হবে।
- ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই যদি বন্ডের মেয়াদপূর্ণ হয়, তা হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর ৬-মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা দাবী করতে হবে। এর পর মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার বিপরীতে কোন দাবী গ্রহণযোগ্য হবে না;
- মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার পরিমাণ টাকা ৫,০০,০০০/- এর অধিক হবে না;
- ওয়েজ আর্নারের বয়স ৫৫-বছরের অধিক হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না।
- সি.আই.পি সুবিধাঃ এ বন্ডে টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন বা ততোধিক বিনিয়োগকারী সি.আই.পি সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তবে নগদায়নের কারণে বিনিয়োগ টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন-এর নিচে নেমে যায় এবং প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩-মাসের মধ্যে তিনি উক্ত সীমা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সি.আই.পি সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন।
- কারা ক্রয় করতে পারেঃ
- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ‘ওয়েজ আর্নার[1]’' নিজ নামে অথবা; আবেদনপত্রে উল্লিখিত তার মনোনীত ব্যক্তির নামে অথবা প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বেনিফিসিয়ারী[2]-এর নামে এ বন্ড ক্রয় করা যায়;
- বিদেশে লিয়েনে কর্মরত বাংলাদেশী সরকারী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ;
- বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন, তারা এ বন্ড ক্রয় করতে পারবেন।
- মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর। [৫]
ইউ. এস. ডলার প্রিমিয়াম বন্ড
সম্পাদনা- মূল্যমানঃ মার্কিন ডলার ৫০০; মার্কিন ডলার ১,০০০; মার্কিন ডলার ৫,০০০; মার্কিন ডলার ১০,০০০ এবং মার্কিন ডলার ৫০,০০০।
- বন্ড ক্রয়ের যোগ্যতাঃ
- অনিবাসী হিসাবধারী (Non-resident account holder) এর নামে বন্ড ইস্যু করা যাবে; যার হিসাবে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্ত হয়। অথবা
- অনিবাসী হিসাবে জমাকৃত রেমিট্যান্স এর বিপরীতে ফরেন কারেন্সী হিসাবের ধারকের (অনিবাসী হিসাব ধারক [1]) নামে বন্ড ইস্যু করা যাবে।
- মুনাফাঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ৭.৫০%। বন্ড ধারকগণ ৭.৫০% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে সরল সুদে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবে।
- মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধাঃ
- প্রাথমিক ন্যূনতম বিনিয়োগ ১০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের বন্ড ক্রয় করলে এবং ধারাবাহিকভাবে মৃত্যু পর্যন্ত বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন, তাহলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবেন;
- ধারকের মৃত্যুর পূর্বেই যদি বন্ডের মেয়াদপূর্ণ হয়, তাহলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর ৩-মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা দাবী করতে হবে। 3-মাস পর মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার বিপরীতে কোন দাবী গ্রহণযোগ্য হবে না;
- বন্ডের মেয়াদপুর্তির পূর্বে বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে ক্রয়কৃত বন্ডের ১৫%-২৫% পর্যন্ত মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার এই অঙ্ক ২০,০০,০০০/- টাকার অধিক হবে না এবং ক্রেতার বয়স মৃত্যুকালে ৫৫ বছর অতিক্রম করবে না।
- মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার দাবী নমিনী বা উত্তরাধীকারীগণ দেশে বাংলাদেশী মুদ্রায় অথবা সমমূল্যে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রদানযোগ্য।
- সি.আই.পি সুবিধাঃ এ বন্ডে টাকা 1 (এক) মিলিয়ন বা তধুর্দ্ধ অঙ্কের মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারী সি.আই.পি সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তবে নগদায়নের কারণে বিনিয়োগ ১ (এক) মিলিয়ন ডলার-এর নিচে নেমে যায় এবং প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩-মাসের মধ্যে তিনি উক্ত সীমা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সি.আই.পি সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন।
- মেয়াদঃ ৩ বছর। [৬]
ইউ. এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড
সম্পাদনা- মূল্যমানঃ মার্কিন ডলার ৫০০; মার্কিন ডলার ১,০০০; মার্কিন ডলার ৫,০০০; মার্কিন ডলার ১০,০০০ এবং মার্কিন ডলার ৫০,০০০।
- বন্ড ক্রয়ের যোগ্যতাঃ অনিবাসী হিসাবে জমাকৃত রেমিট্যান্স এর বিপরীতে ফরেন কারেন্সী হিসাবের ধারকের (অনিবাসী হিসাব ধারক[1]) নামে বন্ড ইস্যু করা যাবে।
- মুনাফাঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ৬.৫%। বন্ড ধারকগণ ৬.৫০% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে সরল সুদে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবে। [৭]
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক
সম্পাদনাসাধারণ হিসাব
সম্পাদনা- মুনাফাঃ ৭.৫% (সরল হারে)
- যারা বিনিয়োগ করতে পারবেনঃ (ক) সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক। (খ) নাবালকের পক্ষেও এ হিসাব খোলা যায়।
- বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমাঃ একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা এবং যুগ্ম-নামে সর্বোচ্চ ৬০ লক্ষ টাকা।
- অন্যান্য সুবিধাঃ (ক) নমিনী নিয়োগ করা যায়/পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়; (খ) এক মাসেরও মুনাফা প্রদেয়।
মেয়াদী হিসাব
সম্পাদনা- মুনাফাঃ মেয়াদান্তে (৩ বছর) মুনাফা ১১.২৮%।
- যারা বিনিয়োগ করতে পারবেনঃ (ক) সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক। (খ) নাবালকের পক্ষেও এ হিসাব খোলা যায়।
- বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা এবং যুগ্ম হিসেবে ৬০ লক্ষ টাকা।
- অন্যান্য সুবিধাঃ
- সকল শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক এ প্রকল্পে হিসাব খুলতে পারেন;
- নমিনী নিয়োগ করা যায়/পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়;
- স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সঞ্চয় প্রকল্পের ইতিহাস"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের লক্ষ্য-ও-উদ্দেশ্য"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ "সঞ্চয়পত্রে মুনাফা বেশি"। প্রথম আলো। নভেম্বর ০১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ 24 জানুয়ারি 2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "সঞ্চয়পত্র কিনবেন: জেনে নিন দরকারি তথ্য"। সাম্প্রতিক দেশকাল। ০৩ এপ্রিল ২০১৬। ২৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 24 জানুয়ারি 2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "ওয়েজ-আর্নার-ডেভেলপমেন্ট-বন্ড"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "ইউ-এস-ডলার-প্রিমিয়াম-বন্ড"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "ইউ-এস-ডলার-ইনভেষ্টমেন্ট-বন্ড"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭।