জাতীয় গ্রিড
জাতীয় গ্রিড হচ্ছে বাংলাদেশে একমাত্র বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন গ্রিড যা পরিচালনা করে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ একটি সরকারি সংস্থা যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিডগুলির মালিক এবং তা পরিচালনা করে থাকে।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালনের উন্নয়নে ১৯৯৬ সালে আইপিপি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। এই নীতিমালার অধীনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) গঠিত হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিজিসিবি হুইলিং চার্জ নেয়।[২]
গ্রিডের বাইরের অঞ্চলগুলি
সম্পাদনাবিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পিডিবির আওতাধীন চারটি অফগ্রিড এলাকার মধ্যে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ[৩], হাতিয়া, কুতুবদিয়া, আশুগঞ্জ (চর সোনারামপুর) অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজ করছে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের ২৬টি উপজেলায় অফগ্রিড হওয়ায় সেখানেও বিদ্যুতায়নের কাজ চলমান।[৪]
আন্তর্জাতিক গ্রিড
সম্পাদনাকুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্থাপিত দ্বিতীয় ব্লকের উচ্চ ক্ষমতার ৫০০ মেঘাওয়াট গ্রিড উপকেন্দ্রের (এইচভিডিসি) মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভেড়ামারায় স্থাপিত এইচভিডিসির প্রথম ব্লকের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। বর্তমানে ওই ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াও ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে। এই মোট ৬৬০ মেগাওয়াটের সঙ্গে নতুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।[৫] ২০৪০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে ৯ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে নেপাল ও ভুটান থেকেও আমদানি করা বিদ্যুৎ থাকবে। এ ছাড়া মিয়ানমার আর চীন থেকেও আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছে।[৫]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জাতীয় গ্রিডে মহাবিপর্যয়"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৩-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১২।
- ↑ "বিদ্যুতের হুইলিং চার্জ বাড়াতে চায় পিজিসিবি"। banglanews24.com। ২০১৫-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১২।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সাগরের তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ যাচ্ছে সন্দ্বীপে"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় বাধা জ্বালানি সংকট"। আমাদের সময় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১২।
- ↑ ক খ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "৩০০ মেগাওয়াট দিয়ে শুরু হচ্ছে আজ"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]