জাগো ফাউন্ডেশন
জাগো ফাউন্ডেশন হল বাংলাদেশে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিষ্ঠিত একটি সুশীল সমাজ সংস্থা।[১] যা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করে। জাগো ফাউন্ডেশনের বর্তমানে সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত স্কুল রয়েছে যা ৪৫০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে পাঠদান সেবা দিয়ে যাচ্ছে।[২] জাগোর প্রধান বার্ষিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে একটি হল 'সর্বজনীন শিশু দিবস'।[৩] ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক প্ল্যাটফর্ম 'ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ'-এর মাধ্যমে ৫০,০০০ এরও বেশি সংখ্যক[৪] স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে যারা শিশুদের অধিকারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই দিবসটি উদযাপন করে।
নীতিবাক্য | শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র চক্র ভেঙ্গে জাতি পুনর্গঠন |
---|---|
গঠিত | ১৪ এপ্রিল ২০০৭ |
প্রতিষ্ঠাতা | করভি রাখসান্দ |
ধরন | অলাভজনক |
উদ্দেশ্য | শিক্ষা ও যুব উন্নয়ন |
সদরদপ্তর | https://goo.gl/maps/wHJeCEA94wcqxz9EA |
অবস্থান |
|
অবস্থানসমূহ |
|
পরিষেবা | শিশুর পৃষ্ঠপোষক |
স্টাফ | ৬০০ |
স্বেচ্ছাকর্মী | ৫০,০০০ |
ওয়েবসাইট | jaago |
ইতিহাস
সম্পাদনা২০০৭ সালে এপ্রিলে করভি রাখসান্দ, একজন আইন স্কুলের ছাত্র, ঢাকা শহরের রায়ের বাজারের বস্তিতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণের জন্য কয়েকজন বন্ধুর সাথে একটি আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি 'শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য চক্র ভাঙার' আশা নিয়ে জাগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য এই কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেন। যদিও জাগো মূলত ঢাকার রায়ের বাজারের শিশুদের বিনামূল্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, এটি ধীরে ধীরে সমগ্র বাংলাদেশে তার কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে শুরু করে।[৫]
কার্যক্রম
সম্পাদনাজাগো ফাউন্ডেশন স্কুল
সম্পাদনা২০০৭ সালে, জাগো ফাউন্ডেশন একটি কার্পেট এবং একটি হোয়াইটবোর্ডে ১৭ জন শিশু[১] নিয়ে তাদের স্কুল শুরু করে। এটি বর্তমানে ১১টি সম্পূর্ণ কার্যকরী শাখা এবং ৪০০০ টিরও বেশি শিক্ষার্থীতে বিস্তৃত হয়েছে। জাগো স্কুল বাংলাদেশের অসহায় শিশুদের আন্তর্জাতিক মানের বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের জন্য এ ধরনের প্রথম স্কুল।[২] শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ্যক্রম ইংরেজি হলেও শিক্ষার্থীদের বাংলা শেখানো হয় যাতে বাংলা ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে জাগো ফাউন্ডেশন একটি পাইলট প্রোগ্রাম হিসাবে তার প্রথম ডিজিটাল স্কুল শুরু করে।[৬]
অন্যান্য কাজকর্ম
সম্পাদনাবাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবক
সম্পাদনাভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশের মাধ্যমে জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তরুণদের আওয়াজ তোলা সহ একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। বাংলাদেশের প্রায় ৬৪টি জেলায় স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ কাজ করছে।[৭]
আন্তর্জাতিক কার্যক্রম
সম্পাদনাজাগো বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতে সহায়ক শাখা খুলেছে।[৮] এই শাখাগুলির বেশিরভাগই স্থানীয় নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত হয় যারা একসময় জাগো-এর স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছিল।
পুরস্কার
সম্পাদনা- অর্থকন্ঠ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড (২০১০) - সেরা CSR পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড
- মোজাইক ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১০ – মোজাইক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড
- [১][২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে - কমনওয়েলথ যুব পুরস্কার ২০১৩[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "JAAGO Foundation FAQ"। JAAGO Foundation। ১৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ KRD (২৭ ডিসে ২০২২)। "Free Education"। জাগো ফাউন্ডেশন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Karim, Elita (১১ ডিসেম্বর ১৭০০)। "Celebrating Children in Yellow!"। Star Weekend Magazine। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ২৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ KRD (২ নভেম্বর ২০১১)। "youth-development-program"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "JAAGO Foundation History"। JAAGO Foundation। ১৫ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "Online School"। JAAGO Foundation। ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Volunteer for Bangladesh"। Volunteer for Bangladesh। JAAGO Foundation। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Contact US"। JAAGO Foundation। ২৮ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Mohsin, Maliha। "Korvi Rakshand selected as Commonwealth Youth Awards Finalist"। দ্য ডেইলি স্টার। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।