জর্জ কোল্টহার্ড
জর্জ কোল্টহার্ড (ইংরেজি: George Coulthard; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৮৫৬ - মৃত্যু: ২২ অক্টোবর, ১৮৮৩) ভিক্টোরিয়ার বোরুনডারা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার ও আম্পায়ার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
জর্জ কোল্টহার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | জর্জ কোল্টহার্ড ১ আগস্ট ১৮৫৬ বোরুনডারা, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ অক্টোবর ১৮৮৩ কার্লটন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ২৭)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যুর কারণ | যক্ষ্মা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সমাধি | মেলবোর্ন জেনারেল সিমেট্রি, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পেশা | ক্রিকেটার, অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার, টোব্যাকোনিস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দাম্পত্য সঙ্গী | লেটিটিয়া জ্যাকসন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সন্তান | লেটিটিয়া কোল্টহার্ড মেলি এলেন কোল্টহার্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পিতা-মাতা | টমাস কোল্টহার্ড এলিজাবেথ ফ্লেমিং | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রিকেট তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, আম্পায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২৯) | ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৮০/৮১-১৮৮১/৮২ | ভিক্টোরিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আম্পায়ারিং তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট আম্পায়ার | ২ (১৮৭৯-১৮৮২) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন।
শৈশবকাল
সম্পাদনাভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নের শহরতলী এলাকার বাইরে জর্জ কোল্টহার্ডের জন্ম ও সেখানেই তিনি শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। টমাস কোল্টহার্ড ও তদ্বীয় অর্ধাঙ্গীনি এলিজাবেথ দম্পতির সন্তান ছিলেন জর্জ কোল্টহার্ড। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড থেকে তারা অভিবাসিত হয়ে ভিক্টোরিয়ায় চলে আসেন। জর্জ তাদের সপ্তম সন্তান ছিলেন। ১৮৬৬ সালে টমাস ও ১৮৭৩ সালে এলিজাবেথের দেহাবসান ঘটে।[১]
কার্লটনের সেন্ট ম্যাথুজ স্কুলে জর্জ কোল্টহার্ড অধ্যয়ন করেন। যুবক অবস্থায় মেলবোর্নভিত্তিক কার্লটনের লাইগন স্ট্রিটে বসবাস করতেন। সেখানে তিনি ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৮৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৮৮১-৮২ মৌসুম জর্জ কোল্টহার্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পেশাদার ক্রিকেটার জর্জ কোল্টহার্ড ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে মেলবোর্নের পক্ষে খেলেন। আন্তঃঔপনিবেশিক খেলায় ভিক্টোরিয়ার পক্ষে পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন।
কার্লটন ক্রিকেট ক্লাবের মাধ্যমে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ১৮৭৭-৭৮ মৌসুমে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবে (এমসিসি) স্থানান্তরিত হন। সেখানে তিনি পেশাদার মাঠকর্মী বোলার হিসেবে সদস্যদের বিপক্ষে অনুশীলনীতে বোলিংয়ের দায়িত্ব পালন করতেন।[২] ১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে ভিক্টোরিয়া পঞ্চদশ দলের অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্বকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলেন।[৩] নিউজিল্যান্ডের সফররত ক্যান্টারবারি একাদশের বিপক্ষে এমসিসি দলের সদস্যরূপে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করেন।[৪]
মার্চ, ১৮৮০ সালে ভিক্টোরিয়া পঞ্চদশ দলের সদস্যরূপে ঐ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী দলে খেলেন। দলের পক্ষে ৫/৫২ ও ৪/২৮ নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীতে পরিণত হন।[৫] পরের বছর ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ইস্ট মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩/২৯ ও ৩১ রান তুলে প্রথম ইনিংসে দলকে ৩২৯-এ নিয়ে যান। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন সফল হননি। ১/৪৯ লাভ করেছিলেন।[৬] পরের মাসে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে ভিক্টোরিয়া পঞ্চদশ দলের সদস্যরূপে ৫১ রান তুলে দলের শীর্ষ রান সংগ্রাহক হন।[৭] এরপর নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার প্রথমটিতে অংশ নেন। তবে, পরিসংখ্যানগতভাবে ঐ আন্তঃঔপনিবেশিক খেলার কোনটিতেই ভিক্টোরিয়ার পক্ষে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি।[৮][৯][১০]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জর্জ কোল্টহার্ড। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তিনি আর কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করেননি। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটি টেস্টে খেলার সুযোগ পান। ১৮৮২ সালে ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড দল।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা না থাকা সত্ত্বেও ১৮৮১-৮২ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার দ্বাদশ খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ঐ মৌসুমে আলফ্রেড শয়ের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। এরজন্যে অবশ্য আলিক ব্যানারম্যান ও ফ্রেড স্পফোর্থের আঘাতপ্রাপ্তিতে নাম প্রত্যাহারের কারণে ঘটেছিল।[২] ১৭-২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে সিডনির অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।[১১] এগারো নম্বরে ব্যাটিং নেমে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ উইকেটে সতীর্থ অভিষেক ঘটা স্যামি জোন্সের সাথে ২৯ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন। এরফলে, সতীর্থ অস্ট্রেলীয় প্যাডি ম্যাকশেনের সাথে আম্পায়ার হিসেবে অংশগ্রহণের পর একমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার বিরল কৃতিত্বের ভাগীদার হন।[২] এ খেলায় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন বিলি মারডক।[১২] সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে কোল্টহার্ড আম্পায়ারিত্ব করেন। ১০-১৪ মার্চ এমসিজিতে খেলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি।[১৩]
আম্পায়ার
সম্পাদনাশুরুরদিকে কয়েকটি টেস্টে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন। তবে, ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামায় নিজ নামকে জড়িয়ে রেখেছেন। ১৮৭৯ সালে সিডনিতে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটিংকালে বিলি মারডককে আউট ঘোষণা করায় দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটান তিনি। তার সাথে উইকেটের অপরপ্রান্তে ছিলেন এডমন্ড বার্টন। পরবর্তীকালে বার্টন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৮৭৯ সালে এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় টেস্টে জর্জ কোল্টহার্ড আম্পায়ারিত্ব করেন। সিডনিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে বিলি মারডকের রান আউটের মূল হোতা ছিলেন ও দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটান। এরপর এনএসডব্লিউ তার প্রত্যাহার দাবী করে ও দাবী করে যে, তিনি অনুপযুক্ত।
১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে মাত্র বাইশ বছর বয়সে সফররত লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ একাদশের খেলায় এমসিসি’র পরামর্শক্রমে পরীক্ষামূলকভাবে দলের আম্পায়ার হিসেবে মনোনীত হন।[১৪] ১৮৭৮ সালের বক্সিং ডেতে মেলবোর্নে প্রথম খেলায় দলের পক্ষে ভিক্টোরিয়া পঞ্চদশের বিপক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।[১৫] ২-৪ জানুয়ারি, ১৮৭৯ তারিখে এমসিজিতে সফরের একমাত্র টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলায় একই দায়িত্বে ছিলেন।[১৬] কোল্টহার্ডের আম্পায়ারিংয়ে সন্তুষ্ট হয়ে হ্যারিস তাকে দলে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান ও এ সফরের বাদ-বাকী খেলায় আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনায় রাখেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট ও ফুটবলের বাইরে অন্যান্য ক্রীড়ায়ও দক্ষতা ছিল জর্জ কোল্টহার্ডের। সর্বকালের সেরা সর্বক্রীড়াবিদের অন্যতম হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[১৭] শৌখিন মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবে ইংরেজ চ্যাম্পিয়ন জেম দ্য জিপসি ম্যাসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।[১৭][১৮]
মার্চ, ১৮৭৯ সালে গুপ্তচরবৃত্তির সাথে জড়িত হন ও উইলিয়াম গ্রিভস নামীয় কুখ্যাত অপরাধিকে গ্রেফতার করে পাঁচ বছরের জন্যে হাজতবাস করান।[১৯] পরবর্তীকালে জানা যায় যে, তিনি ভিক্টোরিয়া গোয়েন্দাবিভাগের সদস্য ছিলেন।[২০] এছাড়াও, ১৮৮০ সালে মেলবোর্ন চিড়িয়াখানায় কোয়ালা হস্তান্তর করেন।[২১]
১৮৮০ সালে লেটিটিয়া অ্যান জ্যাকসন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির দুই কন্যা ছিল। তন্মধ্যে, একজন নবজাতক অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করে। কোল্টহার্ডের কনিষ্ঠ ভ্রাতা উইলিয়াম ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ও কার্লটন ফুটবল ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্যের দায়িত্বে ছিলেন।[২২] স্বীয় পুত্রের নামও জর্জ রাখেন।[২৩]
দেহাবসান
সম্পাদনানভেম্বর, ১৮৮২ সালে ইভো ব্লাইয়ের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংরেজ একাদশের পক্ষে জর্জ কোল্টহার্ডকে মনোনয়ন দেয়া হয়। দলটি অ্যাশেজ উদ্ধারে আসে। জাহাজ ভ্রমণের শুরুরদিকে অসুস্থবোধ করেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসলে খেলার দ্বিতীয় দিন অসুস্থবোধ করায় এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।[২৪][২৫] কোল্টহার্ড যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন।[২৬] জুন মাসে এমসিজিতে কার্লটন ও মেলবোর্নের মধ্যকার খেলায় আর্থিক সাহায্যের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দ্য মেলবোর্নে উল্লেখ করা হয় যে, কোল্টহার্ডের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে রেকর্ডসংখ্যক দল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ফুটবল খেলায় উপস্থিত ছিল।[২৭] কিন্তু দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে খেলায় প্রায় পাঁচ হাজার দর্শকের সমাগম ঘটেছিল।[২৮] ২০ অক্টোবর, ১৮৮৩ তারিখে কোল্টহার্ডকে শয্যাগত অবস্থায় উল্লেখ করা হয়।[২৯] ২২ অক্টোবর, ১৮৮৩ তারিখে মাত্র ২৭ বছর বয়সে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভিক্টোরিয়ার কার্লটন এলাকায় জর্জ কোল্টহার্ডের দেহাবসান ঘটে। তার দেহাবসানের সংবাদ প্রকাশিত হলে জনসমাগমের ঢল পড়ে।[৩০] এরপর কার্লটন ফুটবল ক্লাবের কাছাকাছি প্রিন্সেস পার্কের মেলবোর্ন জেনারেল সিমেট্রিতে তাকে সমাহিত করা হয়।[২৯][৩১] তার মৃত্যুর এক বছর পর কোল্টহার্ডের বিধবা স্ত্রী ও কন্যাকে সহায়তাকল্পে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।[৩২]
অর্জনসমূহ
সম্পাদনাজ্যাক ওর্যাল, আলবার্ট থারগুড ও ফ্রেড ম্যাকগিনিসের সাথে অস্ট্রেলীয় রুল ফুটবলের সূচনাগ্নের প্রথম পঞ্চাশ বছরে অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।[৩৩] ১৯০৮ সালে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলের জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ক্রীড়া সাংবাদিক ডোনাল্ড ম্যাকডোনাল্ড কোল্টহার্ড সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে,[৩৪]
তিনি স্থানচ্যূত হননি। তার বুদ্ধিদীপ্ত হস্তচালনা, দূরন্ত গতি, ডজিংয়ে অভিজ্ঞতা, শূন্য থেকে বল তালুবন্দী ও কিকে প্রভূত্বের কারণে দলে অমূল্য খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হতেন। তিনি মহাশূন্যের উজ্জ্বল নক্ষত্রবিশেষ। যদিও তা নন, তবে অদ্যাবধি কার্লটনের আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
শুরুরদিকের ফুটবল ইতিহাসবেত্তা সি. সি. মালেন কোল্টহার্ডের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনপূর্বক মন্তব্য করেন যে, ১৮৭৬, ১৮৭৭ ও ১৮৭৯ সালে বর্ষসেরা উপনিবেশ চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।[২] ১৯৯০ সালে কার্লটন ফুটবল ক্লাব হল অব ফেমে জর্জ কোল্টহার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩৫] তার সময়কালের খুব স্বল্পসংখ্যক খেলোয়াড়ের মধ্যে তাকে অস্ট্রেলীয় ফুটবল হল অব ফেমে ঠাঁই দেয়া হয়।[৩৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bolfo 2009, পৃ. 26।
- ↑ ক খ গ ঘ Williams 2000, পৃ. 20।
- ↑ "The Australian Eleven". The Argus (Melbourne). 17 December 1878. p. 6. Retrieved 4 June 2016.
- ↑ Melbourne Cricket Club v Canterbury in 1878/79, CricketArchive. Retrieved 4 June 2016.
- ↑ Victoria v Australians 1879/80, CricketArchive. Retrieved 2 June 2016.
- ↑ Victoria v South Australia in 1880/81, CricketArchive. Retrieved 1 June 2016.
- ↑ Victoria v Australians in 1880/81, CricketArchive. Retrieved 1 June 2016.
- ↑ Victoria v New South Wales in 1880/81, CricketArchive. Retrieved 30 May 2016.
- ↑ New South Wales v Victoria in 1880/81, CricketArchive. Retrieved 30 May 2016.
- ↑ Victoria v New South Wales in 1881/82, CricketArchive. Retrieved 30 May 2016.
- ↑ Australia v England in 1881/82, CricketArchive. Retrieved 6 June 2016.
- ↑ Tibballs 2004, পৃ. 29।
- ↑ Australia v England in 1881/82, CricketArchive. Retrieved 6 June 2016.
- ↑ "England v. Victoria". The Argus (Melbourne). 10 March 1879. p. 6. Retrieved 30 May 2016.
- ↑ "Boxing Day". The Argus (Melbourne). 27 December 1878. p. 5. Retrieved 4 June 2016.
- ↑ Australia v England in 1878/79, CricketArchive. Retrieved 7 June 2016.
- ↑ ক খ "Champion Old-timer: Coulthard of Carlton". The Daily News (Perth). 13 July 1929. p. 4. Retrieved 29 May 2016.
- ↑ "Notes from a Sportsman's Scrapbook". The Australasian (Melbourne). 16 June 1928. p. 27. Retrieved 6 June 2016.
- ↑ "Law Courts". Leader (Melbourne). 20 March 1879. p. 22. Retrieved 27 May 2016.
- ↑ "News". The Colac Herald. 16 September 1879. p. 3. Retrieved 27 May 2016.
- ↑ "News". The Argus (Melbourne). 30 May 2016. p. 17 November 1880. Retrieved 28 May 2016.
- ↑ "About People". The Age (Melbourne). 28 June 1935. p. 11. Retrieved 31 May 2016.
- ↑ "Carlton Premiers: Historic Cable to A. I. F.". Sporting Globe (Melbourne). 1 October 1938. p. 2. Retrieved 31 May 2016.
- ↑ "Cricket Notes". Weekly Times (Melbourne). 16 December 1882. p. 5. Retrieved 30 May 2016.
- ↑ "The English Cricketers at Tamworth". The Argus (Melbourne). 12 December 1882. p. 8. Retrieved 29 May 2016.
- ↑ "Melbourne and Australian Sporting Notes". Otago Witness (Otago). 7 April 1883. p. 21.
- ↑ "Football Gossip". Leader (Melbourne). 2 June 1883. Retrieved 26 May 2016.
- ↑ "Carlton v. Melbourne". The Australasian (Melbourne). 9 June 1883. p. 13. Retrieved 29 May 2016.
- ↑ ক খ "Sporting Notes". Weekly Times (Melbourne). 20 October 1883. p. 12. Retrieved 3 May 2016.
- ↑ "Current Topics". The North Eastern Ensign (Benalla). 26 October 1883. Retrieved 26 May 2016.
- ↑ "News". Geelong Advertiser (Geelong). 25 October 1883. p. 3. Retrieved 26 May 2016.
- ↑ "Concert and Ball". Fitzroy City Press (Melbourne). 8 December 1883. p. 3. Retrieved 26 May 2016.
- ↑ ক খ Cardosi 2014।
- ↑ Macdonald, Donald. "The Football Jubilee". The Argus (Melbourne). 1 August 1908. p. 7. Retrieved 10 June 2016.
- ↑ Hall of Fame, Carlton Football Club. Retrieved 23 May 2016.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জর্জ কোল্টহার্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জর্জ কোল্টহার্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনাগ্রন্থ
- Birley, Derek (২০১৩)। A Social History of English Cricket। Aurum Press। আইএসবিএন 9781845137502।
- Blainey, Geoffrey (২০০৩)। A Game of Our Own: The Origins of Australian Football। Black Inc.। আইএসবিএন 978-1-86395-347-4।
- Bolfo, Tony De (২০০৯)। Out of the Blue: Defining Moments of the Carlton Football Club। Weston Media & Communications। আইএসবিএন 978-0-646-51645-5।
- Bolton, Geoffrey (২০০১)। "A Cricket Riot in Sydney, 1879"। Headon, David John। The Best Ever Australian Sports Writing: A 200 Year Collection। Black Inc.। পৃষ্ঠা 39–46। আইএসবিএন 9781863952668।
- Clowes, Colin (২০০৭)। 150 Years of NSW First-class Cricket: A Chronology। Allen & Unwin। আইএসবিএন 9781741750829।
- Dunstan, Keith (১৯৯৮)। The Paddock that Grew: The Story of the Melbourne Cricket Club। Random House Australia। আইএসবিএন 9780091691707।
- Gelder, Ken; Weaver, Rachael, সম্পাদকগণ (২০১১)। The Anthology of Colonial Australian Adventure Fiction। Melbourne University Publishing। আইএসবিএন 9780522858617।
- Hess, Rob; Stewart, Bob (১৯৯৮)। More Than a Game: The Real Story of Australian Rules Football। Melbourne University Publishing। আইএসবিএন 9780522847727।
- Field, Hugh (২০০৩)। 100 Years of Football: The Story of the Melbourne Football Club, 1858–1958। Wilke & Co. Ltd.।
- Hess, Rob (২০০৮)। A National Game: The History of Australian Rules Football। Viking। আইএসবিএন 978-0-670-07089-3।
- Lazenby, John (২০১৫)। The Strangers Who Came Home: The First Australian Cricket Tour of England। Bloomsbury Publishing। আইএসবিএন 9781408842881।
- Richards, Huw (২০১১)। A Game for Hooligans: The History of Rugby Union। Random House। আইএসবিএন 9781780573281।
- Weston, James (২০০৮)। The Australian Game of Football: Since 1858। Geoff Slattery Publishing। আইএসবিএন 978-0-9803466-6-4।
- Pennings, Mark (২০১২)। Origins of Australian Football: Victoria's Early History: Volume 1: Amateur Heroes and the Rise of Clubs, 1858 to 1876। Connor Court Publishing Pty Ltd। আইএসবিএন 9781921421471।
- Pennings, Mark (২০১৪)। Origins of Australian Football: Victoria's Early History: Volume 2: A Golden Era Begins: Football in 'Marvellous Melbourne', 1877 to 1885। Grumpy Monks Publishing। আইএসবিএন 9780646918655।
- Piesse, Ken (১৯৯৫)। The Complete Guide to Australian Football। Pan Macmillan Australia। আইএসবিএন 9780330357128।
- Tibballs, Geoff (২০০৪)। Great Sporting Scandals। Robson। আইএসবিএন 9781861056863।
- Williams, Ken (২০০০)। For Club and Country। Melbourne Cricket Club Library। আইএসবিএন 9780957807402।
সাময়িকী
- Pennings, Mark (২০১৩)। "Fuschias, Pivots, Same Olds and Gorillas: The Early Years of Football in Victoria" (পিডিএফ)। Tablet to Scoreboard। 1 (1)।
ওয়েবপেজ
- Cardosi, Adam (২০১৪)। "Neglected heroes: The sad case of the Australian Football Hall of Fame"। Australian Football। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।