জর্জ এডেন

ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ

জর্জ এডেন (অকল্যান্ডের প্রথম আর্ল, ভারতবর্ষে লর্ড অকল্যান্ড নামে পরিচিত) (আগস্ট ২৫, ১৭৮৪ - জানুয়ারি ১, ১৮৪৯) যুক্তরাজ্যের একজন রাজনীতিবিদ যিনি ১৮৩৬ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

The Earl of Auckland
Governor-General of India
কাজের মেয়াদ
4 March 1836 – 28 February 1842
সার্বভৌম শাসকWilliam IV
Victoria
পূর্বসূরীSir Charles Metcalfe, Bt
As Acting Governor-General
উত্তরসূরীThe Lord Ellenborough
President of the Board of Trade
কাজের মেয়াদ
22 November 1830 – 5 June 1834
সার্বভৌম শাসকWilliam IV
প্রধানমন্ত্রীThe Earl Grey
পূর্বসূরীJohn Charles Herries
উত্তরসূরীCharles Poulett Thomson
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২৫ আগস্ট ১৭৮৪ (1784-08-25)
Beckenham, Kent, England
মৃত্যু১ জানুয়ারি ১৮৪৯ (1849-02)
Hampshire, England
জাতীয়তাBritish
রাজনৈতিক দলWhig
প্রাক্তন শিক্ষার্থীChrist Church, Oxford
জীবিকাআইনজীবী, রাজনীতিবিদ ল

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

প্রথম ব্যারন অকল্যান্ড উইলিয়াম এডেনের ছেলে জর্জ এডেন পড়াশোনা শুরু করেন অক্সফর্ডের ক্রাইস্ট চার্চ থেকে। ১৮০৯ সালে তিনি বার তথা ব্যরিস্টারি পড়াশোনা শুরু করেন। ১৮১৪ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় ব্যারন অকল্যান্ড হিসেবে মনোনীত হন।[] কারণ তার বড় ভাই ১৮১০ সালে টেম্‌স নদীতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছিল। পিতার মৃত্যুর পর তিনি হাউজ অফ লর্ডস-এ পিতার আসনে অধিষ্ঠিত হন এবং সংস্কারবাদী দলের সমর্থক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার বোন বিখ্যাত পর্যটক ও লেখিকা এমিলি এডেন দীর্ঘ সময় ভারতবর্ষ ঘুরে গিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন। ১৮৩০ সালে তিনি বোর্ড অফ ট্রেডের সভাপতি এবং মাস্টার অফ দ্য মিন্ট নির্বাচিত হন। ১৮৩৪ থেকে ১৮৩৫ সালের মধ্যে কয়েক মাস তিনি অ্যাডমিরাল্টির প্রথম লর্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি উইলিয়াম হবসন-কে এই মর্মে কমিশন প্রদান করেছিলেন যে, সে ইস্ট ইন্ডিজ অভিমুখে নৌ যাত্রা পরিচালনা করবে। হবসন তার এই উপহারের প্রতিদানও দিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ড পৌঁছার পর ১৮৪০ সালে সেখানকার একটি দ্বীপের নামকরণ করেন অকল্যান্ড[] যা অবশ্যই লর্ড অকল্যান্ডের নামে হয়েছে।

গভর্নর জেনারেল হিসেবে

সম্পাদনা

প্রায় ৬ বছর তিনি ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পূর্বতন গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের অভ্যন্তরীন নীতি অনুসরণ করে বেশ সফলতা পান। ভারতে শিক্ষা এবং আধুনিকতার প্রসারে তার কিছু অবদান ছিল। যেমন, তিনি ভারতীয়দের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন করেন, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, কোম্পানির পরিচালকদের নির্দেশে তীর্থকর রহিত করেন, ধর্মীয় স্থাপনা ও উপসনালয়ের উপর সরাসরি সরকারি নিয়ণ্ত্রণ প্রত্যাহার করেন। কিন্তু তিনি ১৮৩৮ সালে উত্তর ভারতের দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। দেশীয় রাজ্যগুলোর রাজনীতক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি হস্তক্ষেপ করেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে পর্তুগীজদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ সাতারার রাজাকে অপসারণ করে তার ভাইকে ক্ষমতায় বসান। ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কারণালের নবাবকে অপসারণ করেন এবং এই রাজ্যটিকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৮৩৭ সালে অযোধ্যার এক বিদ্রোহ দমনের পর সেখানকার নবাব নাসিরুদ্দীন হায়দারকে অতিরিক্ত কর প্রদানের শর্ত সংবলিত এক নতুন চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য করেন। কোম্পানির পরিচালকরা এই চুক্তি বাতিল করে দিলেও তিনি তা নওয়াবকে জানান নি। তার মূল আগ্রহের বিষয় ছিল আফগান সমস্যা। আফগানদের সাথে ইংরেজদের প্রথম সংঘর্ষে তিনি পরাজিত হন। সফলতা লাভের জন্য তিনি আফগানিস্তানের আমির পদ থেকে রাশিয়াপন্থী দোস্ত মোহাম্মদ খানকে অপসারণ করে ব্রিটিশপন্থী শাহ সুজাকে বসান। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ কোন সুফল বয়ে আনেনি। বরং এর ফলে সিন্ধুর আমিরদের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ফাটল ধরে। যুদ্ধে ব্রিটিশদের প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়।

শেষ জীবন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. thepeerage.com
  2. Simpson, K. A.। "Hobson, William"ডিকশনারি অব নিউজিল্যান্ড বায়োগ্রাফিমিনিস্ট্রি ফর কালচার এন্ড হেরিটেজ। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৫ 
  • বাংলাপিডিয়া
  • ইংরেজি উইকিপিডিয়া