জম্বু দ্বীপ
জম্বু দ্বীপ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত। দ্বীপটি বকখালি বা ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। দ্বীপটি জনমানব শূন্য। সমুদ্রের মাছ আহরণের মৌসুমে অর্থাৎ অকো্টবর- ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেরা মাছ আহরণের জন্য এই দ্বীপে আসে।[১] দ্বীপটি এখন পর্যটন এর প্রধান আকর্ষণ।
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | বঙ্গোপসাগর |
স্থানাঙ্ক | ২১°৩৪′৫২″ উত্তর ৮৮°১০′৫৮″ পূর্ব / ২১.৫৮১১° উত্তর ৮৮.১৮২৮° পূর্ব |
দ্বীপপুঞ্জ | সুন্দরবন |
প্রশাসন | |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | নেই |
অতীতে দ্বীপটিতে নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম থেকে জেলেরা মাছ ধরতে আসত ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তিন দশক আগে একটি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জম্বুদীপে মানুষের পা ফেলা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। বাম আমলে তা কার্যকরও হয়। তার জেরে শুঁটকি মাছের কারবারও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই। ব্যবসায়ীরা নামখানা এবং সাগরে এসে ব্যবসা সরিয়ে নেন। তারপর থেকে ফ্রেজারগঞ্জ থানার অধীনে জম্বুদ্বীপ এক রকম পরিত্যক্ত গভীর অরণ্য দ্বীপ হিসেবেই পরিচিত। ফ্রেজারগঞ্জ জেটিঘাট থেকে প্রায় ৪৫ মিনিটে জম্বুদ্বীপ ঘুরে আসা যায়। তবে সেখানে নামার অনুমতি পান না পর্যটকেরা।
২০১৫ সালে রাজ্য সরকার নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে জম্বুদ্বীপকে নিয়ে। বকখালি, জম্বুদ্বীপ এবং সাগর মিলিয়ে একটি টুরিস্ট সার্কিট তৈরির কথাও চিন্তা করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক হয়, জম্বুদ্বীপে একটি জেটি,একটি শৌচাগার এবং একটি ফুডকোর্ট তৈরি করা হবে। সঙ্গে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য কিছু হরিণও ছাড়া হবে। পরিকল্পনা এগোয় অনেকটাই। রাজ্য স্তরে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়। পরে নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ২ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকাও পায় জিবিডিএ। কিন্তু তা কাজে লাগছে না। কারণ, ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের তরফে প্রকল্পে ছাড় দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমোদন চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সমুদ্রের অনেকটাই গভীরে ওই দ্বীপ বলে সেখানে উপকূল নিয়ন্ত্রণ আইন মেনেই এই প্রকল্পে ছাড় দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। তাই বাধ্য হয়েই এখন টাকা ফেরত নিয়ে অন্য কোনও প্রকল্পের কাজে লাগানোর তোড়জোড় শুরু করেছে জিবিডিএ। (আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮)
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনাদ্বীপটি সমুদ্র সমতল থেকে মাত্র ১ মিটার উচু। জোয়ারের সময় দ্বীপের কিছু অংশ জলে ডুবে যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এই দ্বীপটি গঙ্গার ব-দ্বীপের অংশ।
পর্যটন
সম্পাদনাআরও
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Fisherman's eviction will finish jambudiwp forests"। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬।