জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী
জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী (২৪ মার্চ, ১৮৬৪ - ২১ ডিসেম্বর, ১৯৩৮) ভারতীয় উপমহাদেশের একজন জমিদার এবং শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা বিস্তারের জন্য বহু অর্থ দান করে দানবীর হিসেবে খ্যাতিলাভ করেন। ময়মনসিংহে বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে ৫০,০০০ টাকা ব্যয় করেন। কাশীতে বার্ষিক ১০,০০০ টাকা ব্যয় করে সত্র চালাতেন। সংগীত ও সাহিত্যে অনুরাগী এবং দক্ষ শিকারি ছিলেন।[১]
জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | ২৪ মার্চ ১৮৬৪ |
মৃত্যু | ২১ ডিসেম্বর ১৯৩৮ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
পেশা | জমিদার |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাজগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
সম্পাদনামুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির অভ্যন্তরে একটি রঙমহল নির্মাণ করেন জগৎকিশোর এবং তার কনিষ্ঠ পুত্রের নামে স্থাপনাটির নামকরণ করেন ভূপেন্দ্র রঙ্গপীঠ। চারকোণাকার এই রঙমহলের ডান পাশে রাজরাজেশ্বরী মন্দির। বাম দিকে দর্শক উপবেশনের স্থান। রঙমহলের পূর্বপ্রান্তে ১৯৪৫ সালে ঘূর্ণায়মান মঞ্চ স্থাপন করেন নাট্যামোদি জমিদার জীবেন্দ্রকিশোর আচার্য চৌধুরী। রাজা জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরীর নামে মুর্শিদাবাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গে তার বংশের অনেকেই চলে গিয়েছিলো।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২২৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ "চলতি পথে পুরাকীর্তির করুণ ও কঠিন বিলয়"। prothom-alo.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]