ছোট কাল কেউটে

সরীসৃপের প্রজাতি

ছোট কাল কেউটে বা ছোটো কালাচ বা (বৈজ্ঞানিক নাম: Bungarus lividus; বুঙ্গারস লিভিডাস) হলো এলাপিডি পরিবারভূক্ত এক প্রজাতির বিষধর সাপ। এটি Bungarus গণের আওতাভুক্ত। ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপালে এদের পাওয়া যায়।[][][]

ছোট কাল কেউটে
Bungarus lividus
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা (Chordata)
শ্রেণি: রেপটিলিয়া (Reptilia)
বর্গ: স্কোয়ামাটা (Squamata)
উপবর্গ: সারপেন্টস (Serpentes)
পরিবার: এলাপিডি(Elapidae)
গণ: Bungarus
Cantor, 1839
প্রজাতি: B. lividus
দ্বিপদী নাম
Bungarus lividus
Cantor, 1839

ছোটো কালাচ সাধারণের তুলনায় ছোট আকৃতির সাপ। এর দেহ (ডোরসাম) মসৃণ এবং কালো থেকে নীলচে-কালো রঙের। নিচের ঠোঁট সাদা। এর পেটের অংশ সাদা এবং ধূসর সীমানাযুক্ত। চোখ ছোট, কালো এবং গোলাকার মণিযুক্ত। চোখগুলো সামনের দিকে নাকের কাছাকাছি অবস্থিত। এর আঁশ ১৫টি সারিতে সাজানো থাকে (১৫:১৫:১৫)। মধ্যম-ডোরসাল (ভার্টিব্রাল) আঁশগুলো অন্য সারির তুলনায় সামান্য বড়। অ্যানাল এবং সাবকাউডাল আঁশগুলো অখণ্ডিত। এতে ৭টি সুপ্রাল্যাবিয়াল (৩য় এবং ৪র্থ চোখের সাথে স্পর্শ করে), ৭টি ইনফ্রাল্যাবিয়াল (৩য়টি অ্যান্টেরিয়র জেনিয়ালের সাথে স্পর্শ করে); টেম্পোরাল ১+২; পোস্টকুলার ২টি।

বিস্তার

সম্পাদনা

ভারত (উত্তরবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত), বাংলাদেশ, নেপাল।

  • টাইপ লোকালিটি: আসাম, ভারত

খাদ্যাভ্যাস

সম্পাদনা

কালাচ জাতীয় সাপগুলো মূলত ওফিওফ্যাগাস, অর্থাৎ এগুলো অন্যান্য সাপকে শিকার করে খায়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Harding, K.A.; Welch, K.R.G. (১৯৮০)। Venomous Snakes of the World: A Checklist। Toxicon: Supplement। Pergamon Press। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 978-0-08-025495-1। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৯ 
  2. "Lesser Black Krait ( Bungarus lividus Cantor, 1839 )"indiansnakes.org। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯ 
  3. Bungarus lividus at the TIGR Reptile Database

আরও পড়ুন

সম্পাদনা
  • Boulenger, G.A. 1890. The Fauna of British India, Including Ceylon and Burma. Reptilia and Batrachia. Taylor & Francis. London. xviii, 541 pp.
  • Cantor, T.E. 1839. Spicilegium serpentium indicorum [parts 1 and 2]. Proc. Zool. Soc. London 7: 31–34, 49–55.
  • Slowinski, J. B. 1994. A phylogenetic analysis of Bungarus (Elapidae) based on morphological characters. Journal of Herpetology 28(4):440-446.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা