২০১২ সালের চলচ্চিত্রের জন্য দেখুন চোরাবালি

Quicksand and warning sign at a gravel quarry.

চোরাবালি (ইংরেজি: Quicksand) হলো বালি বা পলিজাতীয় দানাদার পদার্থ, মাটি ও নোনাজলের কোলয়েডীয় মিশ্রণ যা আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু মৃদু আলোড়ন সৃষ্টি করলে বা এর উপর চাপ ১%-এর বেশি বৃদ্ধি করলে (যেমন এর উপর দিয়ে হাঁটা শুরু করলে) প্রথমে হঠাৎ সান্দ্রতা কমে তরলীকরণ ঘটে, কিন্তু তারপর এর মধ্যে আলোড়নকারী বস্তুর (যেমন চলমান পা) চারদিকে কোলয়েডের দানা অংশের ঘনীভবন ঘটে ও স্থানীয় সান্দ্রতা খুব বৃদ্ধি পায় ও ছাড়িয়ে নেওয়া খুব মুশকিল হয়। চোরাবালি নদীতে, চরে কিংবা সমুদ্রের সৈকতের বালুতে প্রায়ই দেখা যায়।

চলচ্চিত্র ইত্যাদিতে নাটকীয়ভাবে দেখালেও চোরাবালিতে কেউ পুরো ডোবেনা — মানুষের আপেক্ষিক গুরুত্বে চোরাবালিতে ভেসে থাকা উচিত। []

যেখানে চোরাবালির ঘনত্ব ২ গ্রাম/ মিলিলিটার, সেখানে মানুষের শরীরের ঘনত্ব ১গ্রাম/মিলিলিটার। এই ঘনত্বে  সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়া অসম্ভব, বড়জোর কোমর পর্যন্ত ডুবে যাবে৷ এমনকি, চোরাবালির থেকে বেশি ঘনত্বের জিনিসও ডুববে না, বরং ভেসে থাকবে। উদাহরণস্বরূপ- অ্যালুমিনিয়ামের ঘনত্ব ২.৭ গ্রাম/মিলিলিটার।

সাধারণত চোরাবালিতে কেউ আটকে গেলে স্বীয় চেষ্টায় তা থেকে উঠে আসতে পারে না মানুষ, তখন সহায়তাকারীর দরকার হয়। এজন্য বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে লাইফগার্ডদের এইজাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই ধরনের স্থানে সতর্কতার সঙ্গে চলা উচিত। চোরাবালিতে আটকে গেলে নড়াচড়া না করে কারো সাহায্য নেওয়া সর্বোত্তম।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Quicksand Science: Why It Traps, How to Escape"Science (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৫-০৯-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

  উইকিমিডিয়া কমন্সে চোরাবালি সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।