চিংড়িবাহার
চিংড়িবাহার, বা স্টোম্যাটোপোডস হলো স্টোম্যাটোপোডা বর্গের এক ধরনের সামুদ্রিক চিঙ্গুট। চিংড়িবাহার দৈর্ঘ্যে সাধারণত ১০ সেমি (৩.৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে কোনোটি ৩৮ সেমি (১৫ ইঞ্চি) পর্যন্তও লম্বা হতে পারে।[২] এখন পর্যন্ত ধরা সবচেয়ে বড় চিংড়িবাহারের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৪৬ সেমি (১৮ ইঞ্চি); এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফোর্ট পিয়ার্সের কাছে ভারতীয় নদীতে ধরা হয়েছিল।[৩] প্রাচীন অ্যাসিরীয়রা এদেরকে "সি লুকাস্ট" (সামুদ্রিক পঙ্গপাল) বলে ডাকতো ও অস্ট্রেলিয়ায় এরা "প্রাউন কিলার" নামেই পরিচিত।[৪] তবে সাম্প্রতিক কালে কোথাও কখনো একে "থাম্ব স্প্লিটার" বলেও ডাকা হয়।[৫]
চিংড়িবাহার | |
---|---|
Odontodactylus latirostris (ক্যাবেজা) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী |
পর্ব: | সন্ধিপদী |
উপপর্ব: | Crustacea |
শ্রেণী: | Malacostraca |
উপশ্রেণী: | Eumalacostraca |
মহাবর্গ: | Hoplocarida |
বর্গ: | Stomatopoda Latreille, 1817 |
সুপারফ্যামিলি [১] | |
বাস্তুসংস্থান
সম্পাদনাপ্রায় ৪৫১ প্রজাতির চিংড়িবাহার আজ অবধি বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত হয়েছে; সমস্ত জীবিত প্রজাতি ইউনিফেল্টা উপবর্গে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, প্রায় ১৯৩ মিলিয়ন বছর পূর্বে এদের উদ্ভব হয়েছিল।[৬][৭]
আবাসস্থল
সম্পাদনাচিংড়িবাহার মূলত গর্তস্থানে বাস করে, যেখানে তারা তাদের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে।[৮] গর্ত করার জন্য মাটি পছন্দের দিক দিয়ে চিংড়িবাহারের দুটি ভিন্ন ভাগ রয়েছে। এর একটি হলো স্পিয়ারিং এবং অন্যটি হলো স্ম্যামিং।[৮] স্পিয়ারিং প্রজাতিগুলো নরম পললভূমিতে তাদের আবাস তৈরি করে এবং স্মেশিং প্রজাতিগুলি শক্ত মাটিস্তর বা প্রবাল গহ্বরগুলিতে গর্ত তৈরি করে।[৮] এই দুটি বাসস্থান তাদের বাস্তুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা প্রয়োজনের সময় পশ্চাদপসরণের স্থান এবং শিকার শিকারের জন্য স্থান হিসাবে এই গর্তগুলোকেই ব্যবহার করে[৮]
চোখ
সম্পাদনাচিংড়িবাহারের চোখ দুটি নড়াচড়াযোগ্য ডাঁটাতে লাগানো থাকে এবং একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে অর্থাৎ একই সাথে চোখদুটি দুটি ভিন্ন দিকে নজর দিতে পারে। প্রাণীজগতে এদের সবচেয়ে জটিল চোখ রয়েছে বলে মনে করা হয় এবং এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে জটিল দর্শন পদ্ধতির তকমাটি এদেরই দখলে রয়েছে।[৯][১০][১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ টেমপ্লেট:Cita libro
- ↑ James Gonser (ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০০৩)। "Large shrimp thriving in Ala Wai Canal muck"। Honolulu Advertiser।
- ↑ "美國佛州漁民捕獲「巨蝦」 長46公分" (Chinese ভাষায়)। China Times। সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫।
- ↑ "Mantis shrimps", Queensland Museum
- ↑ Gilbert L. Voss (২০০২)। "Order Stomatopoda: Mantis shrimp or thumb splitters"। Seashore Life of Florida and the Caribbean । Dover pictorial archive series। Courier Dover Publications। পৃষ্ঠা 120–122। আইএসবিএন 978-0-486-42068-4।
- ↑ "Stomatopoda"। Tree of Life Web Project। জানুয়ারি ১, ২০০২।
- ↑ Van Der Wal, Cara; Ahyong, Shane T.; Ho, Simon Y.W.; Lo, Nathan (২০১৭-০৯-২১)। "The evolutionary history of Stomatopoda (Crustacea: Malacostraca) inferred from molecular data"। PeerJ। 5: e3844। আইএসএসএন 2167-8359। ডিওআই:10.7717/peerj.3844। পিএমআইডি 28948111। পিএমসি 5610894 ।
- ↑ ক খ গ ঘ Mead and Caldwell, K. and R. (২০০১)। "Mantis Shrimp: Olfactory Apparatus and Chemosensory Behavior"। Breithaupt, T.; Thiel, M.। Chemical Communication in Crustaceans। Chile: Springer। পৃষ্ঠা 219। আইএসবিএন 978-0-387-77100-7।
- ↑ Cronin, Thomas W.; Bok, Michael W.; Marshall, Nicholas Justin; Caldwell, Roy L. (জানুয়ারি ৬, ২০১৪)। "Filtering and polychromatic vision in mantis shrimps: themes in visible and ultraviolet vision"। Philosophical Transactions of the Royal Society B: Biological Sciences। 369 (1636): 20130032। eISSN 1471-2970। আইএসএসএন 0962-8436। ডিওআই:10.1098/rstb.2013.0032। পিএমআইডি 24395960। পিএমসি 3886321 ।
- ↑ Franklin, Amanda M. (সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৩)। "Mantis shrimp have the world's best eyes – but why?"। The Conversation। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৫, ২০১৮।
- ↑ Milius, Susan (২০১২)। "Mantis shrimp flub color vision test"। Science News। 182 (6): 11। জেস্টোর 23351000। ডিওআই:10.1002/scin.5591820609।