চরণজিত কাউর বাজ্বয়া
চরণজিত কাউর বাজ্বয়া একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি পাঞ্জাব বিধানসভার একজন সদস্য ছিলেন। পাঞ্জাব বিধানসভার কাদিয়ান আসন থেকে ২০১২ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।[১] তিনি পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি প্রতাপ সিং বাজ্বয়ার সহধর্মিণী। তার স্বামী লোকসভার সদস্য।[২]
চরণজিত কাউর বাজ্বয়া | |
---|---|
এমএলএ, পাঞ্জাব, ভারত | |
কাজের মেয়াদ ২০১২-২০১৬ | |
পূর্বসূরী | লাখবীর সিং লোধিয়াঙ্গাল |
উত্তরসূরী | ফতেহজং সিং বাজ্বয়া |
নির্বাচনী এলাকা | কাদিয়ান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২৫ জুন ১৯৫৯ পাটিয়ালা, পাঞ্জাব, ভারত |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্রতাপ সিং বাজ্বয়া |
সন্তান | বিক্রম প্রতাপ বাজ্বয়া |
বাসস্থান | কাদিয়ান, পাঞ্জাব, ভারত |
জন্ম
সম্পাদনা১৯৫৯ সালের জুন মাসের ২৫ তারিখে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের পাটিয়ালাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম হরিচরণ সিং চাহাল এবং তার মাতার নাম গুরুচরণ চাহাল।[৩]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাতিনি একজন স্নাতক। ম্যাট্রিকুলেশন, ইন্টারমিডিয়েট শেষ করার পর, ১৯৭৯ সালে, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।[৪]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাচরণজিত কাউর বাজ্বয়া, ২০১২ সালে, পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে, কাদিয়ান আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে মনোনয়ন পান। কাদিয়ান জায়গাটি কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদের জন্মস্থান হিসেবে ভারতবর্ষে পরিচিত। চরনজিত কাউর বাজ্বয়া, মোট প্রদত্ত ভোটের ৪৮.৯৪% ভোট পেয়ে, বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন।[৫] তিনি ৫৯,৮৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রাদেশিক সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শিরোমণি আকালি দলের সেবা সিং সেখোয়ান। সেবা সিং সেখোয়ান পেয়েছিলেন ৪৩,৬৮৭ ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের ৩৫.৭৩%। চরনজিত কাউর বাজ্বয়াসহ ১৪ জন নারী, সেবার পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন, যা ১১৭ জন সদস্যবিশিষ্ট পাঞ্জাব বিধানসভার মোট সদস্য সংখ্যার ১১.৯৭%। ২০১৬ সালের নভেম্বরে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট শতদ্রু-যমুনা সংযোগ নিয়ে পাঞ্জাবের পরিবর্তে হরিয়ানার পক্ষে রায় দিলে পাঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৪২ জন সদস্য একসাথে বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেন, যাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।[৬] বিষয়টি ভারতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দেয়। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি। তার আসনে বাজ্বয়া পরিবারের আরেক সদস্য, তার স্বামী প্রতাপ সিং বাজ্বয়ার ভাই ফতেহজং বাজ্বয়া ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে মনোনয়ন পান এবং জয়লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি প্রতাপ সিং বাজ্বয়ার জীবনসঙ্গিনী। তার স্বামী প্রতাপ সিং বাজ্বয়ার বাবা সৎনাম সিং, বাজ্বয়া পাঞ্জাব বিধানসভার পাঁচ বার নির্বাচিত সদস্য এবং পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের সাবেক মন্ত্রী। রাজনীতির বাইরে, বিক্রম প্রতাপ বাজ্বয়া একজন সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক। তার স্বামীর পাশাপাশি তিনিও প্রাদেশিক রাজনীতিতে রেখে চলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান বিক্রম প্রতাপ বাজ্বয়া।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "List of winner and runner-up candidates"। The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৩।
- ↑ "Seniors skip Bajwa's Golden Temple visit Despite 'diktat'"। The Tribune। ১৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৩।
- "In Punjab, it's all in the family"। The Hindu। ৭ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৩। - ↑ http://www.punjabassembly.gov.in/index.php/members/detail/11
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "STATISTICAL REPORT ON GENERAL ELECTION, 2012 TO THE LEGISLATIVE ASSEMBLY OF PUNJAB" (পিডিএফ)। Election Commission of India। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৩।
- ↑ "SYL verdict: 42 Punjab Congress MLAs submit resignation", Indian Express, 11 November 2016