চতুর্থ চার্লস, পবিত্র রোমান সম্রাট
চতুর্থ চার্লস (চেক: চতুর্থ কারেল, জার্মান: চতুর্থ কার্ল, লাতিন: চতুর্থ কার্লোস; ১৪ই মে ১৩১৬ – ২৯শে নভেম্বর ১৩৭৮[১]) ছিলেন হাউজ অফ লুক্সেমবার্গ থেকে বোহেমিয়ার দ্বিতীয় রাজা এবং বোহেমিয়ার প্রথম রাজা যিনি পবিত্র রোমান সম্রাটে পরিনত হন। তিনি ওয়েনচেসলাস হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বোহেমিয়ার রাজা জনের জ্যেষ্ঠ পুত্র, তার পিতা ২৬ আগস্ট ১৩৪৬ সালে ক্রেসির যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন। চার্লস বংশপরম্পরায় তার পিতার কাছ থেকে বোহেমিয়ার রাজ্য পেয়েছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর ১৩৪৭ সালে তিনি বোহেমিয়ার রাজা খেতাব অর্জন করেন।
চতুর্থ চার্লস | |
---|---|
বোহেমিয়ার রাজা | |
রাজত্ব | ২৬ আগস্ট ১৩৪৬ – ২৯ নভেম্বর ১৩৭৮ |
রাজ্যাভিষেক | ২ সেপ্টেমম্বর ১৩৪৭, প্রাগ |
পূর্বসূরি | বোহেমিয়ার জন |
উত্তরসূরি | চতুর্থ ওয়েনচেসলাস |
রোমানদের রাজা (জার্মানির রাজা) | |
রাজত্ব | ১১ জুলাই ১৩৪৬ – ২৯ নভেম্বর ১৩৭৮ |
রাজ্যাভিষেক | ২৬ নভেম্বর ১৩৪৬, বোন |
পূর্বসূরি | চতুর্থ লুইস, পবিত্র রোমান সম্রাট |
উত্তরসূরি | প্রথম ওয়েনচেসলাস |
পবিত্র রোমান সম্রাট, ইতালির রাজা | |
রাজত্ব | ৬ জানুয়ারি/৫ এপ্রিল ১৩৫৫ – ২৯ নভেম্বর ১৩৭৮ |
রাজ্যাভিষেক | ৬ জানুয়ারি ১৩৫৫, মিলান (রাজকীয় ইতালি) ৫ এপ্রিল ১৩৫৫, রোম (পাতশাহী) |
পূর্বসূরি | চতুর্থ লুইস |
উত্তরসূরি | প্রথম সিগিসমান্ড |
বুরগুন্ডির রাজা | |
রাজত্ব | ৪ জুন ১৩৬৫–২৯ নভেম্বর ১৩৭৮ |
রাজ্যাভিষেক | ৪ জুন ১৩৬৫, বেসানকন |
উত্তরসূরি | প্রথম সিগিসমান্ড |
জন্ম | ১৪ মে ১৩১৬ প্রাগ |
মৃত্যু | ২৯ নভেম্বর ১৩৭৮ (৬২ বছর) প্রাগ |
সমাধি | |
দাম্পত্য সঙ্গী | ব্লেন্সি অ্যানা অ্যানা ভন এলিজাবেথ |
বংশধর | সিগিসমান্ড, পবিত্র রোমান সম্রাট ওয়েনচেসলাস, রোমানদের রাজা মার্গারেট, হাঙ্গেরির রাণী Catherine of Bohemia বোহেমিয়ার এলিজাবেথ অ্যানি, ইংল্যান্ডের রাণী বোহেমিয়ার মার্গারেট |
রাজবংশ | হাউজ অফ লুক্সেমবার্গ |
পিতা | বোহেমিয়ার জন |
মাতা | বোহেমিয়ার এলিজাবেথ |
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক |
১১ জুলাই ১৩৪৭ সালে যুবরাজ নির্বাচকরা চার্লসকে রোমানদের রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে তার বিরোদ্ধে ছিলেন সম্রাট চতুর্থ লুইস। ২৬ নভেম্বর ১৩৪৬ সালে বোনে তিনি রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। তার বিরোধীর মৃত্যুর পর তিনি পুনরায় ১৭ জুন ১৩৪৯ সালে নির্বাচিত হন এবং ২৫ জুলাই রোমানদের সিংহাসন লাভ করেন। ১৩৫৫ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি ইতালির রাজা হন এবং ৫ এপ্রিল পবিত্র রোমান সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন। ৪ জুন ১৩৬৫ সালে বুরগুন্ডির রাজ্যাভিষেকের মধ্য দিয়ে তিনি পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সকল রাজ্যের শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন।
জীবনী
সম্পাদনাচার্লস ওয়েনচেসলাস হিসেবে প্রাগে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জন যিনি বহেমিয়ার রাজা জন নামে পরিচিত এবং তার মাতা ছিলেন বহেমিয়ার এলিজাবেথ। ওয়েনচেসলাস নামটি তিনি তার মাতৃ সম্পর্কীয় দাদা দ্বিতীয় ওয়েনচেসলাসের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন প্রিমেসলিড রাজবংশ থেকে বহেমিয়ার রাজা। চার্লাস তার চাচা ফ্রান্সের রাজা চতুর্থ চার্লেসর সম্মানে তার নাম চার্লস রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যার কাছে তিনি সাত বছর অতিবাহিত করেন।
চতুর্থ চার্লস ফরাসি ভাষায় শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং লাতিন, চেক[২], জার্মান, ফরাসি ও ইতালি-এই পাঁচটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। ১৩৩১ সালে তার বাবার সাথে ইতালিতে থাকার সময় তিনি যুদ্ধসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৩৩৩ সালের প্রথম দিকে চার্লস তার শাসনকে দৃঢ় করার জন্য লুসাতে গিয়েছিলেন। শহর রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা করতে গিয়ে চার্লস কাছাকাছি একটি দূগ ও মন্টেকার্লো শহরের সন্ধান পান।[৩] ১৩৩৩ সাল থেকে তিনি তার পিতার অনুপস্থিতির জন্য মাঝে মাঝে বোহেমিয়া রাজ্য দেখাশুনা করেন এবং তিনি তাতে নিপূণ কৌশলের পরিচয় দেন। ১৩৩৪ সালে তিনি নিজের নাম মারগ্রেভ অফ মুরাভিয়া রেখেছিলেন, এটি ছিল সিংহাসনের উত্তরাধিকারীদের ঐতিহ্যগত নাম। দুই বছর পরে, তিনি তার ভাই, জন হেনরি পক্ষে টেরল সরকার অধিকৃত করেন, এবং শীঘ্রই সক্রিয়ভাবে এই কাউন্টি দখল জন্য সংগ্রাম জড়িত হয়ে পরেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Karl IV. In: Hans Herzfeld(de) (1960): Geschichte in Gestalten (History in figures), vol. 2: F-K. Das Fischer Lexikon(de) 38, Frankfurt 1963, p. 294
- ↑ Vita Caroli
- ↑ Montecarlo
- Charles IV (autobiography), edited by Balázs Nagy, Frank Schaer: Autobiography of Emperor Charles IV; And, His Legend of St. Wenceslas: Karoli IV Imperatoris Romanorum Vita Ab Eo Ipso Conscripta; Et, Hystoria Nova de Sancto Wenceslao Martyre, Published by Central European University Press, 2001, আইএসবিএন ৯৬৩-৯১১৬-৩২-৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৬৩-৯১১৬-৩২-০, 259 pages, books.google.com
- এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।