চড়ার হাট শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়
চড়ার হাট শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় (Charar Hat Shahid Smriti College) বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলেজটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত। কলেজটি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ার হাট বাজারে অবস্থিত।[১]
নীতিবাক্য | জ্ঞানের আলোকে ভালোবাসো |
---|---|
ধরন | উচ্চ মাধ্যমিক |
স্থাপিত | ১৯৯৪ |
ইআইআইএন | ১২০৯৪৪ |
অধ্যক্ষ | গোলাম মোস্তোফা |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৮ |
শিক্ষার্থী | ১৫০+ |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহরতলি |
ভাষা | বাংলা মাধ্যম |
সংক্ষিপ্ত নাম | চশসম |
অধিভুক্তি | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর, এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
বিবরণ
সম্পাদনা১৯৯৪ সালের ১ই জুলাই কলেজটি তার পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়। কলেজটির প্রাতিষ্ঠানিক কোড (ইআইএন নাম্বার) হল ১২০৯৪৪। কলেজটিতে বিজ্তিঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিনটি বিভাগে শিক্ষা দেওয়া হয়। কলেজটি এমপিও ভুক্তি নাম্বার হল ৭৪১২০৭৩১০১।
নামকরণ ও মূলনীতি
সম্পাদনাচড়ারহাট বধ্যভূমি নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নে অবস্থিত। ১৯৭১ সালে এই পুটিমারা ইউনিয়নের প্রাণকৃষ্ণপুর, আন্দোলগ্রাম, সারাইপাড়া ও খয়েরগুনি এই ৪ টি গ্রামের শতাধিক যুবককে চড়ারহাট বাজারে হত্যা করা হয়।[২] সবার মতো চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদকেও হত্যা করার জন্য সেই সারিতে দাঁড় করানো হয়েছিলো তবে ভাগ্যক্রমে কোন গুলি তার দেহে আঘাত করেনি। তিনি সেসময় অন্যান্য মৃতদের সাথে শুয়ে মৃত হওয়ার ভান করে বেঁচে যান। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি তার পেশায় সফল হন। পরবর্তীতে তিনি চড়ারহাটে এই শহীদের স্মরণে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হন এবং ইয়াহিয়া, আবদুল হাফিজ সরকার সহ তার অন্যান্য বন্ধুদের সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। যেহেতু এটি সেই শহীদদের স্মৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে তাই এর নামকরণ করা হয়েছে চড়ারহাট শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়।
প্রশাসন ও শিক্ষক
সম্পাদনামহাবিদ্যালয়টিতে মোট ১৮জন শিক্ষক পাঠদান কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।
অবকাঠামো
সম্পাদনাকলেজটি মোট ২.১ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এর মধ্যে ০.৩৩ একরে একাডেমিক ভবন এবং ০.৪৬ একরে খেলার মাঠ রয়েছে।
ভবন
সম্পাদনামহাবিদ্যালয়টিতে ৩টি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। মহাবিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে চার তলা বিশিষ্ট একটি ভবন স্থাপিত হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাচড়ার হাট শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় দিনাজপুর বোর্ড এর অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে ২০২০ সালে ৫০ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। ২০২০ সালের তথ্য মোতাবেক দিনাজপুর বোর্ড এ কলেজটির অবস্থান ছিল ৪৪৫তম এবং সারাদেশে এর অবস্থান ছিল ৩১৮৮তম। সহপাঠী নামক অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা সমীক্ষা অনুসারে এর অবস্থান ৫৯৯৫তম।
বিতর্ক
সম্পাদনামহাবিদ্যলয়টি ২০১৩ সাল থেকে কোন ম্যানেজিং কমিটি ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছে। যেহেতু কলেজ পরিচালনার জন্য ম্যানেজিং কমিটি থাকা আবশ্যক তাই উপজেলা প্রশাসনের আদেশক্রমে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিভিন্ন মেয়াদে বন্ধ থাকতো।[৩] এ অসন্তোষের জেরে ২০২১ সালে বকেয়া বেতন-ভাতা আসন্ন ঈদুল আজাহার পূর্বে উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এবং কলেজের অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ https://www.sohopathi.com/chararhat-shahid-smriti-college/
- ↑ "চড়ারহাট বধ্যভূমি"।
- ↑ "অভিযোগপত্র"।
- ↑ "অধ্যক্ষকে অবরোধ"। ৩১ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২১।