চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সুইমিংপুল

চট্টগ্রামের বিলুপ্ত সুইমিংপুল

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সুইমিংপুল চট্টগ্রাম মহানগরীর দুটি বিলুপ্ত সাঁতার ক্রীড়া আয়োজন ও জনসাধারণের ব্যবহার্য সুইমিংপুল। সিটি কর্পোরেশন নির্মিত পুল দুটি পাঁচলাইশে জাতিসংঘ পার্কের ভিতরে নির্মিত হয়েছিল। ২০১৫ সালের জুন মাসে উদ্যানের একটি ব্যায়ামাগারের সাথে পুলদুটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়।[] কারিগরি ত্রুটি থাকায় পুল দুটি কার্যকালের প্রায় পুরোসময় অব্যবহৃত ছিল। ২০২২ সালে উদ্যানের উন্নয়ন ও সংস্কার শুরু হলে পুল দুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সুইমিংপুল
২২°২১′৩৮″ উত্তর ৯১°৫০′০৯″ পূর্ব / ২২.৩৬০৬৭৮° উত্তর ৯১.৮৩৫৮০১° পূর্ব / 22.360678; 91.835801
ঠিকানাজাতিসংঘ পার্ক, পাঁচলাইশ
খোলা২০১৫
ভাঙ্গন২০২২
পরিচালনায়চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
মালিকানাধীনচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
স্থাপত্যমেসার্স জে জে ট্রেডার্স
ধরনক্রীড়া ও জনসাধারণের ব্যবহার
অবস্থাবিলুপ্ত
খরচ ৩.৯৪ কোটি[]
দৈর্ঘ্য১২০ মিটার
প্রস্থ৫০ মিটার
গভীরতা৮.০০ - ৮.৫০ মিটার
আকার
০.৯ একর[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

২০১২ সালে ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) জাতিসংঘ উদ্যানে্র এক প্রান্তে সুইমিংপুল দুটির নির্মাণ শুরু করে।[][] দুই দফা সময় বাড়ানো হয়।[] নির্মাতা মেসার্স জে জে ট্রেডার্স[] ২০১৫ সালের জুন মাসে কাজ সম্পন্ন করে। সম্পূর্ণ নির্মাণে চসিক ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় করে।[] নির্মাণের পর দীর্ঘদিন পুলটি সক্রিয় করা হয়নি। মাত্র একদিন ব্যবহারের পর পুল দুটি অব্যবহৃত ছিল।[][] কারিগরি ত্রুটি থাকায় নির্মাণের পর থেকে পরিত্যক্ত ছিল।[] ২০১৬ সাল থেকে উদ্যানের মালিকানা নিয়ে চসিকের সাথে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিরোধ শুরু হয়।[][] সুইমিংপুল ও ব্যায়ামাগার নির্মাণ করায় উদ্যানের স্থান সংকুচিত হয়েছিল।[] বিরোধ নিষ্পত্তি হলে গণপূর্ত অধিদপ্তর উদ্যানটির উন্নয়ন পরিকল্পনা করে।[][] নতুন পরিকল্পনায় পুল ও ব্যায়ামাগার না রাখায়, ২০২২ সালে ক্রীড়াস্থাপনাগুলি ভেঙ্গে ফেলা হয়।[][]

কাঠামো ও আয়োজন

সম্পাদনা

সুইমিংপুল দুটি জাতিসংঘ উদ্যানের এক প্রান্তে শূন্য দশমিক ৯ একর জায়গা নিয়ে বানানো হয়েছিল।[] প্রতিটি পুলের দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থে ৫০ ফুট ছিল। একটি আট ফুট, অপরটি সাড়ে আট ফুট গভীর ছিল।[][]

২০১৭ সালের ৬ মে, এক দিনের জন্য সুইমিংপুল দুটিতে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল, যা ছিল পুল দুটির কার্যদশায় একমাত্র ব্যবহার।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সুইমিং পুল অপসারণের প্রস্তাব যাচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনে"দৈনিক আজাদী। ২০২২-০২-১৭। ২০২৪-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৬ 
  2. বড়ুয়া, সঞ্জয় কুমার (২০২২-০২-১০)। "১২ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ভাঙা হবে ৪ কোটির সুইমিং পুল"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ২০২৪-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৬ 
  3. ঘোষ, সুজন (২০১৯-১০-০৬)। "সুইমিংপুল দুটির ভবিষ্যৎ কী?"প্রথম আলো। ২০২৪-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৬ 
  4. ঘোষ, সুজন (২০১৫-১২-২০)। "এক বছর মেয়াদের কাজ শেষ হয়নি তিন বছরেও"প্রথম আলো। ২০২৪-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৬ 
  5. সামাদ, ফাহিম আল (২০২৪-০৫-২২)। "৫ কোটি টাকা গচ্চা, নতুন করে ১২ কোটিতে সংস্কার"প্রথম আলো। ২০২৪-০৫-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৬ 
  6. ঘোষ, সুজন (২০২২-০৯-১২)। "চার কোটি টাকা জলে যাচ্ছে"প্রথম আলো। ২০২৪-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৬ 
  7. "পাল্টেযাবে জাতিসংঘ পার্ক"দৈনিক আজাদী। ২০২২-০৬-০১। ২০২৪-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৬ 
  8. চৌধুরী, মিঠুন (২০২২-০৩-১৩)। "একটি পার্ক, দুটি সুইমিং পুল, এক দশকের চক্কর"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৯