চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[]

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো
নীতিবাক্যজ্ঞানের তরে এসো, সমৃদ্ধির তরে বেরিয়ে যাও
ধরনসরকারি প্রকৌশল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
স্থাপিত১৯৬২; ৬২ বছর আগে (1962)
ইআইআইএন৭০০৬১ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষপ্রকৌশলী মোঃ ইয়াসিন
শিক্ষার্থী৪২০০
অবস্থান,
২২°২২′০৮″ উত্তর ৯১°৪৮′৪১″ পূর্ব / ২২.৩৬৮৮৩৩° উত্তর ৯১.৮১১৩৯১° পূর্ব / 22.368833; 91.811391
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ২০ একর (৮.১ হেক্টর)
ভাষাবাংলা
পোশাকের রঙফিরোজা  
অধিভুক্তিবাকাশিবো
ওয়েবসাইটctgpoly.gov.bd
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আমলে ১৯৬২ সালে এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম থেকেই এটি ৭টি বিভাগ নিয়ে পরিচালনা শুরু করে।

অবস্থান

সম্পাদনা

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ এলাকায় ২০ একর জমি জুড়ে অবস্থিত। এর পূর্বে রয়েছে বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।[]

ক্যাম্পাস

সম্পাদনা

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ক্যাম্পাসে অনেকগুলো শ্রেণীবদ্ধ ল্যাব রয়েছে। যেমন: একটি বেসিক ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, অ্যাডভান্স ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, চারটি কম্পিউটার ল্যাব, রসায়ন ল্যাব এবং পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব। এছাড়াও রয়েছে অফিস ভবন, গ্রন্থাগার, অডিটোরিয়াম এবং ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মশালা। যেমন: সিভিল শপ, মেটাল শপ, মেশিন শপ, ওয়েল্ডিং শপ, মেট্রোলজি শপ, উড শপ, পাওয়ার শপ, ফাউন্ড্রি শপ এবং বেসিক ওয়ার্কশপ।

শিক্ষাব্যবস্থা

সম্পাদনা

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স প্রদান করে থাকে। এর প্রতিটি বিভাগ এর শিক্ষা কর্মসূচি আটটি পর্বে বিভক্ত। কোর্স শেষে একজন শিক্ষার্থী মূল্যায়ন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪ সিজিপিএ এর সনদপত্র অর্জন করে থাকে। তন্মধ্যে অষ্টম পর্ব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য নির্ধারিত। প্রতিটি পর্ব সর্বোচ্চ ৬ মাস দীর্ঘ। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রতি পর্বের ৬৫% শিক্ষার্থী সরকার থেকে বৃত্তি পায়। এছাড়াও বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রতি পর্বে ৪৮০০ টাকা করে বৃত্তি পায়। আবার প্রতি বিভাগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং চলাকালে প্রত্যেক শিক্ষার্থী মাসিক ভাতা পায়।[][]

প্রযুক্তি

সম্পাদনা

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৭টি প্রযুক্তি চালু আছে।

  1. সিভিল প্রযুক্তি
  2. ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি
  3. ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি
  4. কম্পিউটার প্রযুক্তি
  5. মেকানিক্যাল প্রযুক্তি
  6. পাওয়ার প্রযুক্তি
  7. এনভায়রনমেন্টাল প্রযুক্তি

ছাত্রাবাস

সম্পাদনা

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য ৫টি এবং ছাত্রীদের জন্য ১টি আবাসিক হল রয়েছে। যার মধ্যে দুটি ছাত্রাবাস চোদ্দ বছর ধরে বন্ধ [১]

  • মাষ্টার দ্য সূর্যসেন হল
  • কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল
  • প্রীতিলতা হল ।

ছাত্র সংগঠন

সম্পাদনা
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

সহ পাঠ্যক্রম

সম্পাদনা

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা পাঠ্যক্রমও চালু আছে।

  • বিতর্ক ক্লাব
  • আইটি ক্লাব
  • সাংস্কৃতিক ক্লাব
  • ক্রীড়া ক্লাব

চিত্রশালা

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা:শিক্ষার্থীরা কতটা আগ্রহী হচ্ছে?"। আকবর হোসেন। ২০১৭-০১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ 
  2. "চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"ctgpoly.gov.bd। ২০২২-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৬ 
  3. "বাংলাদেশের সেরা ১০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"Muktobrain (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়তে হলে"prothom-alo.com। ২০১৩-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা