শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক

বাংলাদেশের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক[] বা চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত এটি নির্মিত হচ্ছে। এটির নিকটেই বঙ্গবন্ধু টানেল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর অবস্থিত। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও টানেলের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরীর সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে।[] এর দৈর্ঘ্য হবে ১৬ কিলোমিটার।[]

চুক্তি ও ব্যয়

সম্পাদনা

ম্যাক্স-র‍্যাংকন যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর সাথে চুক্তি করেছে।[]

৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প ২০১৭ সালের ১১ জুলাই অনুমোদন হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয়। ২০২২ সালে নির্মাণ ব্যয় বাড়ানোর ফলে মোট নির্মাণব্যয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা করা হয়েছে।[]

নামকরণ

সম্পাদনা

এক্সপ্রেসওয়েটির নাম প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নামে “মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরী সিডিএ উড়ালসড়ক” নামে নামকরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু করে এবং একইসাথে এক্সপ্রেসওয়ের নাম বদলে চট্টগ্রামে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরামের নামে নামকরণ করা হয় “শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক”।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "চট্টগ্রামে বদলে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম, আজ থেকে শুরু হবে টোল আদায়"দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ৩ জানুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৫ 
  2. "চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: প্রকল্প বিলম্বিত, দুর্ভোগও দীর্ঘায়িত"বিডিনিউজ২৪। ৬ অক্টোবর ২০২০। ১০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০ 
  3. "এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: নির্মাণকাজ নিয়ে যত জটিলতা"প্রথম আলো। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০ 
  4. "Deal signed for Ctg elevated expressway"দ্য ডেইলি স্টার। ১ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১০ 
  5. "চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ব্যয় বাড়ল"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২৩