ঘোড়ামারা নদী

বাংলাদেশ ও ভারতের নদী

ঘোড়ামারা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[] নদীটির দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ১৩ কিলোমিটার, প্রস্থ প্রায় ১০০ মিটার যা ঘোড়ামারা ঘাটে পরিমাপকৃত। এবং এখানে নদীর গভীরতা ৪ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ৬৫ বর্গকিলোমিটার।[] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ঘোড়ামারা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৩৭।[]

ঘোড়ামারা নদী
দেশসমূহ বাংলাদেশ, ভারত
রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
অঞ্চল রংপুর বিভাগ
জেলাসমূহ পঞ্চগড় জেলা, জলপাইগুড়ি জেলা
উৎস পশ্চিমবঙ্গ
মোহনা করতোয়া নদী
দৈর্ঘ্য ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল)
বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমান্ত নদী ঘোড়ামারা

প্রবাহ

সম্পাদনা

ঘোড়ামারা নদী ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা হতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং সেই জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীতে পতিত হয়েছে।[]

পানি প্রবাহ

সম্পাদনা

এই নদীর পানিপ্রবাহ সারা বছরই থাকে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে পানির প্রবাহ সবচেয়ে কমে যায়। তখন প্রবাহের পরিমাপ ২.৪৫ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। জুন-জুলাই মাসে পানিপ্রবাহ বেশি হয়। তখন এই প্রবাহ ৪৯৪ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। এই নদীতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব নেই। সাধারণত বন্যায় নদীর দুকুল প্লাবিত হয় না। নদীটির উপর ঘোড়ামারা সেতু আছে একটি।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "আন্তঃসীমান্ত_নদী"বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠ্তি.১৯৫।
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১১১। আইএসবিএন 984-70120-0436-4