ঘূর্ণিঝড় অশনি
প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি[ক] বঙ্গোপসাগরের একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় যেটি ৭ মে ২০২২ থেকে ১২ মে ২০২২ তারিখ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। অশনি ২০২২ সালের উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের তৃতীয় নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ এবং প্রথম ঘূর্ণিঝড়। এটি একটি নিম্নচাপ থেকে তৈরি হয়েছিল যেটিকে ৭ মে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ প্রথম পর্যবেক্ষণ করেছিল। শক্তিশালীকরণের জন্য পরিবেশগত অবস্থা অনুকূল ছিল, যেহেতু পরের দিন ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধির আগের দিন ঘূর্ণনটি একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল, যাকে অশনি নামকরণ করা হয়।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
শ্রেণী ১ (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী) | |
গঠন | ৭ মে ২০২২ |
বিলুপ্তি | ১২ মে ২০২২ |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ১১০ কিমি/ঘণ্টা (৭০ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ১২০ কিমি/ঘণ্টা (৭৫ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯৮৮ hPa (mbar); ২৯.১৮ inHg |
হতাহত | মোট ৩ জন |
ক্ষয়ক্ষতি | অজানা |
প্রভাবিত অঞ্চল | ভারত (অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ওড়িশা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ) |
২০২২ সালের উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের অংশ |
আবহাওয়া ইতিহাস
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি মেয়াদোত্তীর্ণ। |
প্রস্তুতি ও প্রভাব
সম্পাদনাভারত
সম্পাদনাভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা ১০ মে, ২০২২ তারিখে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। অন্ধ্রপ্রদেশে মোতায়েনকৃত নয়টি দল ও রক্ষিত সাতটি দল, ওড়িশায় মোতায়েনকৃত একটি দল ও রক্ষিত সতেরোটি দল এবং পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েনকৃত বারোটি দল ও রক্ষিত পাঁচটি দল ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) দ্বারা স্থাপন করা হয়।[২][৩]
বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় নৌবাহিনী অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে ত্রাণ সামগ্রী, ডাইভিং এবং মেডিকেল টিমসহ ভারতীয় নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজসহ বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদানের জন্য ১৯ টি বন্যা ত্রাণ দল এবং ছয়টি ডুবুরি দল প্রস্তুত করে। নৌবাহিনীর বক্তব্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলসমূহের একটি এরিয়াল জরিপ করার জন্য এবং প্রয়োজনে হতাহতের স্থানান্তরের জন্য বিশাখাপত্তনম ও অদূর চেন্নাইয়ে নৌ-বিমান ঘাঁটিগুলোতে নৌ বিমানগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়।[৪]
খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর থেকে ২৩টি ফ্লাইট বাতিল করে ইন্ডিগো। একই কারণে এয়ারএশিয়ার চারটি ফ্লাইটও একই স্থান থেকে সেদিনের জন্য বাতিল করা হয়েছিল। হায়দরাবাদ, বিশাখাপত্তনম, জয়পুর ও মুম্বইসহ চেন্নাই বিমানবন্দরের ১০টি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়।[২]
বাংলাদেশ
সম্পাদনাবরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচটি উপকূলীয় জেলায় ৪,৯১৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়।[৫][৬] কক্সবাজার জেলা প্রশাসনও উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ৬ মে, ২০২২ তারিখে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) প্রতিটি শিবিরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনের নির্দেশনাসহ নয়টি কার্যক্রম উল্লেখ করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।[৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Simran Kashyap (মে ৬, ২০২২)। "How Cyclone Asani got its name? Why naming is important?"। www.oneindia.com। New Delhi, India: Oneindia। মে ৯, ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৮, ২০২২।
- ↑ ক খ "Home Secretary reviews cyclone Asani preparedness, around 50 NDRF teams on ground"। www.aninews.com। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০২২।
- ↑ "Union Home Secy Reviews Cyclone Asani Preparedness; NDRF Deployed In Andhra, Odisha, Bengal"। Pragativadi News Service। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০২২।
- ↑ "Cyclone Asani: Navy's Eastern Command in Visakhapatnam steps up with aid"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০২২।
- ↑ "Cyclone 'Asani': Five coastal districts on alert"। The Business Standard। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০২২।
- ↑ "Five coastal districts on alert over cyclone 'Asani'"। The Financial Express। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০২২।
- ↑ "Preparations underway at Rohingya camps in Cox's Bazar to tackle Cyclone Asani"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০২২।