ঘ
বাংলা বর্ণমালার চতুর্থ ব্যঞ্জনবর্ণ
ঘ (আধ্বব: [gha], প্রাচীন ব্রাহ্মীরূপ: 𑀖) হলো বাংলা বর্ণমালার চতুর্থ ব্যঞ্জনবর্ণ। 'ঘ' হলো একটি পূর্ণমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ।
ঘ | |
---|---|
ব্যবহার | |
লিখনপদ্ধতি | বাংলা লিপি |
ধরন | শব্দীয় বর্ণমালা লিপি |
উৎপত্তির ভাষা | বাংলা ভাষা |
ইউনিকোড মান | U+0998 |
বর্ণমালায় অবস্থান | ১৫ |
ইতিহাস | |
ক্রমবিকাশ | |
অন্যান্য | |
লেখার দিক | বাম থেকে ডানে |
বর্ণনা
সম্পাদনা'ঘ' বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের চতুর্থ ব্যঞ্জনবর্ণ হওয়ার সাথে সাথে ক-বর্গীয় ধ্বনিরও চতুর্থ ধ্বনি। 'ঘ' ভারত উপমহাদেশের ভাষাগুলোর একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
ব্যবহার
সম্পাদনাস্বরবর্ণ | ঘ'র সাথে যুক্ত হলে |
---|---|
অ | ঘ |
আ | ঘা |
ই | ঘি |
ঈ | ঘী |
উ | ঘু |
ঊ | ঘূ |
ঋ | ঘৃ |
এ | ঘে |
ঐ | ঘৈ |
ও | ঘো |
ঔ | ঘৌ |
যুক্তবর্ণ(আদিতে)
সম্পাদনাপৃথক রূপ | যুক্তরূপ | শব্দ |
---|---|---|
ঘ্ + ন | ঘ্ন | কৃতঘ্ন |
ঘ্ + য | ঘ্য | শ্লাঘ্য |
ঘ্ + র | ঘ্র | ব্যাঘ্র |
ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনা'ঘ' প্রথাগতভাবে কন্ঠ্যধ্বনি অভিহিত হয়। কিন্তু কালের ব্যবধানে এর উচ্চারণস্থান পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এটি জিহ্বামূল বা পশ্চাত্তালু থেকে উচ্চারিত হয়।[১] [২]এটি একটি মহাপ্রাণ ধ্বনি। কারণ এটি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে আগত বাতাস স্বরতন্ত্রী খোলার সময় সবলে বেরিয়ে আসে। তাছাড়াও স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় বলে এটি একটি ঘোষ ধ্বনি।
উদাহরণ
সম্পাদনা•ঘর্ম
•ঘর্ষণ
•ঘড়ি
•ঘাস
•ঘি
•ঘুঘু
কম্পিউটিং কোড
সম্পাদনাঅক্ষর | ঘ | |
---|---|---|
ইউনিকোড নাম | বাংলা অক্ষর ঘ | |
এনকোডিং | দশমিক | হেক্স |
ইউনিকোড | 2456 | U+0998 |
ইউটিএফ-৮ | 224 166 152 | E0 A6 98 |
সংখ্যাসূচক অক্ষরের তথ্যসূত্র | ঘ | ঘ |