গ্লাইকোজেন
গ্লাইকোজেন হোল একটি পুষ্টিজাত পলিস্যাকারাইড। এটি প্রাণীদেহের প্রধান সঞ্চিত খাদ্য উপাদান হলেও নীলাভ সবুজ শৈবাল (সায়ানোব্যাক্টেরিয়া) ও কতিপয় ছত্রাক (যেমন-ইস্ট)-এর খাদ্য উপাদান হিসেবে বিরাজ করে। গ্লাইকোজেনের মূল গাঠনিক একক হলো α-D-গ্লুকোজ। অ্যামাইলোপেকটিন এর মত এর অণু শৃঙ্খল ও শাখান্বিত। প্রতি শাখায় ১০-২০ টি গ্লুকোজ একক থাকে। হাইড্রোলাইসিস শেষে গ্লাইকোজেন হতে কেবল আলফা - D গ্লুকোজ অণু পাওয়া যায়।এর আণবিক সংকেত C6H10O5 । প্রাণিদেহে লিভার ও পেশিতে বেশি করে গ্লাইকোজেন জমা থাকে যা প্রয়োজনে গ্লুকোজ এ পরিণত হয়ে কার্বন ও শক্তি সরবরাহ করে।[১]
গ্লাইকোজেন এর ধর্ম
সম্পাদনা- গ্লাইকোজেন পানিতে সহজে দ্রবীভূত হয়না।
- এটি সাদা পাউডার জাতীয় জৈব-রাসায়নিক পদার্থ।
- আয়োডিন দ্রবণ প্রয়োগে লালচে বেগুনি বর্ণ ধারণ করে।
- ঠান্ডা পানিতে এটি সাসপেনশন তৈরি করে।
গ্লাইকোজেন এর ব্যবহার
সম্পাদনা- পেশিতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন পেশির শক্তি জোগায়।
- যকৃতের গ্লাইকোজেন গ্লুকোজ এ পরিণত হিয়ে রক্তে প্রবাহিত হয়।
গ্লাইকোজেন এর কাজ
সম্পাদনাসঞ্চিত খাদ্য হিসেবে কাজ করে গ্লাইকোজেন। প্রয়োজনে শ্বসনে শক্তির উৎস হিসেবে গ্লাইকোজেন কাজ করে। প্রাণীর পেশী ও যকৃতে ভবিষ্যতের জন্য গ্লাইকোজেন সঞ্চিত থাকে। প্রয়োজনে গ্লাইকোজেন প্রোটিন ও চর্বিতে রূপান্তরিত হয়ে বিভিন্ন জৈবনিক কাজ করতে পারে।[২]