গ্রেট ব্রিটেনের ক্ষুদ্রতম ভবন
'গ্রেট ব্রিটেনের সবচেয়ে ছোট ঘর' (ওয়েলশ: Y Tŷ Lleiaf ym Mhrydain Fawr); যা কি হাউস হিসেবেও পরিচিত, ওয়েলশের কনওয়ে কি'র একটি পর্যটক আকর্ষণ [১] এটি ব্রিটেনের ক্ষুদ্রতম ভবন হিসাবে স্বীকৃত।[২]
গ্রেট ব্রিটেনের ক্ষুদ্রতম ভবন | |
---|---|
অবস্থান | Conwy, Wales |
স্থানাঙ্ক | ৫৩°১৬′৫৭″ উত্তর ৩°৪৯′৪৩″ পশ্চিম / ৫৩.২৮২৪° উত্তর ৩.৮২৮৫° পশ্চিম |
নির্মিত | ১৬ শতক |
ইতিহাস
সম্পাদনাএই ক্ষুদ্র ভবনটি ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি করা হয় এবং ১৯০০ সাল পর্যন্ত এটিকে ব্যবহার করা হয়, যখন রবার্ট জনস নামে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির এক জেলে ভাড়া থাকতো।[৩] রুমগুলো এতই ছোট ছিল যে তার দাঁড়াতে কষ্ট হত এবং সেজন্য তৎকালীন কাউন্সিলর তাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করেন ও অন্যান্য সম্পত্তির পাশাপাশি এ ভবনটিকেও বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। ভবনটি এখনো তার উত্তরাধিকারদের আওতাভূক্ত, রবার্টের ছেলেদের ব্যবসায় অনীহার কারণে মহিলা আত্মীয়ের কাছে নিযুক্ত। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নর্থ ওয়েলস উইকলি নিউজ নামক পত্রিকার সম্পাদকের প্রচেষ্টায় রজার ডাউসন (মালিক) ও সম্পাদক নিজে পুরো যুক্তরাজ্য চষে বেড়ান ভবনটিকে গ্রেট ব্রিটেনের সবচেয়ে ছোট ভবন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য, যা পরবর্তীতে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও স্থান পায়।[৪]
স্থাপত্য ও নির্মানশৈলি
সম্পাদনাএই ভবনটি ৩ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১.৮ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট (১০ বাই ৫.৯ ফুট) এবং মেঝেটি লাল রঙের । এবং ভবনটি কনওয়ে ক্যাসেল দেয়ালের পাশেই অবস্থিত। নিচের তলা শোবার ঘরের জন্য বরাদ্দকৃত যেখানে আগুন এবং কয়লা জ্বালানোর জন্য রয়েছে যথার্থ ব্যবস্থা ও সিড়ির সাথে যুক্ত পানির ব্যবস্থা, যা নিচে ছোট একটি গুদাম ঘরের মতো জায়গাও তৈরি করে।
পর্যটন ব্যবস্থা
সম্পাদনাএই ভবনটির প্রতি পর্যটকদের সবসময়ই আগ্রহ রয়েছে এবং এখানে প্রবেশের জন্য বড়দের ক্ষেত্রে ১ ইউরো এবং ছোটদের ক্ষেত্রে ০.৫০ ইউরো করে নেওয়া হয় । [১] একজন ওয়েলশ মহিলা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কে বুঝতে ও মানুষের সামনে তুলে ধরতে সাহায্য করেন। [১] এর কাঠামোগত অবস্থা এতটা ভালো না হওয়ার কারণে সবাই এর ভিতরে প্রবেশ করে দেখার সুযোগ পান না, তাই বিশেষ মই এর মাধ্যমে এর ভিতরটা দেখানো হয়। এটি গ্রীষ্মে থেকে শরৎকাল পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত ।
সংগৃহীত ছবি সমূহ
সম্পাদনা-
কোয়ে হাউস, পার্শ্ব দিক
-
কোয়ে হাউস
-
কোয়ে হাউসের প্রদর্শনীর মাধ্যমে এর ইতিহাস মানুষকে দেখানো হচ্ছে ।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Inside Britain's Smallest House (Which Is Still Depressingly Bigger Than Our Flat) (PICTURES)"। The Huffington Post UK। ৯ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Owner Smallest House in Great Britain Dead"। The Lewiston Daily Sun। ১৪ জুন ১৯২৬। পৃষ্ঠা 14। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Irvine, Chris (১৫ মার্চ ২০১০)। "Flat 'smaller than a snooker table' worth £200,000"। Daily Telegraph। Archived from the original on ১৭ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Jones, Mari (২০১৬-১১-১৮)। "History of the smallest house in Great Britain"। northwales। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-২৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- * Visiting information ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে