যে যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহের উপস্থিতি ও পরিমাণ নির্ণয় করা হয় তাকে গ্যালভানোমিটার বলে।

একটি ডি. আরসোনভ্যাল গ্যালভানোমিটার

প্রকারভেদ

সম্পাদনা
  • চল চুম্বক গ্যালভানোমিটার: এতে চুম্বক শলাকা মুক্ত অবস্থায় থাকে কিন্তু কুণ্ডলী স্থির থাকে।
  • চল কুণ্ডলী গ্যালভানোমিটার: এতে কুণ্ডলী মুক্ত অবস্থায় থাকে কিন্তু চুম্বক স্থির থাকে।
  • চল গলভানোমিটারের প্রবাহ সুবেদিতা: কুন্ডলিতে যে প্রবাহের জন্য দর্পণ থেকে 1 মিটার দূরে রাখা একটি স্কেলে আলোকবিন্দুর 1 mm সরন পাওয়া যায়। সেই প্রবাহকে গলভানোমিটারের প্রবাহ সুবেদিতা বলে

বর্তমানে সর্বত্র চল কুণ্ডলী গ্যালভানোমিটার ব্যবহৃত হয়। এ জাতীয় গ্যালভানোমিটারে একটি স্থির চুম্বকের দুই মেরুর মাঝে একটি চলনক্ষম কুণ্ডলী থাকে। এর আবিস্কারক ডি. আরসোনভ্যাল। এর সুবিধা হচ্ছে:

  • চুম্বক শলাকা ব্যবহৃত হয়না বিধায় এর উপর পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের কোন প্রভাব থাকেনা।
  • ভিতরে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে বলে বাইরের কোন চৌম্বকক্ষেত্র একে প্রভাবিত করতে পারেনা।
  • কুণ্ডলী স্প্রিংয়ের সাথে সংযুক্ত বিধায় কোন দোলন ছাড়াই সাম্যবস্থায় থাকে।
  • যেকোন অবস্থানে রেখে ব্যবহার করা যায়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা