গোলাম সারোয়ার মিলন
গোলাম সারোয়ার মিলন (জন্ম: ৬ নভেম্বর ১৯৫৭) বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী যিনি তৎকালীন মানিকগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন।[১][২][৩]
গোলাম সারোয়ার মিলন | |
---|---|
বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩০ নভেম্বর ১৯৮৬ – ১০ অক্টোবর ১৯৮৭ | |
মানিকগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নাজিমউদ্দিন রোড, ঢাকা | ৬ নভেম্বর ১৯৫৭
রাজনৈতিক দল | বিকল্পধারা জাতীয় পার্টি পিডিপি বিএনপি |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফাতেমা সারোয়ার |
সন্তান | এক মেয়ে এবং এক ছেলে |
পিতামাতা | মোতাহার হোসেন হাসিনা বিশ্বাস |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেসিডেনসিয়াল কলেজ আরমানিটোলা উচ্চবিদ্যালয় |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাগোলাম সারোয়ার মিলন ৬ নভেম্বর ১৯৫৭ সালে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত মোতাহার হোসেন সরকারি চাকরি করতেন। মা মৃত হাসিনা বিশ্বাস। স্ত্রী ফাতেমা সারোয়ার, ইডেন কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছেন। তার এক মেয়ে এবং এক ছেলে।
তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনাগোলাম সারোয়ার মিলন ১৯৮১ থেকে ১৯৮২ মেয়াদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি ভাসানী-ন্যাপ সমর্থিত বাম ছাত্র সংগঠনে জাতীয় ছাত্রদলে যুক্ত ছিলেন। তিনি এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে কারাবরণ করেন।
১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হয়ে ছিলেন। ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন মানিকগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][২] এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি শিক্ষা-উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খানের মৃত্যুর পর ১৯ এপ্রিল ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন মানিকগঞ্জ-৪ আসনে পরাজিত হয়ে ছিলেন।[৩]
১১ জানুয়ারি ২০০৭ সালের আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলে (পিডিপি) যোগদেন। পরবর্তীতে আবারও জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।[৩] একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারায় যোগ দিয়ে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে কুলা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়ে ছিলেন।[৪]
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও এফবিসিসিআইর সদস্য তিনি। তিনি লাইফ স্টাইল এন্ড কোম্পানি, দেশ লঙ্কা লিমিটেড, পেন্টা হলিডে রিসোর্ট ও পেন্টা গ্রুপ বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ ঘ "আবারো ডিগবাজি দিলেন গোলাম সারোয়ার মিলন"। দৈনিক আমাদের সময়। ২৭ অক্টোবর ২০১৮। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ ঢাকা, নিজস্ব প্রতিবেদক (১০ ডিসেম্বর ২০১৮)। "যুক্তফ্রন্টের ৩ জন নৌকায়, ২০ জন কুলায়"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০।