গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ
গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ টি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গোবরডাঙা শহরে অবস্থিত। এই কলেজ বা মহাবিদ্যালয়টি ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এক সময় এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে থাকলেও বর্তমানে এটি বারাসাত এ অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে পরিচালিত।[১]
![]() | |
স্থাপিত | ১৯৪৭ |
---|---|
অধিভুক্তি | পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহরাঞ্চলিয় |
ওয়েবসাইট | http://www.ghcollege.in |
![]() |
ইতিহাস
সম্পাদনাস্বাধীনভাবে যুদ্ধের সময় বর্তমানে বাংলাদেশের দৌলতপুর কলেজের বেশ কয়েকজন কলেজ শিক্ষকসহ শিক্ষিত ও প্রখ্যাত ব্যক্তিরা ভারতে এসেছিলেন এবং ১৯৪৭ সালের ২৭ শে নভেম্বরে দেশের স্বাধীনতার পর এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কলেজটি, একাডেমিক বিষয়গুলি ব্যতীত বিভিন্ন মানব-হিতৈষী কার্যক্রমের মাধ্যমে, তার উন্নত লক্ষ্য অর্জন করেছে। এছাড়া ২০০৫ , ২০১৬ এবং একই ভাবে ২০২৪ সালে পরপর এনএসিসি (ইউজিসি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা) দ্বারা "এ" পর্যায়ে অনুমোদিত হয়ে।[২]
পরিকাঠামো
সম্পাদনাভবন
সম্পাদনাএকাডেমিক কমপ্লেক্সের বিশাল অংশে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ভবন রয়েছে। নিম্নলিখিত ভবনগুলির সুবিধা বর্ণনা করা হল:
- হেরিটেজ টিন-শেড নং। - ১
- হেরিটেজ টিন-শেড নং। - ২
- প্রধান ভবন
- বি.এড. এবং নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লেক্স
- গোল্ডেন জুবিলি বিল্ডিং
- ছাত্রদের হোস্টেল
- ছাত্রদের জন্য একটি হোস্টেল ভবন রয়েছে কলেজ ক্যম্পাসে। এই হোস্টেল ধারণ ক্ষমতা ৮০ জন।
- ছাত্রীদের হোস্টেল
- ছাত্রীদের আবাসনের জন্য এবং দুটি সুশোভিত মহিলা হোস্টেল ভবন রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তনী - ড.হরেকৃষ্ণ মন্ডল (বর্তমান কলেজের প্রিন্সিপ্যাল), শ্রী শংকর দত্ত ( পৌরপিতা , গোবরডাঙ্গা) অভিক ভঞ্জ(কলেজ শিক্ষক) , ইনসান আলি (কলেজ শিক্ষক ও গবেষক )
সাধারণ কক্ষ (ছেলে ও মেয়েদের জন্য)
সম্পাদনাআখড়া
সম্পাদনাকলেজের উন্নত যন্ত্র সহ একটি ভালো ভাবে সজ্জিত মাল্টি-জিম ছাত্রদের জন্য রয়েছে। বর্তমানে একটি নতুন ভবন নির্মাণাধীন হচ্ছে, যেখানে মোট ইউনিট স্থানান্তরিত হবে এবং জিমের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
খেলার মাঠ
সম্পাদনাকলেজটি মোট ১২ একর জমির উপরে গড়ে উঠেছে। কলেজ ক্যম্পাসের এক বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রয়েছে খেলার মাঠ। এই মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। মাঠের এক পাশে ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য কংক্রিটের দুটি পিচ রয়েছে।
বাগান
সম্পাদনাওয়াইফাই
সম্পাদনাঅবিচ্ছিন্ন হাই স্পিড ইন্টারনেট সংযোগ (জিও ওয়াইফাই পরিষেবা মাধ্যমে) সুবিধা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রদান করা হয়। এটি যে কোনও ব্লক/ভবন থেকে কাজ করে এবং ডাটা ট্রান্সফারও একই গতিতে কাজ করে।
গ্রহন্ত্রগার
সম্পাদনাএকটি কলেজের উদ্দেশ্য পূরণে জ্ঞান সংগ্রহের জন্য শিক্ষণ ও শিক্ষার সমন্বয় সাধনের জন্য গ্রন্থাগারটি কেন্দ্রীয় বিন্দু বলে মনে করা হয়। কলেজের গ্রহণ্ত্রগার প্রতিষ্ঠানের বুদ্ধিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত। কলেজের গ্রহণ্ত্রগার বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, শিল্প ও মানবিক বিষয়সহ প্রায় সব বিভাগ পর্যাপ্ত বই দ্বারা সমৃদ্ধ।[৩]
পঠন-পাঠনের বিষয়
সম্পাদনাস্নাতক
সম্পাদনাবিজ্ঞান বিভাগ
সম্পাদনা- গণিত (অনার্স ও জেনারেল)
- পদার্থবিদ্যা (অনার্স ও জেনারেল)
- রয়ায়নবিদ্যা (অনার্স ও জেনারেল)
- অর্থনীতি (অনার্স ও জেনারেল)
- নৃতত্ত্ব (অনার্স ও জেনারেল)
- উদ্ভিদবিদ্যা (অনার্স ও জেনারেল)
- প্রাণিবিদ্যা (অনার্স ও জেনারেল)
- ভূগোল (অনার্স ও জেনারেল)
কলা বিভাগ
সম্পাদনা- বাংলা (অনার্স ও জোনারেল)
- ইংরাজি (অনার্স ও জেনারেল)
- সংস্কৃত (অনার্স ও জেনারেল)
- ইতিহাস (অনার্স ও জেনারেল)
- এডুকেশন (অনার্স ও জেনারেল)
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান (অনার্স ও জেনারেল)
- সঙ্গিত (অনার্স ও জেনারেল)
- সাংবাদিকতা (অনার্স ও জেনারেল)
- পর্যটন ব্যবস্থাপনা ও ভ্রমণ (অনার্স ও জেনারেল)
কমার্স
সম্পাদনা- বাণিজ্য (অনার্স ও জেনারেল)
অনুমোদন
সম্পাদনাগোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত।[৪] এটি ন্যাশনাল এসেসমেন্ট এন্ড আসিক্রেডিটেশন কাউন্সিল (NAAC) দ্বারা স্বীকৃত, এবং ন্যাকের সমীক্ষাতে দ্বিতীয় ধারাবাহিক সময় জন্য ২০১৬ সালে এ গ্রেড বজায় রাখা হয়েছে কলেজটি।[৫]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ"। ২৯ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "History of Gobardanga Hindu College"। http://www.ghcollege.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৯।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "About Library"। http://www.ghcollege.ac.in/। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "Colleges in West Bengal, University Grants Commission"। ১৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৯।
- ↑ "Institutions Accredited / Re-accredited by NAAC with validity" (পিডিএফ)। National Assessment and Accreditation Council। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২।