সমকামীদের স্তবগীতি
একটি সমকামীদের স্তবগীতি (ইংরেজি: Gay anthem গে অ্যান্থেম) হল এমন একটি জনপ্রিয় গান যেটি সমকামী সমাজে (বিশেষত সমকামী পুরুষদের মধ্যে) বিশেষ জনপ্রিয় অথবা যে গানটিকে সমকামী সমাজের সঙ্গে চিহ্নিত করা হয়। যদিও এই ধরনের কিছু কিছু গান এলজিবিটি সমাজের অবশিষ্ট সংশের অ্যান্থেমেও পরিণত হয়েছে। পিঙ্কের "রেইজ ইয়োর গ্লাস" প্রভৃতি বহু তালিকার শীর্ষে জনপ্রিয় গান "পুরুষ-সমকামী অধিকারের জন্য দ্ব্যর্থতাহীন সমর্থনের আশ্রয়স্থল" হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।[১] "সমকামীদের স্তবগীতি" নামে চিহ্নিত সব গান সে উদ্দেশ্যে রচিত হয়নি। তবে পুরুষ-সমকামী সমাজে সেই সব গান বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করলে, সেই গানগুলি জনপ্রিয় সংগীতের একটি উপবর্গের অন্তর্ভুক্ত হয়।
সমকামীদের স্তবগীতির কথাগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল দৃঢ়তা, মানসিক শক্তি, সমর্থন, গৌরব ও ঐক্য।[২] ২০০২ সালে প্রকাশিত ক্যুয়ার বইয়ের সম্পাদকেরা দশটি উপাদানকে চিহ্নিত করেছিলেন। তাঁদের দাবি অনুসারে, এই দশটি উপাদানই হল অনেক সমকামীদের স্তবগীতির বিষয়বস্তু: "উচ্চকণ্ঠ ডিভা; প্রেমের বাধা জয়ের বিষয়; “তুমি একা নও;” নিজের চিন্তাভাবনা (দলের প্রতি) ছুঁড়ে দেওয়া; কষ্ট করে বিজিত আত্মসম্মান; নির্লজ্জ যৌনতা; সমর্থন অনুসন্ধান; বিশ্ব-দুঃখে আলো দেখানোর গান; প্রেমের দ্বারা সব কিছু জয়ের বিষয়; এবং তুমি কী তার জন্য কোনও ক্ষমাপ্রার্থনা না করা।"[২]
সংগীত পত্রিকা পপুলার মিউজিক অনুসারে, যে গানটি সমকামীদের স্তবগীতি হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত, সেটি হল গ্লোরিয়া গেনোরের "আই উইল সারভাইভ"।[৩] এই গানটিকে "স্টোনওয়াল-উত্তর ও এইডস যুগের পুরুষ সমকামী সংস্কৃতির একটি ধ্রুপদি প্রতীক এবং সম্ভবত ডিস্কোর শ্রেষ্ঠ অ্যান্থেম" মনে করা হয়। যুক্তরাজ্যের এলজিবিটি অধিকার দাতব্য সংস্থা স্টোনওয়াল ক্রিস্টিনা অ্যাগুইলেরার "বিউটিফুল" গানটিকে এলজিবিটি সমাজের ক্ষেত্রে ২০০০-এর দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী গান হিসেবে উল্লেখ করে।[৪] এলটন জন অনুমান করেছিলেন যে, এই গানটি শ্রেষ্ঠ সমকামীদের স্তবগীতি হিসেবে "আই উইল সারভাইভ" গানটিকে স্থানচ্যুত করতে পারে।[২] ডায়ানা রসের "আই’ম কামিং আউট",ক্রাকডি"আমি ফ্যাগট ফ্যাগট ফ্যাগট" এবিবিএ-এর "ড্যান্সিং কুইন", লেডি গাগার "বর্ন দিস ওয়ে" ও ভিলেজ পিপলের "ওয়াই.এম.সি.এ গানগুলিকেও সমকামীদের স্তবগীতি মনে করা হয়। যদিও এই গানগুলি রচয়িতারা সেই উদ্দেশ্যে রচনা করেননি।[২][৫]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hawgood, Alex (নভেম্বর ৫, ২০১০)। "For Gays, New Songs of Survival"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ Casserly, Meghan (ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১)। "Lady Gaga's Born This Way: Gay Anthems And Girl Power"। Forbes। ২৭ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ Hubbs, Nadine (মে ২০০৭)। "'I Will Survive': musical mappings of queer social space in a disco anthem"। Popular Music। 26 (2): 231–244। ডিওআই:10.1017/s0261143007001250।
- ↑ "Media: Current Releases"। stonewall.org.uk। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Y.M.C.A.byThe Village People"। songfacts.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪।