গেশম দ্বীপ

ইরানের দ্বীপ

গেশম দ্বীপ (ফার্সি: قشم ; ক্বেশম দ্বীপ নামেও লেখা হয়[]) ইরানের একটি দ্বীপ। দ্বীপটি পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীতে অবস্থিত। ইরানের মূল ভূখণ্ড থেকে এটি খুরান বা ক্ল্যারেন্স প্রণালীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন। মূল ভূখণ্ডে এটি উপকূলীয় বন্দর শহর বন্দর আব্বাসের সাথে সংযুক্ত।

গেশম দ্বীপ
গেশম দ্বীপের স্কাইলাইন
আয়তন
 • মোট১,৪৯১ বর্গকিমি (৫৭৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা ১,১৭,৭৭৪
মহাকাশ থেকে গেশম দ্বীপ

ভূ-প্রকৃতি

সম্পাদনা

দ্বীপটির আয়তন দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। এই দ্বীপের প্রস্তরময় উপকূল প্রায় দুইশ দুই কিলোমিটার দীর্ঘ। গেশম দ্বীপের আয়তন সিঙ্গাপুর বা বাহরাইনের তুলনায় আড়াইগুণ বড়। দৈর্ঘে ১২০ কিলোমিটার আর প্রস্থে স্থানবিশেষে ১০ থেকে পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার। এই দ্বীপে বেশ কয়েটি টিলাও আছে। তবে এসব টিলার উচ্চতা বেশি নয়। সবচেয়ে উচুঁ টিলাটির উচ্চতা হলো সাড়ে তিনশ' মিটার।গেশম দ্বীপটি ইরান এর মূল ভূমি ভাগ থেকে একটি জল ভাগ বা প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।দ্বীপটি পাথুরে ভূমি ভাগ নিয়ে গঠিত।

জনসংখ্যা

সম্পাদনা

এখানে প্রায় এক লক্ষ ১৮ হাজার মানুষ বসবাস করে। এদের সবাই মুসলমান। এরা ফার্সি ভাষার পাশাপাশি তাদের আঞ্চলিক ভাষাতেও কথা বলে।

অর্থনীতি

সম্পাদনা

১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে ইরান-এর গেশম দ্বীপ মুক্ত বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯০ সালে প্রথম এই বন্দরকে কাস্টমস বা শুল্কের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তবে ঐ বছরই পুনরায় গেশমকে মুক্ত বাণিজ্য বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কারণ এই বন্দরটি এখন ওমান সাগর এবং পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচে ব্যস্ত একটি বাণিজ্য বন্দর। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে গেশম দ্বীপএ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে।গেশমে ব্যবসা বাণিজ্য প্রাধানত বন্দর ভিত্তিক।এই বন্দর দ্বারা সহজেই খনিজ তেল ও শিল্পের কাঁচা মাল পাওয়া যায়।এই দ্বীপে পেট্রো ক্যামিকাল শিল্প গড়ে উঠেছে।এখানে সহজেই কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ক্বেশম দ্বীপ: যার আয়তন সিঙ্গাপুর বা বাহরাইনের চেয়ে আড়াইগুণ বড়"। সংগ্রহের তারিখ ১০-১২-২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)