গেট টাওয়ার ভবন
গেট টাওয়ার ভবন (ゲートタワービル গেটু টাওয়া বিরু) জাপানের ওসাকা শহরের ফুকুশিমা-কুতে অবস্থিত একটি একটি ১৬ তলা দাপ্তরিক ভবন। শহরের মহাসড়ক ইকেদা রুটের জন্য জনপ্রিয় যেটি ভবনের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেছে।[১] ১৯৮৯ সালে ভবনটির মধ্য দিয়ে ইকোদা মহাসড়কের উমেদা প্রস্তানের অংশটি নির্মাণ করা হয়। ফলে ভবনের মধ্য দিয়ে মহাসড়ক অতিক্রমের বিরল দৃষ্ঠান্ত স্থাপিত হয়েছে।[২]
গেট টাওয়ার ভবন | |
---|---|
ゲートタワービル | |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | অফিস ভবন |
অবস্থান | ৫-৪-২১ ফুকুশিমা, ফুকুশিমা, ওসাকা |
দেশ | জাপান |
স্থানাঙ্ক | ৩৪°৪১′৫৩″ উত্তর ১৩৫°২৯′২২″ পূর্ব / ৩৪.৬৯৮০৬° উত্তর ১৩৫.৪৮৯৪৪° পূর্ব |
ঊর্ধ্বতা | ২ মি (৭ ফু) |
সম্পূর্ণ | ১৯৯২ |
গ্রাহক | সুয়েজাওয়া সাঙ্গিয়া কো লিমিটেড |
উচ্চতা | ৭১.৯ মি (২৩৬ ফু) |
কারিগরী বিবরণ | |
কাঠামো ব্যবস্থা | চাঙ্গা কংক্রিট এবং আংশিক ইস্পাত ফ্রেম |
তলার সংখ্যা | ১৬ নিচতলার উপরে, ২ ভূগর্ভস্থ, ১ লিফ্ট সরঞ্জাম টাওয়ার |
তলার আয়তন | ৭,৯৫৬ মি২ (৮৫,৬৪০ ফু২) |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | আজুসা সেককেই, ইয়ামামোটো-নিশিহারা কেনঞ্চিকু সেককেই জিমুশ |
প্রধান ঠিকাদার | সাতো ক্অজ্অ কো লিমিটেড |
কাঠামো
সম্পাদনাবৃত্তাকার প্রস্থচ্ছেদ সহ ভবনের দুটি মূল কাঠামো রয়েছে। হানশিন এক্সপ্রেসওয়ে এর ইকেদা রুটের উমেদা প্রস্থান (ইকেদার দিক থেকে মহাসড়কটি দিয়ে প্রস্থান করার সময়) এই ভবনের পঞ্চম তলা থেকে সপ্তম তলার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। শুধুমাত্র মহাসড়কটির জন্য সেই তলাগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ভবনের লিফট সে তলাগুলোর মধ্য দিয়ে যাবার সময় সরাসরি ৪র্থ থেকে ৮ম তলায় না থেমেই অতিক্রম করে। যে তলাগুলো যেগুলোর মধ্যে দিয়ে মহাসড়কটি অতিক্রম করেছে সেগুলো লিফট, সিঁড়ি ও যন্ত্রপাতিতে বোঝাই। মহাসড়কটির ভবনের সাথে কোন সরাসরি যোগাযোগ নেই ।[৩][৪] ভবনের কাঠামোকে সহায়তা দেবার জন্য মহাসড়কটি এটি সেতুর মতো করে ভবনটিকে অতিক্রম করে । শব্দ এবং কম্পন থেকে রক্ষা করার জন্য মহাসড়কটি একটি কাঠামো দ্বারা বেষ্টিত। তাছাড়া ভবনের ছাদে হেলিপ্যাড রয়েছে।[৩][৫]
ইতিহাস
সম্পাদনাজাপান সম্রাজ্যের মেইজি আমলের প্রথম থেকেই কাঠ ও কয়লা ব্যবসার জন্য এই জমি ব্যবহার করা হতো, তবে জ্বালানীর অন্যান্য উৎস ধীরে ধীরে বিকশিত হওয়ার ফলে সেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছিল। ১৯৮৩ সালে এই এলাকার পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছিল, তবে মহাসড়কের পরিকল্পনা ইতিমধ্যে করা হয়ে যাওয়ায় ভবনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করা হয়।[৪] তবে ভূমির স্বত্ত্বাধিকারীরা হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন এবং বর্তমান সমাধানে পৌঁছানোর জন্য হানশিন এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনের সাথে প্রায় পাঁচ বছর ধরে আলোচনা চলে।[১][২]
যদিও সাধারণত মহাসড়ক নির্মাতা কর্পোরেশনগুলো জমি ও মহাসড়ক ক্রয় করে থাকে, এক্ষেত্রে সে পদ্ধতির সফলতা নিশ্চিত ছিল না যার ফলে অনেক ধরনের সমস্যা উৎপন্ন হতে পারতো। সেকারণে একই জায়গায় মহাসড়ক এবং ভবনের একীভূত উন্নয়নের অনুমতি দেওয়ার জন্য ১৯৮৯ সালে মহাসড়ক আইন, নগর পরিকল্পনা আইন, নগর পুনর্বাসনের আইন এবং ভবন নির্মাণ নির্দেশনায় পর্যন্ত আংশিকভাবে সংশোধন করা হয়েছিল। আইনগুলির সংশোধন মূলত টোকিওর টরোনিমন, মিনাতো-কু এর আশেপাশে দ্বিতীয় চক্রাকার সড়ক নির্মাণের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে প্রয়োগ করা হয়নি । পরিবর্তে সিস্টেমটি গেট টাওয়ার ভবন নির্মাণের সময় কার্যকর করা হয়েছিল। এটি একটি মহাসড়ক অতিক্রম করার জাপানের প্রথম ভবন । সাধারণত, এই ক্ষেত্রে মহাসড়কগুলি এখনও মাটির উপরে নির্মিত এবং একটি ভবনের মধ্য দিয়ে যাওয়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা।[২]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
ভবনের মধ্য দিয়ে যাওয়া উমেদা প্রস্থান
-
ভবনের নকশায় ৫ম-৭ম তলায় মহাশড়কের অবস্থান
-
ভূমি থেকে সড়ক সেতুর দৃশ্য
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Schneider, Kate (২০১৪-০১-০৯)। "Are these the most outrageous hotel designs ever?"। News.com.au। ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Isaac, Hamza (২০১৪-১২-১০)। "10 Bizarre Buildings And Their Fascinating Histories"। Gizmodo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫।
- ↑ ক খ (German) Martin Hackl, Marco Witt, Simon Bethke and Martina Beils: Verkehrsplanung: Durch dieses Hochhaus führt eine Autobahn (Transportation planning: An Expressway passes through this sky scraper), ProSieben – Galileo Magazine, Episode 397, Season 2016, 28 December 2016 (YouTube)
- ↑ ক খ "El Gate Tower Building de Osaka, o cuando las autopistas atraviesan edificios"। Japonismo (স্পেনীয় ভাষায়)। ২০১৪-১০-১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫।
- ↑ Verkehrsplanung: Durch dieses Hochhaus führt eine Autobahn [Transportation planning: An Expressway passes through this sky scraper]। Galileo Lunch Break (জার্মান ভাষায়)। ২১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০।