গুরুদাসপুর জেলা
গুরুদাসপুর জেলা ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের মাঝা অঞ্চলের একটি জেলা। গুরুদাসপুর এ জেলার সদরদপ্তর। এর উত্তরে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে, যা পাকিস্তানের পাঞ্জাবের নরোওয়াল জেলা এবং অন্যদিকে অমৃতসর, পাঠানকোট, কপুরতলা এবং হুশিয়ারপুর জেলার সাথে সীমানা ভাগ করে নিয়েছে। দু'টি প্রধান নদী বিপাশা এবং রাবি এ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মুঘল সম্রাট আকবর এ জেলার ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর কালানৌরের নিকটে একটি বাগানবাড়ী স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায়।[১] গুরুদাসপুর জেলা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। ২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী এটি পাঞ্জাবের ২২টি জেলার মধ্যে তৃতীয় জনবহুল (লুধিয়ানা, অমৃতস্বর ও বাটারা জেলার পরে) জেলা।[২]
গুরুদাসপুর জেলা | |
---|---|
জেলা | |
ভারতের পাঞ্জাবের এর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩১°৫৫′ উত্তর ৭৫°১৫′ পূর্ব / ৩১.৯১৭° উত্তর ৭৫.২৫০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পাঞ্জাব |
সদরদপ্তর | গুরুদাসপুর |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬১০ বর্গকিমি (১,০১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)‡[›] | |
• মোট | ২২,৯৯,০২৬ |
• জনঘনত্ব | ৮৮০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | পাঞ্জাবি |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+৫:৩০) |
স্বাক্ষরতা | ৭৯.৯৫% |
ওয়েবসাইট | gurdaspur |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় গুরুদাসপুরের ভবিষ্যত অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ১৯৪১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই জেলা ছিল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, জেলার মোট জনসংখ্যার ৫১.১৪% ছিল মুসলমান। সীমান্তের র্যাডক্লিফ রেখার পুরস্কার হিসেবে কেবল জেলার শকরগড় তহসিল পাকিস্তানকে দেয় এবং বাকী অংশ ভারতকে দেয়। ভারত অংশের তহসিলগুলির মুসলিম জনসংখ্যা শরণার্থী হিসাবে পাকিস্তানে চলে আসে এবং শকরগড়ের হিন্দু ও শিখরা রবি ব্রিজ পেরিয়ে গুরুদাসপুরে পাড়ি জমায়। তারা বসতি স্থাপন করে এবং গুরুদাসপুর জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
২০১১ সালের ২৭ জুলাই জেলার কিছু অংশ নিয়ে নতুন পাঠানকোট জেলা গঠন করা হয়েছিল, যা পূর্বে গুরুদাসপুরের অংশ ছিল। পাঠানকোট জেলা দুটি তহসিল বা সাব ডিভিশন; পাঠানকোট এবং ধরকালন এবং নরোট নিয়ে গঠিত হয়েছিল।
ভূগোল
সম্পাদনাগুরুদাসপুর জেলাটি পাঞ্জাব রাজ্যের উত্তরে অবস্থিত। এটি জলন্ধর বিভাগে অন্তর্গত এবং রবি এবং বিপাশা নদীর মধ্যে স্যান্ডউইচ করা। জেলাটি উত্তর-অক্ষাংশ ৩১০-৩৬ ' থেকে ৩২০-৩৪' এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৭৪০-৫৬' এবং ৭৫০-২৪' এর মধ্যে অবস্থিত। এর উত্তরে পাঠানকোট জেলা, উত্তর-পূর্বে বিপাশা নদী, দক্ষিণ-পূর্বে হোশিয়ারপুর জেলা, দক্ষিণে কপূরতলা জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে অমৃতসর জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে পাকিস্তান রয়েছে।
জনসংখ্যা
সম্পাদনা২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে গুরুদাসপুর জেলার জনসংখ্যা ২,২৯৯,০২৬ জন[২], যা স্বাধীন রাষ্ট্র লাতভিয়া[৩] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের সমান।[৪] এই বিশাল জনসংখ্যা এটিকে ভারতের ১৯৬ তম বৃহৎ জেলায় স্থান করি দিয়েছে (মোট ৬৪০টি জেলার এর মধ্যে)। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৪৯ জন (প্রতি বর্গ মাইলে ১৬৮০ জন) বাসিন্দা রয়েছে। ২০০১-২০১১ এর দশকে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৩%। গুরুদাসপুরের লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে ৮৯৫ জন মহিলা রয়েছে। এবং এর সাক্ষরতার হার ৭৯.৯৯%।[২]
গুরুদাসপুর জেলার প্রধান ধর্ম হল শিখ ও হিন্দু ধর্ম। এছাড়া কিছু সংখ্যক ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "About District"। gurdaspur.nic.in। ২ আগস্ট ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Latvia 2,204,708 July 2011 est.
- ↑ "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
New Mexico – 2,059,179