গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস

গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস (SARS-CoV, SARSr-CoV) একটি ভাইরাস যার কারণে গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি (সার্স) নামক রোগাবস্থার সৃষ্টি হয়।[] ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল তারিখে এশিয়াতে গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টির প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং সেখান থেকে রোগটি বিশ্বের অন্য অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে যে বেশ কয়েকটি পরীক্ষাগার দ্বারা চিহ্নিত করোনাভাইরাসটি কারণ ছিল সার্স ভাইরাস। নিউইয়র্ক সিটি, সান ফ্রান্সিসকো, ম্যানিলা, হংকং এবং টরন্টোর পরীক্ষাগারগুলিতে ভাইরাসটির নমুনা সংরক্ষণ হয়েছিল।

গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ১
ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে সার্স ভাইরাসের চিত্র
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস e
প্রজাতি: গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস
প্রতিশব্দ
  • সার্স করোনাভাইরাস
  • গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি[]

২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এবং কানাডার জাতীয় অনুজীববিজ্ঞান পরীক্ষাগার (এনএমএল) গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসটির বংশাণুসমগ্র শনাক্ত করে। [][] নেদারল্যান্ডসের রটারড্যামের এরাসমুস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন যে গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসটির বৈশিষ্ট্যগুলি কোখের স্বতঃসিদ্ধগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তারা এটিকে রোগসৃষ্টিকারক জীবাণু হিসাবে নিশ্চিত করেন। পরীক্ষাগুলিতে ভাইরাসে সংক্রামিত মাকাক বানরগুলি সার্স আক্রান্ত মানুষদের মতো একই লক্ষণসমষ্টি প্রদর্শন করে।[]

ইবোলা মহামারীর পরে উদ্ভূত একটি নতুন ভাইরাস সার্স করোনাভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভবিষ্যতের মহামারী হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে এবং জরুরি গবেষণা ও রোগনির্ণয় পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাময়ের জন্য টিকা এবং ঔষধ প্রস্তুত করে।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ICTV Taxonomy history: Severe acute respiratory syndrome-related coronavirus"International Committee on Taxonomy of Viruses (ICTV) (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (html) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. Thiel V (editor). (২০০৭)। Coronaviruses: Molecular and Cellular Biology (1st সংস্করণ)। Caister Academic Press। আইএসবিএন 978-1-904455-16-5 
  3. "Remembering SARS: A Deadly Puzzle and the Efforts to Solve It"। Centers for Disease Control and Prevention। ১১ এপ্রিল ২০১৩। ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৩ 
  4. "Coronavirus never before seen in humans is the cause of SARS"। United Nations World Health Organization। ১৬ এপ্রিল ২০০৬। ১২ আগস্ট ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০০৬ 
  5. Fouchier RA, Kuiken T, Schutten M, ও অন্যান্য (২০০৩)। "Aetiology: Koch's postulates fulfilled for SARS virus"। Nature423 (6937): 240। ডিওআই:10.1038/423240aপিএমআইডি 12748632বিবকোড:2003Natur.423..240F 
  6. Kieny, Marie-Paule। "After Ebola, a Blueprint Emerges to Jump-Start R&D"Scientific American Blog Network। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  7. "LIST OF PATHOGENS"World Health Organization। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬