গুপ্ত জমিদার বাড়ি
এই নিবন্ধটি অনাবৃত ইউআরএল ব্যবহার করছে, যা তথ্যপূর্ণ নয় এবং অকার্যকর হবার ঝুঁকিতে রয়েছে। (সেপ্টেম্বর ২০১৯) |
গুপ্ত জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন এর পদুয়া গ্রামে ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত অষ্টদশ শতাব্দীতে নির্মিত একটি ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি। [১] এই একটি দর্শনীয় স্থান।
গুপ্ত জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | পদুয়া জমিদার বাড়ি গুপ্ত এস্টেট গুপ্ত রাজবাড়ি |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | লোহাগাড়া উপজেলা |
ঠিকানা | পদুয়া |
শহর | লোহাগাড়া উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | আনুমানিক ১৭০০ শতকের দিকে |
স্বত্বাধিকারী | রামমোহন গুপ্ত |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
ইতিহাস
সম্পাদনাজমিদার বাড়িটি প্রায় তিনশত বছর আগে জমিদার রামমোহন গুপ্তের হাত ধরে সৃষ্টি। মূলত এই জমিদার বংশধররা ময়মনসিংহ জেলা থেকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এসে বসতি স্থাপন করেন। তখন এই এলাকাটি আরকান রাজ্যের অধীনে ছিল এবং এখানে একচেটিয়া আদিবাসিদের অর্থাৎ মং, চাকমা ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। তখন তারা বাঙালিদের উপর অত্যাচার করত। তাই মং, চাকমা ও অন্যান্য আদিবাসিদের এই এলাকা ছাড়ার জন্য রামমোহন গুপ্ত হিন্দু ও মুসলমান বাঙালি জাতিকে নিয়ে আদিবাসি খেদাও আন্দোলন গড়ে তোলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রামমোহন গুপ্ত হিন্দু ও মুসলমান বাঙালি জাতির কাছে একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন এবং সকলের বিপদআপদে সাড়া দিতেন। তার সাথে একসময় এক মুসলিম মহিলার সাথে পরিচয় হয়। যার সাথে তিনি ধর্মবোনের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। হঠাৎ একদিন ঐ মহিলা স্বপ্নের মাধ্যমে গুপ্তধনের সন্ধান পান। তখন তিনি তার ধর্মভাই রামমোহনকে নিয়ে উক্ত গুপ্তধন উদ্ধার করেন। তবে তার তেমন কোনো আপন কেউ না থাকাতে ধর্মভাই রামমোহনকে সকল সম্পদ দান করেন। আর এই বিশাল সম্পদ দিয়ে রামমোহন গুপ্ত তার এই জমিদারীর সূচনা করেন। এরপর তিনি ও তার বংশধররা জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। রামমোহন গুপ্ত ছিলেন অত্যন্ত প্রজাহিতৈষী জমিদার। তিনি তার প্রজাদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। অনেক মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। জমিদার রামমোহন গুপ্ত তার ধর্মবোন মারা গেলে তার জন্য প্রতি বছর তিনি একই রঙের প্রায় আটটি গরু জবাই করে মেহমানদারির আয়োজন করতেন। জমিদার রামমোহন গুপ্ত মারা যাওয়ার পর পরবর্তী জমিদাররা আস্তে আস্তে রামমোহনের ধর্মবোনেরর জন্য করা মেহমানদারি বন্ধ করে দেন।
অবকাঠামো
সম্পাদনাপদুয়া গুপ্ত এস্টেট জমিদার বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার পদুয়া হাটের সাথেই দণ্ডায়মান সাড়ে তিন শতাধিক বছরের পুরাতন জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়িটি ১০ একর জমির উপর নির্মিত। বাড়িটি ১২০ কক্ষ বিশিষ্ট । বিশাল বাড়ির পশ্চিম পাশে ছিল সু-উচ্চ ভবন। দক্ষিনে রয়েছে দু'তলা বিশিষ্ট বাড়ি। পূর্ব পাশেও ছিল একটি ভবন। মূল ভবনের পূর্ব পাশে আরও একটি ভবন রয়েছে। জমিদার বাড়িটি ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। প্রবেশের গেট ছিল খুবই সুন্দর কারুকার্য দ্বারা তৈরি। এক ভাগে ছিল বিশাল কাচারি ঘর। যেখানে বসে জমিদার রামমোহন গুপ্ত বিচার কার্য পরিচালনা করতেন। অপর ভাগের পুরোটাই ছিল অন্দর মহল। ভেতরে ছিল মন্দির,পাঠশালাসহ সব সুযোগ-সুবিধা। ভবনের দেয়াল গুলো ছিল বিশাল বড়। ভবনের সামনে ছিল বড় বারান্দা। তিন পাশে ছিল সু-উচ্চ ভবন ও এক পাশে মনাদির। জমিদারেরা ঠাকুর দিঘি নামে ২২.৪৩ একর জমির উপর এক বিশাল দিঘি খনন করেন। যা বর্তমানে টিকে রয়েছে।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনা১২০ কক্ষের বাড়িটিতে এখন মাত্র ২০টি কক্ষ অবশিষ্ট রয়েছে। এখানে এখনো জমিদার বংশের উত্তরসূরীরা বসবাস করতেছেন। তবে এখন আর তাদের সেই জমিদারী জৌলুস নেই। এখন কষ্টে ও অনাহারে তাদের দিন কাটাতে হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |