গুগল বুকস

গুগলের সেবা

গুগল বুকস (পূর্বের গুগল বুক সার্চ এবং গুগল প্রিন্ট এবং এর কোডনাম ছিলো প্রজেক্ট ওশান)[] হচ্ছে গুগল, ইনক এর একটি পরিষেবা যা গুগল স্ক্যান করেছে এমন বই এবং ম্যাগাজিনগুলির সম্পূর্ণ পাঠ্য অনুসন্ধান করে, অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) ব্যবহার করে পাঠ্যে রূপান্তরিত করে, এবং গুগলের ডিজিটাল তথ্যভান্ডারে সংরক্ষণ করে।[] বইগুলি গুগল বুকস পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রকাশক এবং লেখক দ্বারা অথবা গ্রন্থাগার প্রকল্পের মাধ্যমে গুগলের গ্রন্থাগারের অংশীদারদের দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে, গুগল অনেকগুলি ম্যাগাজিন প্রকাশকদের সাথে তাদের সংরক্ষণাগারগুলি ডিজিটাইজ করতে অংশীদার করেছে।[][]

গুগল বুকস
স্ক্রিনশট
সাইটের প্রকার
ডিজিটাল পাঠাগার
মালিকগুগল
ওয়েবসাইটbooks.google.com
চালুর তারিখঅক্টোবর ২০০৪; ২০ বছর আগে (2004-10) (গুগল প্রিন্টের হিসাবে)
বর্তমান অবস্থাসক্রিয়

২০০৪ সালের অক্টোবরে যখন ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলায় প্রকাশক প্রোগ্রামটি চালু হয় তখন এটি প্রথম গুগল প্রিন্ট হিসাবে পরিচিত ছিল।

গুগল বুকস উদ্যোগটি মানব জ্ঞানের বৃহত্তম অনলাইন সংস্থায় পরিণত হতে পারে[][] এমন অভূতপূর্ব সম্ভাবনার জন্য প্রশংসিত হয়েছে এবং জ্ঞানের গণতন্ত্রকরণকে উৎসাহিত করেছে।[] তবে, ওসিআর প্রক্রিয়া দ্বারা স্ক্যান করা পাঠ্যে প্রচুর ত্রুটি সংশোধন করার জন্য এটি সম্ভাব্য কপিরাইট লঙ্ঘন,[] এবং সম্পাদনার অভাবের জন্যও সমালোচিত হয়েছিল।

অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত, স্ক্যান করা বইয়ের শিরোনামের সংখ্যা ২৫ মিলিয়নেরও বেশি ছিল, তবে আমেরিকান একাডেমিক লাইব্রেরিতে স্ক্যানিং প্রক্রিয়াটি এখন ধীর গতির হয়ে গেছে[][]। গুগল ২০১০ সালে অনুমান করেছিল যে বিশ্বে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন স্বতন্ত্র শিরোনামের বই রয়েছে,[১০][১১] এবং গুগল জানিয়েছিল যে তারা এর সবগুলো স্ক্যান করবে। ২০১২ সালের অক্টোবরে, গুগল, গুগল বইয়ের ১৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে এবং এই সময় পর্যন্ত স্ক্যান করা বইয়ের সংখ্যা ছিলো ৪০ মিলিয়নেরও বেশি।[১২]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Love, Dylan। "An Inside Look At One Of Google's Most Controversial Projects"Business Insider। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. Mark O'Neill (২৮ জানুয়ারি ২০০৯)। "Read Complete Magazines Online in Google Books"Make Use Of 
  3. "About Magazines search"Google Books Help। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. Bergquist, Kevin (২০০৬-০২-১৩)। "Google project promotes public good"The University RecordUniversity of Michigan। ২০০৭-১০-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-১১ 
  5. Pace, Andrew K. (জানুয়ারি ২০০৬)। "Is This the Renaissance or the Dark Ages?"American LibrariesAmerican Library Association। ২০০৭-০৪-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-১১Google made instant e-book believers out of skeptics even though 10 years of e-book evangelism among librarians had barely made progress. 
  6. Malte Herwig, "Google's Total Library", Spiegel Online International, Mar. 28, 2007.
  7. Heyman, Stephen (২৮ অক্টোবর ২০১৫)। "Google Books: A Complex and Controversial Experiment" – NYTimes.com-এর মাধ্যমে। 
  8. "What Ever Happened to Google Books?"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। 
  9. Google: 129 Million Different Books Have Been Published PC World
  10. "Books of the world"। আগস্ট ৫, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-১৫After we exclude serials, we can finally count all the books in the world. There are 129,864,880 of them. At least until Sunday 
  11. "15 years of Google Books"। ১৭ অক্টোবর ২০১৯। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা