গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী
গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী (১৮ আগস্ট ১৮৫৮ - ১৬ আগস্ট ১৯২৪)[১] ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক এক মহিলা কবি । ছোটবেলার স্মৃতি অবলম্বন করে গ্রামের দৃশ্য এবং কলকাতার অন্তঃপুরের ছবি এঁর কবিতায় ভালো ফুটেছিল। কবিতাগুলির ভাব ও ভাষাসৌন্দর্যে যে নারীমানসের স্পর্শ এবং সরলতা ফুটেছিল তা বাংলা সাহিত্যে দুর্লভ । [২]
গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৬ আগস্ট ১৯২৪ | (বয়স ৬৫)
পরিচিতির কারণ | কবি |
দাম্পত্য সঙ্গী | নরেশ চন্দ্র দত্ত |
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মজিলপুরের উচ্চশিক্ষিত পিতা হারানচন্দ্র মিত্রের মেয়ে গিরীন্দ্রমোহিণী কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনিই পিতার কাছে কাব্যচর্চার প্রেরণা পেয়েছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়েসে কলকাতায় বিয়ে হয়। স্বামী নরেশচন্দ্র দত্তের কাছ থেকেও তিনি সহযোগিতা পেতেন। ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দে নরেশচন্দ্রের মৃত্যুর পর গিরীন্দ্রমোহিনীর অশ্রুকণা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এই বইটিতেই "ফুটফুটে জোছনায় ধবধবে আঙিনায় একখানি মাদুর পাতিয়া" এই জনপ্রিয় কবিতাটি আছে । [৩]
গিরীন্দ্রমোহিনীর প্রথম কবিতার বই ছিল কবিতাহার (১৮৭৩) । কবিতার বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতকুসুম (১৮৮২) অশ্রুকণা (১৮৮৭), আভাষ (১৮৯০), শিখা (১৮৯৬), অর্ঘ্য (১৯০২) । অন্যান্য বইয়ের মধ্যে জনৈক হিন্দু মহিলার পত্রাবলী (১৮৭২), নাটকের মধ্যে সন্ন্যাসিনী ও মীরাবাঈ (১৮৯২), সিন্ধুগাথা (১৯০৭) এবং কৌতুক রচনার মধ্যে বুড়োর অ্যালবাম উল্লেখযোগ্য ।
এছাড়াও তিনি অনেক প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন এবং জাহ্নবী নামক একটি পত্রিকা সম্পাদনাও করেছিলেন । [৩]
রচনাবলী
সম্পাদনাকবিতার বই
- কবিতাহার (১৮৭৩)
- ভারতকুসুম (১৮৮২)
- অশ্রুকণা (১৮৮৭)
- আভাষ (১৮৯০)
- শিখা (১৮৯৬)
- অর্ঘ্য (১৯০২)
অন্যান্য বই
- জনৈক হিন্দু মহিলার পত্রাবলী (১৮৭২)
নাটক
- সন্ন্যাসিনী ও মীরাবাঈ (১৮৯২)
- সিন্ধুগাথা (১৯০৭)
কৌতুক রচনা
- বুড়োর অ্যালবাম
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ শিশির কুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ৬৪,৬৫। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9।
- ↑ বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা - শ্রী সুকুমার সেন - সপ্তম সংস্করণ
- ↑ ক খ পশ্চিমবঙ্গ - জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগণা সংখ্যা - তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার পৃষ্ঠা ২৭৪