গিরিবালা দেবী (ইংরেজি: Giribala Devi)( জন্ম- ১৮৯১— ২ মার্চ, ১৯৮৩) বাঙালি ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি সুদীর্ঘ ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস রায়বাড়ি রচনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লীলা পুরস্কার লাভ করেন। [][] 

গিরিবালা দেবী
জন্ম১৮৯১
পাবনা, বৃটিশ ভারত, বর্তমানে বাংলাদেশ
মৃত্যু২ মার্চ,১৯৮৩ (বয়স ৯২)
পেশাঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার
দাম্পত্য সঙ্গীপূর্ণচন্দ্র রায়
সন্তানবাণী রায় (কন্যা)
পিতা-মাতাদীননাথ শাস্ত্রী (পিতা)
পুরস্কারলীলা পুরস্কার

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

গিরিবালার জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের পাবনায়।  পিতা দীননাথ শাস্ত্রী সংস্কৃত সাহিত্যে সুপণ্ডিত ছিলেন। তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি ঠাকুরমার কাছে। তেরো বৎসর বয়সে তার বিবাহ হয় পাশের গ্রামের জমিদারপুত্র পূর্ণচন্দ্র রায়ের সাথে। রক্ষণশীল একান্নবর্তি পরিবারে মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের আবহাওয়া অনুকূল ছিল না। তবু তারই মধ্যে যতটা পেরেছেন স্বামীর কাছ থেকে শিখেছেন।[]

সাহিত্যকর্ম

সম্পাদনা

কুড়ি বৎসর বয়সে তার প্রথম রচনা গল্প "ছলনা" প্রকাশিত হয় প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত "মানসী ও মর্মবাণী" পত্রিকায়। একই সময় তার 'ভাগ্যহীনা' গল্পটি প্রকাশিত হয় চিত্তরঞ্জন দাশ সম্পাদিত "নারায়ণ" পত্রিকায়। গিরিবালা বিশটি উপন্যাস ও দুহাজারেরও বেশি গল্প, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তার দীর্ঘ ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হল "রায়বাড়ি"। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তার এই উপন্যাসটির জন্য "লীলা পুরস্কার" প্রদান করে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য  গ্রন্থগুলি হল-

  • তৃণগুচ্ছ (১৯২২), ছোটগল্প সংকলন 
  • রূপহীনা (১৯২৫)
  • হিন্দুর মেয়ে (১৯৩০)
  • দানপ্রতিদান (১৯৩৭)
  • খণ্ড মেঘ (১৯৪৫)
  • মুকুটমণি 
  • কুড়নো মানিক

কবি-সাহিত্যিক  বাণী রায় গিরিবালা দেবীর কন্যা। 

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট  ২০১৬, পৃষ্ঠা ১৮৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট  ২০১৯, পৃষ্ঠা ৬৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-০০৭-৯ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
  3. Azadi, Dainik (২০২৩-০৩-০১)। "গিরিবালা দেবী : ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার"দৈনিক আজাদী (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১২