গিরদাপ বা ঘিরদাপ (বুলগেরীয়: Гирдап)৷[] হল বুলগেরিয়ার প্রথম বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এটি ১৮৮১ সালে রুশ শহরে স্থাপিত হয়৷ ১৯২৫ সালে বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত গিরদাপ ছিল বুলগেরিয়ার দুটি বড় ব্যাঙ্কের একটি এবং বুলগেরিয়ান কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের মত এটিও নির্ভরশীল ছিল স্থানীয় মানুষ ও ব্যক্তিগত মূলধনের ওপর৷ বাল্কান যুদ্ধ এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে বুলগেরিয়ার ছয়টি বড় ব্যাঙ্কের মধ্যে গিরদাপ স্থান পেয়েছিল৷ যুদ্ধ চলাকালীন গিরদাপের অর্থনৈতিক গোষ্ঠী দেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিল৷

গিরদাপ
Гирдап
ধরনজয়েন্ট স্টক
শিল্পঅর্থনৈতিক পরিষেবা
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৮১
বিলুপ্তিকাল১৯২৫
সদরদপ্তররুশ, বুলগেরিয়া
প্রধান ব্যক্তি
বঙ্কো বনেভ
ইভান কোভাচেভ
নিকোলা কোভাচেভ

ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রথম বছরগুলো

সম্পাদনা

উসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে বুলগেরিয়ার মুক্তি এবং প্রিন্সিপালিটি অব বুলগেরিয়া স্থাপনের পর চার বছর অতিক্রম করার আগেই ১৮৮১-র ১লা ডিসেম্বর গিরদাপ-এর গঠনকারী সভাটি আয়োজিত হয়৷ সেই সময় বুলগেরিয়ার উত্তরপূর্বে অবস্থিত রশ শহর ছিল প্রধান আর্থিক কেন্দ্রস্থল৷ রুশ সমৃদ্ধশালী হয়েছিল দানিউব নদী-র তীরে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে, দ্রুত শিল্পোন্নতির জন্য এবং নদীপথে মধ্য ইয়োরোপের সাথে দৄঢ় প্রতিষ্ঠিত বন্ধনের জন্য৷ যদিও ব্যাঙ্কিং তখন এক নতুন ধারণা ছিল কারণ বেশির ভাগ মানুষ টাকা ধার নিত সুদের কারবারীদের কাছ থেকে এবং তাদের সঞ্চয় পরিচিত মানুষজনের কাছে বিশ্বাস করে রাখত৷ পরবর্তী ব্যাঙ্ক পরিচালক বঙ্কো বোয়েভ এর কথায়- "গিরদাপ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন জনগণকে সুদের কারবারীদের হাত থেকে মুক্ত করতে"।[] কিন্ত দেশে সর্বাঙ্গীণ মূলধনের অভাবে এই ব্যাঙ্কের ঋণের উপর সুদের হার ছিল বেশ বেশির দিকেই-১৫-১৮% যদিও সুদকারবারীদের দেওয়া সুদের হার ছিল ২০-৩০%-র ও বেশি। এই ব্যাঙ্ক ১৮৮২-র ১লা জানুয়ারী সরকারিভাবে চালু হল। রুশ শহরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গিরদাপ-এর নাম অনুসারে এই ব্যাঙ্কের নাম রাখা হয় গিরদাপ এবং এখানেই গঠনকারী সভা আয়োজিত হয়।[]

সূচনাতে গিরদাপের মূলধন ছিল ১৩৮০ বুলগেরিয়ান গোল্ড লেভা, যদিও ১৮৮২-র শেষে মূলধন পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৬৯০০ লেভা।[] ১৮৮৬ সালে গিরদাপের মূলধন ছিল ৭০৩০০ লেভা। সেই বছরই ব্যাঙ্ক প্রথমবারের জন্য একজন কেরানী নিয়োগ করেছিল। ১৮৯১ সালে কোম্পানির দশম বার্ষিকীতে ব্যাঙ্ক ৩০০০০০ লেভা খরচ করেছিল এবং ১৮৯৪ সালে ব্যাঙ্কের মূলধন বৃদ্ধি পেয়ে হল ১০০০০০০ লেভা। আমানতকারীদের কোম্পানি হিসেবে সূচিত হলেও ১৮৯৪ সালে এটা হল জয়েন্ট স্টক ক্রেডিট কোম্পানি।[] ১৮৯৮ সালে গিরদাপের মূলধন হল ১৫০০০০০ লেভা এবং একটা নতুন বিধিবদ্ধ আইন স্বীকৃত হল যার ফলে পরিচালন সমিতির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ জন করা হয়। এর মধ্যে রুশ শহরের সবচেয়ে ধনবান ও বিশিষ্ট লোকজন ছিল যারমধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য চেয়ারম্যান স্তেফান সিমেওনভ।[] ১৯০২ এর শরতে গিরদাপ প্রথম রুশ শহরের বাইরে অফিসের শাখা খুলল - কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে ভারনা বন্দরে, ডবরিচ এর ডবরুজান শহরে এবং ইস্তানবুলে(কনস্টান্টিনোপল), যা ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী এবং বলকান অঞ্চল-এর সবচেয়ে বড় শহর। ইস্তানবুলে ব্যাঙ্কের শাখাটি এই ফরাসি "সোসাইতে দে ক্রেদিত ঘিরদাপ" এই ফরাসি নামে পরিচিতি পেল যদিও এই শাখাটি মাত্র ১৮ মাস খোলা ছিল এবং রাজনৈতিক চাপে এটি বন্ধ হয়। ১৯১০ সালের ১লা আগস্ট সিলিস্ত্রা-তে একটি অফিস খোলা হয়েছিল।[] চালু হওয়ার পর থেকেই গিরদাপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং পরে এটিকে যুক্ত করা হয় স্তেফান স্তাম্বলভ -এর পপুলার লিবারাল পার্টির সাথে। অন্যদিকে ১৮৮৫ তে রুশ শহরে স্থাপিত বুলগেরিয়ান কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক (বালগারস্কা টারগোভস্কা ব্যাঙ্কা) পপুলার পার্টির ঘনিষ্ঠ ছিল। দুটো ব্যাঙ্কের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল পৌরঋণ দেওয়ার বিষয়ে এবং এই প্রতিযোগিতায় তারা নিয়মিত নিজেদের রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহার করত।[] এই সম্পর্কের জের বুলগেরিয়ান রাজকোষে খারাপ প্রভাব ফেলেছিল। কারণ রাজনৈতিক নেতারা যারা কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের অংশীদার ছিলেন অথবা কোনো না কোনো ভাবে গিরদাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা দেশের চেয়ে নিজেদের সুযোগ স্বার্থ চরিতার্থ করতে নানা ধরনের চুক্তি করত।[] বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে বুলগেরিয়ান অর্থনীতি সুদৃঢ় হয়েছিল এবং উদ্ভূত শিল্পের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়,ফলে স্থানীয় ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল । ১৯১১ সালে গিরদাপের মূলধন ছিল ২মিলিওন লেভা এবং ১৯১২-তে বুলগেরিয়ান কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক এবং ডয়েশ ব্যাঙ্ক-সংক্রান্ত ক্রেডিট ব্যাঙ্ক(ক্রেডিটনা ব্যাঙ্কা)-এর পরেই গিরদাপ তৃতীয় বৃহত্তম স্থান লাভ করেছিল। তুলনামুলকভাবে বুলগেরিয়ার বেসরকারী ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের পরিধি কম ছিল।[]

পূর্ণ বিকাশ এবং দেউলিয়া অবস্থা

সম্পাদনা

বালকান যুদ্ধ এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধর(১৯১২-১৯১৮) সময়ই গিরদাপ ব্যাঙ্ক পূর্ণ বিকশিত হয়েছিল। তখন এই ব্যাঙ্ক সাম্রাজ্যের প্রথম সারির আর্থিক দলের মধ্যে ছিল এবং সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিল। এই ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করত প্রায় ৮৩.৯৭ মিলিয়ন লেভা বিনিয়োজিত মূলধন। ফলে এই ব্যাঙ্ককে জেনেরাল ক্রেডিট সোসাইটি, বালকান ব্যাঙ্ক এবং বুলগেরিয়া কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক ইত্যাদি আর্থিক দলের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। যুদ্ধের সময় বুলগেরিয়ান ব্যাঙ্কগুলো শাখা কোম্পানি খুলেছিল অথবা নতুন নতুন ক্ষেত্রে মূলধন বিনিয়োগ করেছিল যার মধ্যে গিরদাপও ছিল।[১০] গিরদাপ-এর একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হল আন্তর্জাতিক পরিবহন কোম্পানি ট্রান্সবাল্কানিয়া যার মূলধন ছিল ১০০০০০ লেভা। কোম্পানির ৫০০ শেয়ারের মধ্যে ২০০ শেয়ারের মালিকানা ছিল গিরদাপ- এর এবং ১৭০ শেয়ারের মালিক ছিলেন ব্যাঙ্কের তিনজন ম্যানেজার বা কর্মচারী । প্রথম বিশ্বযুদ্ধর সময় অর্থাৎ লিকুইডেট হওয়ার আগে ট্রান্সবাল্কানিয়া পরিবহন ব্যবসায় সক্রিয় ছিল বুলগেরিয়া থেকে এডিরনে,আলেক্সান্দ্রপালি, থেসালোনিকি, নিস এবং দানিউব নদী বরাবর। যুদ্ধের সময় গিরদাপ তামাক ব্যবসায় জড়িত ছিল এবং মডার্ন ডুপনিসটা, ব্লেগোয়েভগ্রাদ,ও যান্থি-তে এর গুদাম ছিল। এই কারণেই ১৯১৬-র ২১শে মে দ্য বুলগেরিয়ান মেসিডোনিয়ান ব্যাঙ্ক(বালগারস্কা মেকডনস্কা ব্যাঙ্কা) স্থাপিত হল। এর নিজস্ব মূলধন তুলনামুলকভাবে বেশি ছিল ৪৬.৯৫ মিলিয়ন লেভা বিপরীতে জমা ছিল মাত্র ১৩.৩১ মিলিয়ন লেভা, যার থেকে বোঝা যায় এই ব্যাঙ্ক মূলত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক হিসেবে সক্রিয় ছিল। কোনো না কোনো ভাবে গিরদাপের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলো হল ১৯০৬ সালে স্থাপিত সোফিয়া ব্যাঙ্ক(সফিয়াস্কা ব্যাঙ্কা), ১৯১২ সালে স্থাপ বুলগেরিয়ান সিওরটি ব্যাঙ্ক(বালগারস্কা গারান্টসিওন্না ব্যাঙ্কা) এবং ১৯১৭ সালে স্থাপিত বুলগেরিয়ান ফরেস্ট কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক(বালগারস্কা গোরস্কো-টারগোভস্কা ব্যাঙ্কা)। প্লেভেন-ভিত্তিক লেভ সিমেন্ট কারখানা ১৯১৭ সালে স্থাপিত হয়েছিল, এর প্রধান অংশীদার ছিলেন গিরদাপের পরিচালন সমিতির সদস্য ইভান কোভাচেভ। ইস্কার জর্জের কুরিলো খনির মূলধনের ৯০% গিরদাপের নিয়ন্ত্রণে ছিল অথবা এই ব্যাঙ্কের প্রধান ব্যক্তিত্ব ইভান কোভাচেেভ ও বঙ্কো বোয়েভ এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত।.[১১] জাতীয় শিল্পের সাহায্যের ব্যাপারে গিরদাপের সক্রিয় ভূমিকা থাকলেও গিরদাপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং যথেষ্ট পরিমাণ লাভ না হওয়ায় ক্রমে ক্রমে অংশগ্রহণ কমিয়ে এনেছিল।[১২]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার ব্যাপারে গিরদাপ বঞ্চিত হয়েছিল কারণ নতুন কৃষিপ্রধান সরকার অ্যালেক্সান্ডার স্তামবোোলিস্কি -র সঙ্গে এই ব্যাঙ্কের কোনো সংযোগ ছিল না। ১৯১৯ সালে বারকোভিতসা-তে বঙ্কো বোয়েেভ আটমাসের জন্য কারারুদ্ধ হয়েছিলেন এবং বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। বিচারের জন্য পাঠানো হল ইভান কোভাচেভকে কিন্তু ব্যাঙ্কের অর্থ সীল করে দেওয়া হল। ১৯২২ সালে বুলগেরিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, গিরদাপ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল। এর ফলে ১৯২৩ এর মধ্যে ৩৮ মিলিয়ন লেভা জমা অর্থ তুলে ফেলা হল এবং দেনাদাররা, যার মধ্যে গিরদাপের পরিচালন সমিতির সভ্যরাও ছিলেন তাঁরা আইনের বিরুদ্ধে আপত্তি প্রকাশ করল। সেই সময় বুলগেরিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, গিরদাপের সর্বপ্রধান পাওনাদার, গিরদাপের দেউলিয়া ঘোষণার বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু দু-বছর পরে বুলগেরিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও তার মত পাল্টে ফেলে। ১৯২৫ সালের তেসরা ফেব্রুয়ারি গিরদাপকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হল এবং ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা বঙ্কো বোয়েভ, ইভান কোভাচেভ আর নিকোলা কোভাচেভ -কে গ্রেপ্তার করা হল।[১৩]

রুশে অবস্থিত সদর দপ্তর

সম্পাদনা

গিরদাপের কেন্দ্রীয় অফিস রুশ শহরের একটি ঐতিহাসিক অট্টালিকায় ছিল যার ঠিকানা ২ অ্যালেেক্সান্দারভস্কা স্ট্রিট। এটি ২৮০০ বর্গ ফুট (২৬০ বর্গ মিটার )জায়গা নিয়ে গঠিত। এই অট্টালিকা ১৮৯৬ সালে শেষ হয়েছিল, এর নকশা করেছিলেন হয় স্তোয়ান জোলোতভ এবং উদো রিবাউ (ইনি রুশ শহরের ওল্ড হাই স্কুল অফ মিউজিক এর স্থপতি) অথবা স্যামুইল দানাইলভ যিনি তখনও স্থাপত্যের ছাত্র ছিলেন। এর উল্টোদিকে একটা বাড়ি ছিল যেটি ১৮৯৭ সালে ভিয়েনিজ স্থপতি জর্জ ল্যাং নির্মাণ করেছিলেন যার মালিক ছিলেন সুরা ব্যবসায়ী পিটার পেত্রভ। কাজেই গিরদাপের কেন্দ্রীয় দপ্তর ছিল সমগ্রভাবে স্থাপত্যের নিদর্শন এবং সেটা ছিল লিবার্টি স্কোয়ার থেকে রুশ শহরের কমার্শিয়াল স্ট্রীট -এর প্রবেশপথ, তাই সকলের দৃষ্টিগোচরে আসত। ওখানেই ছিল মনুমেন্ট অফ লিবার্টি।[]

১৯১৩ সালে আগুনে এই অট্টালিকার চিলেকোঠার ঘরটি নষ্ট হয়ে যায়।[] ১৯৩৫ সালে আরো এক তলা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তরকে তিনতলা অট্টালিকায় পরিণত করেন বাস্তুশিল্পী টোদের টোনেভ। ট্রেডমার্ক ঘড়ি উনিশ শতকের শেষদিকে লাগানো হয়েছিল। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭-র মধ্যে অট্টালিকার অভ্যন্তর নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপযোগী করা হয়েছিল সিটি পিপলস্ কাউন্সিল হিসেবে। বর্তমানে এটি রুশ শহরের পরিচালন গৃহ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[][১৪]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Първата частна банка "Гранд Гирдап" през 1869 (sic) год." (Bulgarian ভাষায়)। Община Русе। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১০ 
  2. Папазова, p. 265.
  3. Сиври, pp. 82–83.
  4. Сиври, p. 83.
  5. Сиври, pp. 83–84.
  6. Сиври, pp. 84–85.
  7. Аврамов, pp. 503-505.
  8. Папазова, p. 266.
  9. Аврамов, p. 506.
  10. Папазова, p. 267.
  11. Папазова, pp. 267–268.
  12. Lampe, p. 255.
  13. Аврамов, pp. 509–510, 513–515.
  14. "Банка Гирдап" (Bulgarian ভাষায়)। Регионална библиотека „Любен Каравелов”, Русе। ১০ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা