গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা
গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল খুলনা জেলার একটি শীর্ষস্হানীয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।[৫]।[৬]বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] ১৯৬৭ সালের ১৬ই এপ্রিল মাত্র ৩৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়।
গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল Govt. Laboratory High School | |
---|---|
অবস্থান | |
, কুয়েট-৯২০৩ | |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | "পড়ো তোমার প্রভুর নামে" |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৬৭[১] |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর[২][১] |
বিদ্যালয় জেলা | খুলনা জেলা |
ইআইআইএন | ১১৭১৫[২][১] |
প্রধান শিক্ষক | মোঃ আবু হানিফ[৩] |
শিক্ষকমণ্ডলী | ২৭ জন[৩] |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১০৩১[৪][১] |
ভাষা | বাংলা |
শ্রেণিকক্ষ | ২০টি[১] |
ক্যাম্পাসসমূহ | ০১টি |
আয়তন | ৪.৪৪ একর (১৮,০০০ বর্গমিটার)[১] |
ক্যাম্পাসের ধরন | মহানগরী |
ওয়েবসাইট | www |
অবস্হান
সম্পাদনাদক্ষিণ বাংলার অন্যতম শিল্প নগরী খুলনা থেকে প্রায় ১৩ কিলােমিটার উত্তরে খুলনা যশাের প্রধান সড়ক হতে এক মাইল পশ্চিমে ছায়া সুনিবিড় মনােরম পরিবেশে কুয়েট বাইপাস রোডে অবস্থিত।[১] বিদ্যালয়টির পাশেই কুয়েট,কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ খুলনা শহরের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো অবস্হান করছে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
সম্পাদনাতৎকালীন সরকার পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশে) খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য সর্বোত্তম বিবেচনায় এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষকদের শ্রেষ্ঠ গবেষণাগার ও বিজ্ঞান শিক্ষার রোল মডেল হিসেবে এ চারটি বিভাগে মাত্র চারটি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তন্মধ্যে গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল,খুলনা অন্যতম। খুলনা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও গবেষণার নিমিত্তে ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। [৭]
শুরুতে ৩য় শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ৬টি শ্রেণীতে পাঠদান করা হতো। ১৯৬৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ম শ্রেণীর বিজ্ঞান ও মানবিক শাখায় পাঠদান শুরু করা হয়। এর ১ বছর পর ১৯৬৯ সালের ১জানুয়ারী থেকে ১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান ও মানবিক শাখায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে বিদ্যালয়টিতে শুধুমাত্র ছাত্রদেরই ভর্তিপ্রথা ছিলো। স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকার পূর্বের শুধুমাত্র ছাত্র ভর্তির প্রথা বাতিল করে ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ই ভর্তি প্রথা চালু করে।[৮] বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন জনাব মো. আব্দুর রাজ্জাক।[৭]
একাডেমিক কার্যক্রম ও পরিবেশ
সম্পাদনাবিদ্যালয়টিতে ৩য় হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত একটি শিফটের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়।এক্ষেত্রে ৩য় শ্রেণিতে লটারি পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের দৈবচয়নের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। পূর্বে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান,মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়ার সুযোগ প্রদান করা হয়। বিদ্যালয়টিতে অর্ধবার্ষিক,বার্ষিক,প্রাক-নিবার্চনী ও নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। [৬]
বিদ্যালয়টিতে,
- একাডেমিক ভবন- ২টি
- দ্বিতল অডিটোরিয়াম- ১টি (পরিত্যাক্ত ও বিলুপ্ত)
- দ্বিতল ছাত্রাবাস- ১টি (পরিত্যাক্ত)
- প্রধান শিক্ষকের বাসভবন- ১টি (পরিত্যাক্ত ও বিলুপ্ত)
- বিজ্ঞানাগার- ৩টি
- আইসিটি ল্যাব- ২টি
- মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম-১টি
- কমনরুম- ২টি
- গ্রন্হাগার- ১টি
- নামাজকক্ষ- ২টি[৯]
সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলি
সম্পাদনাবিদ্যালয়টিতে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধার মানোন্নয়ন ও বিকাশে নানান সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলি সম্পন্ন করা হয়। যেমন: ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্ণামেন্ট, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বির্তক কর্মশালা, ঈদে মিলাদুন নবী(স) , স্বরস্বতী পূজা, স্কাউট -জাম্বুরী ইত্যাদি। পাশাপাশি বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন ক্লাবও রয়েছে। উল্লেখ্য, [৬][৬]বিদ্যালয়টির বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠা তার্কিক দলগুলাে বেশ কয়েকবার স্কুল পর্যায়ে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযােগিতায় টেলিভিশনের মত প্রধান গণমাধ্যমে যেতে সক্ষম হয়েছে এমনকি কোন দল বিজয়ের গৌরব নিয়ে স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এসবের পাশাপাশি রয়েছে আউটডাের/ ইনডাের গেমস। শিক্ষার সাথে খেলাধুলার সম্পর্ক নিবিড়। বিদ্যালয়ে একটি বিস্তীর্ণ মাঠ আছে। সেখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা খুব জাক- জমকের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি প্রতিবছর শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে বার্ষিক প্রীতিভোজ আয়োজন করা হয়।[৭]
স্কাউট ও গার্ল গাইডস
সম্পাদনাবিদ্যালয় পরিস্কার ও সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্যকারী হিসাবে স্কাউট-কাব এবং গার্লস গাইড গঠন করা হয়। এরা বিভিন্ন সময়ে জাম্বুরী ও রেলীতে যােগদান করে থাকে। বিদ্যালয়ে একটা সী স্কাউট দলও আছে। এ দলটি নির্ধারিত সময়সচী অনুযায়ী খুলনাস্থ বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী দপ্তরে বিভিন্ন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। ২০১৮ সালে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ‘শাপলা’ পদক গ্রহণ করে।[৭]
শিক্ষক-শিক্ষিকা
সম্পাদনাবর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ২৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। ০১ জন প্রধান শিক্ষিকা, ০১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ১২ জন সিনিয়র শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১১ জন সহকারীশিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে।[৩]
শিক্ষার্থী
সম্পাদনাবর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০৩১।[৪]
- ছাত্র সংখ্যা ৫৪৫
- ছাত্রী সংখ্যা ৪৮৬
ধর্ম ভিত্তিক
সম্পাদনাবিদ্যালয়ে ০৩টি ধর্মের শিক্ষার্থী রয়েছে।
- মুসলিম শিক্ষার্থী ৯১৮ জন
- হিন্দু শিক্ষার্থী ১০৭ জন
- খ্রিস্টান শিক্ষার্থী ০৬ জন
বিভাগ ভিত্তিক
সম্পাদনানবম ও দশম শ্রেণিতে ০৩টি বিভাগ রয়েছে।[৪][২]
- বিজ্ঞান বিভাগে ১২৩ জন
- মানবিক বিভাগে ১৪ জন
- বাণিজ্য বিভাগে ০ জন
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ "এক নজরে"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট-গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৯।
- ↑ ক খ গ "গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা"। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৯।
- ↑ ক খ গ "শিক্ষক-শিক্ষিকা"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট-গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৯।
- ↑ ক খ গ "অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট-গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৯।
- ↑ প্রতিনিধি, খানজাহান আলী থানা (২০২৪-০২-০৯)। "খুলনা গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা"। সময়ের খবর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ "বর্ণমালা"। বর্ণমালা ২০১৮; সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ ম্যাগাজিন। গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল,খুলনা। ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ বর্ণমালা ( সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ ম্যাগাজিন- ২০১৮ সালে প্রকাশিত)- গভ: ল্যাবরেটরি হাই স্কুল,খুলনা কর্তৃক সম্পাদিত
- ↑ "খুলনা গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে নানা সংকট ॥ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২১।
- ↑ "গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, খুলনা"। www.glhsk.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৭।