গণ্ডেরবাল
গণ্ডেরবাল হল ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের গণ্ডেরবাল জেলার একটি শহর এবং পৌরসভা কমিটি। এর গড় উচ্চতা হল ১,৬১৯ মিটার (৫,৩১২ ফুট)। এটির দক্ষিণে শ্রীনগর জেলা, উত্তরে বান্দিপুর, উত্তর-পূর্বে কারগিল, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অনন্তনাগ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে বারমুলা।
গণ্ডেরবাল | |
---|---|
নগর | |
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৪°১৪′ উত্তর ৭৪°৪৭′ পূর্ব / ৩৪.২৩° উত্তর ৭৪.৭৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | জম্মু ও কাশ্মীর |
জেলা | গণ্ডেরবাল |
উচ্চতা | ১,৬১৯ মিটার (৫,৩১২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৯৭,৪৪৬ |
ভাষা | |
• সরকারি | উর্দু |
• কথ্য | কাশ্মীরি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ১৯১২০১ |
যানবাহন নিবন্ধন | জেকে-১৬ |
ওয়েবসাইট | ganderbal |
ভূগোল
সম্পাদনাগণ্ডেরবাল ৩৪°১৪′ উত্তর ৭৪°৪৭′ পূর্ব / ৩৪.২৩° উত্তর ৭৪.৭৮° পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত।[১] সমুদ্র তল থেকে এর গড় উচ্চতা হল ১,৬১৯ মিটার (৫,৩১২ ফুট)। এটির দক্ষিণে শ্রীনগর জেলা, উত্তরে বান্দিপুর, উত্তর-পূর্বে কারগিল, দক্ষিণ-পূর্বে অনন্তনাগ। এটি সাতটি তহশিলে বিভক্ত, সেগুলি হল - গণ্ডেরবাল, কঙ্গন, লার, তুলমুল্লা, গুণ্ড, নাগবল এবং ওয়াকুরা।
বিদ্যুৎ প্রকল্প
সম্পাদনাবিতস্তা নদীর একটি প্রধান শাখা সিন্ধু নদ এই জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। নদীর জল মূলত সেচ এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে এই নদীর ওপর তিনটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলি হল - নিম্ন সিন্ধু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গণ্ডেরবাল, উচ্চ সিন্ধু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ১ম কঙ্গন এবং উচ্চ সিন্ধু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দ্বিতীয় সুম্বল। এ ছাড়া পানীয় জল হিসেবে, শ্রীনগর শহরে, এই নদীর জল- রঙ্গিল জল শোধন কেন্দ্রে পরিশ্রুত করে ব্যবহার করা হয়।[২]
পর্যটন
সম্পাদনাকাশ্মীর উপত্যকার পর্যটন শিল্পকে জোরদার করতে সোনমার্গ পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিবছর ওয়াটার রাফটিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। মানসবল হ্রদ এবং গঙ্গাবল হ্রদ এই অঞ্চলের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।[৩] এছাড়াও এই উপত্যকায় ভ্রমণ করতে আসা বিদেশী পর্যটকদের জন্য হারমুখ পর্বতের পাদদেশ অন্যতম একটি গন্তব্য। বৈষ্ণোসর হ্রদ এবং গদসর হ্রদ সোনমার্গের উত্তরে অবস্থিত।
বিকাশ
সম্পাদনাঅতীতে যদিও গণ্ডেরবাল ছিল মুখ্যমন্ত্রীর[৪] নির্বাচনী কেন্দ্র,[৫] তবুও অন্যান্য জেলার তুলনায় এটি উন্নয়নে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। এখন গণ্ডেরবাল আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন শেখ ইশফাক জব্বার, যিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২০১৪ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ৪৬১ ভোটের সামান্য ব্যবধানে কাজী আফজলকে পরাজিত করেছিলেন। রাজ্য সরকার জেলার উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেখায়নি। কাশ্মীর উপত্যকার একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়টি[৬] এখন গণ্ডেরবাল জেলায় নির্মিত হচ্ছে। জেলার অর্থনীতি ও শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে, একটি অনুষদ, শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান ও কাশ্মীরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনপালনবিদ্যা অনুষদটি বেনহামায় নির্মাণাধীন। অর্থনীতি ও শিক্ষাব্যবস্থায় জেলাটি বেশ পেছনে পড়ে রয়েছে। এখানে একটি স্টেডিয়াম রয়েছে যেখানে দিন রাতের ম্যাচ খেলা হয়। শারীরিক শিক্ষা কলেজ, যেটি রাজ্যের একমাত্র কলেজ, সেটি জেলা সদর থেকে প্রায় ৩.৫ কিমি দূরে গাডুরা গণ্ডেরবালে অবস্থিত।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাভারতের আদমশুমারি ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ],[৭] গণ্ডেরবালের জনসংখ্যা ২৯৭৪৪৬ জন।[৮] এর মধ্যে পুরুষ ৫৩.৩৬% এবং নারী ৪৬.৬৪%। গণ্ডেরবালে গড় সাক্ষরতার হার ৫৮.০৪%, জাতীয় গড় ৭৪.০৪% এর তুলনায় বেশ কম: পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৮.৮৫%, এবং নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৫.৭১%। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭.০১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Falling Rain Genomics, Inc – Ganderbal. Fallingrain.com. Retrieved on 2011-12-14.
- ↑ Rangil Water Treatment Plant finds hard to feed tail-end areas Lastupdate:- Fri, 4 Sep 2009 18:30:00 GMT. Greaterkashmir.com (2009-09-04). Retrieved on 2011-12-14.
- ↑ Gangabal Lake in India. India9.com (2005-06-07). Retrieved on 2011-12-14.
- ↑ Chief Minister of Jammu and Kashmir
- ↑ Electoral constituency
- ↑ Central University of Kashmir, Ganderbal | CareerPages ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে. Careerpages.in. Retrieved on 2011-12-14.
- ↑ "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১।
- ↑ census of India official website, www.census2011.co.in
- ↑ this is census of India 2011, www.census2011.co.in