গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (ইংরেজি: Ganga Prasad Mukhopadhyay) ( ১৭ ডিসেম্বর, ১৮৩৬ - ১৩ ডিসেম্বর, ১৮৮৯) ছিলেন অবিভক্ত বাংলার যশস্বী চিকিৎসক। [১]
গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ | (বয়স ৫২)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয় |
পেশা | চিকিৎসক ও লেখক |
দাম্পত্য সঙ্গী | জগত্তারিণী দেবী |
সন্তান | স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় |
পিতা-মাতা | বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় (পিতা) |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাগঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার জিরাট-বলাগড় গ্রামে। পিতার নাম বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। বাল্যকালে তার পিতৃবিয়োগ ঘটায় দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে পড়াশোনা করেন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি ওই বছরেই এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করে কিছু দিন আইন পড়তে যান। পরে অবশ্য ডাক্তারি পড়তে শুরু করেন এবং ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে এম.বি পাশ করে কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে চিকিৎসা ব্যবসা শুরু করেন। দয়ালু ও সুচিকিৎসক হিসাবে তার সেসময় বেশ খ্যাতি ছিল। প্র্যাকটিসের ফাঁকেই তিনি লিখেছিলেন বেশ কয়েকটা বই। সাধারণের পাঠোপযোগী,সাধারণ চিকিৎসা এবং ওষুধ-বিষুধের জন্য বাংলায় লেখেন চিকিৎসা সংক্রান্ত বই -
- 'মাতৃশিক্ষা'
- 'চিকিৎসা প্রকরণ'
বই দুটি সেসময় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে কালের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রদের বাংলায় লেখা বইয়ের অভাব দেখে বাংলায় অনুবাদ করেন প্র্যাকটিস অফ মেডিসিনের প্রথম খণ্ড,দ্বিতীয় খণ্ড এবং‘শারীর বিদ্যা’(Anatomy-র বাংলা অনুবাদ)। গঙ্গাপ্রসাদ শুধু মেডিক্যাল সায়েন্সের বই-ই অনুবাদ করেননি, তিনি বাল্মীকি রামায়ণের ছন্দোবদ্ধ অনুবাদ করেছিলেন। গঙ্গাপ্রসাদের স্ত্রী ছিলেন জগত্তারিণী দেবী এবং বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন তার একমাত্র সন্তান। কলকাতার ভবানীপুরে তার নামাঙ্কিত একটি সড়ক আছে।
জীবনাবসান
সম্পাদনাগঙ্গাপ্রসাদ ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে ১৩ ডিসেম্বর ৫৩ বৎসর বয়সে স্বল্প রোগভোগের পর প্রয়াত হন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ১৭৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬