খয়রামাথা সুইচোরা
খয়রামাথা সুইচোরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Merops leschenaulti)[২][৩] (ইংরেজি Chestnut-headed bee-eater, bay-headed bee-eater) Meropidae পরিবারের Merops[৪][৫] গণের একটি ছোট পাখি। এরা বাংলাদেশের স্থানীয় প্রজাতি। তবে এদের দেখতে পাওয়া বিরল। এটি ভারত উপমহাদেশ এবং ভারত থেকে পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। এই প্রজাতি মৌমাছি, ছোট পোকা ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে।
খয়রামাথা সুইচোরা | |
---|---|
পশ্চিম বালি জাতীয় উদ্যান, ইন্দোনেশিয়া | |
পশ্চিম বালি জাতীয় উদ্যান, ইন্দোনেশিয়া | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
গোষ্ঠী: | ডাইনোসরিয়া (Dinosauria) |
গোষ্ঠী: | সরিস্কিয়া (Saurischia) |
গোষ্ঠী: | থেরোপোডা (Theropoda) |
গোষ্ঠী: | Maniraptora |
গোষ্ঠী: | আভিয়ালে (Avialae) |
শ্রেণি: | এভিস (Aves) |
বর্গ: | Coraciiformes |
পরিবার: | Meropidae |
গণ: | Merops Vieillot, ১৮১৭ |
প্রজাতি: | M. leschenaulti |
দ্বিপদী নাম | |
Merops leschenaulti Vieillot, ১৮১৭ |
বিবরণ
সম্পাদনাখয়রামাথা সুইচোরার গড় দৈর্ঘ্য ১৮-২০ সেন্টিমিটার। পাখিটির ওজন ৩০ গ্রামের কাছাকাছি। এদের থুতনি, গলা এবং মুখ উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের। গলায় লালচে-কালো বেষ্টনী আছে। কপাল, মাথা, ঘাড় এবং পিঠের রং উজ্জ্বল তামাটে। চেরা লেজের বর্ণ সবুজ। বুকের পালক সবুজাভ। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম।[৬]
স্বভাব
সম্পাদনাখয়রামাথা সুইচোরা পাখিটি প্রায়শই জলের কাছাকাছি উন্মুক্ত মাঠ বা জমিতে প্রজনন করে। এটি পার্বত্য অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। উড়ন্ত ছোট ছোট কীটপতঙ্গ, মৌমাছি, উইপোকা, ফড়িং এদের প্রিয় খাবার। এছাটা খেজুরের রসের প্রতি বিশেষ আসক্তি আছে। প্রজননের মৌসুম ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে। কলোনি ধরনের বাসা তৈরি করে প্রজননকালে। নদী বা জলাশয়ের পাড়ে নিজেরাই সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বাসা বানায়। প্রজননকালে ডিম পাড়ে প্রায় ৫ থেকে ৬টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২০-২১ দিন।[৬]
বিস্তৃতি
সম্পাদনাচঞ্চল স্বভাবে এই পাখি এক সময় দেশের শালবনে প্রচুর দেখা যেত। মূলত এদের বিচরণ পাতাঝরা ও চিরসবুজ বনে। এছাড়াও বিচরণ করে প্যারাবনে। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও চীন পর্যন্ত বিস্তৃত।[৬]
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ BirdLife International (২০১৬)। "Merops leschenaulti"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2016: e.T22683761A92999153। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2016-3.RLTS.T22683761A92999153.en । সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ Gill, Frank, and Minturn Wright (2006) , Birds of the World: Recommended English Names
- ↑ (2005) , website, Zoonomen - Zoological Nomenclature Resource, 2005.11.05
- ↑ Bisby F.A., Roskov Y.R., Orrell T.M., Nicolson D., Paglinawan L.E., Bailly N., Kirk P.M., Bourgoin T., Baillargeon G., Ouvrard D. (red.) (2011)। "Species 2000 & ITIS Catalogue of Life: 2011 Annual Checklist."। Species 2000: Reading, UK.। সংগ্রহের তারিখ 24 september 2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ITIS: The Integrated Taxonomic Information System. Orrell T. (custodian), 2011-04-26
- ↑ ক খ গ শাইন, আলম (২০১৮-০৮-১০)। "খয়রামাথা সুইচোরা - জীব বৈচিত্র্য"। জীব বৈচিত্র্য। ২০২০-০৬-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে Chestnut-headed bee-eater সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- Oriental Bird Images: chestnut-headed bee-eater ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জুলাই ২০২০ তারিখে Selected images
- Xeno-canto: chestnut-headed bee-eater Sound recordings